এনআইডির দায়িত্ব চায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পর্যালোচনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সব বয়সী নাগরিকদের তথ্য পেতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন কার্যক্রমে নিজেদের অংশের দায়িত্ব নিতে চায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা বলছে, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আওতায় থাকা এই অনুবিভাগের কার্ড প্রিন্টসহ নিজেদের আনুসাঙ্গিক কাজের দায়িত্ব পেলে কাজের গতি অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে, আর শৃঙ্খলা ফিরবে এই কার্যক্রমে। তবে সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করেই মতামত দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

সম্প্রতি এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রমে নিজেদের অংশের দায়িত্ব চেয়ে একটি প্রস্তাব  প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বাস্তবতার ভিত্তিতে এটির গ্রহণযোগ্যতাসহ সামগ্রিক বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মতামত চেয়েছে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়। পরে মতামত তৈরির জন্য অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও বিধি অনুবিভাগ) সোলতান আহ্‌মদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিটি গঠনের অফিস আদেশের কার্যপরিধিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের বদলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম স্থানান্তরের চ্যালেঞ্জসমূহ নির্ণয় করা এবং মোকাবিলার কৌশল সুপারিশ করা, এরূপ স্থানান্তরে কী কী আইন, বিধি ও অবকাঠামো পরিবর্তন করা প্রয়োজন তা নিরূপণ করা এবং এ রূপান্তরে ফলপ্রসূ ফলাফল আসবে কি না তা মূল্যায়ন করা।

জানা গেছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গঠিত কমিটি ইতোমধ্যে তাদের প্রথম বৈঠক করেছে। এই কমিটি চাইলে যেকোন মন্ত্রণালয় ও উইংকে ডাকতে পারবে। ইতোমধ্যে তারা স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছে। এছাড়াও সিভিল রেজিস্ট্রেশন এন্ড ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স (সিআরভিএস) কে ডাকা হয়েছে। গঠিত এই কমিটি এখন সংবিধান ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০সহ প্রয়োজনীয় বিধি-বিধান দেখছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া প্রস্তাবে এনআইডি উইং নিয়ন্ত্রণে নয় নিজেদের কাজের দায়িত্ব নেয়ার বিষয়টি প্রস্তাব করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এনআইডি আইন এবং সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে কতুটুকু ক্ষমতা দেয়া আছে সেগুলো পর্যালোচনা করছে কমিটি। তবে এনআইডি অনুবিভাগের অবকাঠামোগত অবস্থা, উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত এর জনবলসহ সবকিছুই বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। এই কমিটির মতামত পেলে উচ্চ পর্যায় থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে।

এ বিষয়ে কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও বিধি অনুবিভাগ) সোলতান আহ্‌মদ বার্তা২৪.কমকে জানান, “সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মতামত চাওয়া হয়েছে। মতামতের জন্য আমাকে প্রধান করে একটি কমিটি হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে ছোট আকারে প্রথম বৈঠকটি করেছি। আমাদের দেখার বিষয় হলো বিষয়টি বিধি সম্মত কিনা। আমরা জাস্ট কাজটি শুরু করেছি।”

যে কারণে এনআইডির দায়িত্ব চায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়:


স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের প্রস্তাবনায় বলেছে, শুধুমাত্র স্বরাষ্ট্রের অংশটির  দায়িত্ব যেন তাদের দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে তারা পাসপোর্ট ভেরিফাই করা, নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন বিষয় চেক করার প্রসঙ্গটিও গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করেছে।


স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র শুধু ভোটার আইডি কার্ডের বিষয় নয়। ২২ ধরনের সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র কাজে লাগবে। সুতরাং এটি শুধু কোন নির্দিষ্ট সংস্থার বিষয় নয়, এখানে অন্য সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থারও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ন্যাশনাল আইডিকার্ড শুধু ভোটের জন্য নয়। এই সার্ভিসে তো সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এজেন্সির একসেস আছে। এটা শুধু নির্বাচন কমিশন ব্যবহার করছে তাই নয়, পাসপোর্টের কাজ হচ্ছে, ব্যাংকের কাজসহ অনেক কাজই হচ্ছে, এখানে শেয়ারিংয়ের ব্যাপার আছে। এটা শুধু নিরাপত্তার জন্য নয়, এটা মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। অনেকগুলো মন্ত্রণালয় এর সঙ্গে সংযুক্ত। এছাড়াও নির্বাচন কমিশন ১৮ বছর হলে একজনকে ভোটার করছে। কিন্তু যেকোন কাজে একজন ১০ বছর বয়সী নগরিকের তথ্যও প্রয়োজন হতে পারে।  সুতরাং যার দায়িত্ব সে নিলে কাজে শৃঙ্খলা থাকবে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলছে, যেই শিশু আজ জন্ম নিলো তার রেজিস্ট্রেশন করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। জনসংখ্যার বিষয়টি নিয়ে কাজ করে পরিসংখ্যান ব্যুরো। এমন অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলোকে বিচ্ছিন্ন করে দেখার সুযোগ নেই। তবে এনআইডি সরকারের কাছে যাচ্ছে এরকম কথাটি উঠেছে। কিন্তু পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এটি নিয়ে আলাদা অথরিটি আছে। তাই  দীর্ঘমেয়াদি কি হতে পারে সেটি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। বিদেশে কিভাবে করা হচ্ছে সেটিও দেখা হচ্ছে। বিদেশে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অথরিটি আছে, অথবা ইনডিভিজুয়াল অথরিটি আছে। এই অথরিটি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। ফলে সবাই তাদের কাছ থেকে তথ্য নিতে পারে। এমন বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে দীর্ঘ মেয়াদে কি হবে সেভাবে পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গঠিত কমিটির অন্যতম সদস্য ও যুগ্মসচিব (বিধি ও সেবা এবং আইন) শফিউল আজিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, “এনআইডির বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের বিষয়ে আমরা সবার সাথে আলোচনা করে মতামত দেবো। আমাদের মতামত দেয়ার কোন সময় বেঁধে দেয়া হয়নি। তবে স্থানীয় সরকার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পরিসংখ্যান বিভাগসহ অনেকেই এর সঙ্গে রিলেটেড। শুধু নাগরগরিকত্ব নয় সব কিছুতেই এটি প্রয়োজন হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে আমাদের নাগরিক নিরাপত্তা, চোরাচালন প্রতিরোধসহ অন্যান্য বিষয়ের জন্য এটি তাদের দায়িত্ব দেয়া দরকার। তারা বলছে তারা কার্ডের কাজটিসহ তাদের পার্টটি যদি তারা করতে পারে। তবে তারা বলেনি পুরোটাই তাদের দিয়ে দিতে, তারা তাদের অংশটা চাচ্ছে। আমরা সেই সমন্বয়ের কাজটিই করছি।”

"এনআইডি'র বিষয়টি  তাদের দেয়া হবে কিনা সেটি তো এখনকার বিষয় নয়। উচ্চ পর্যায় এটি সিদ্ধান্ত নেবে। তারা এনআইডির সার্ভারটি চাইলেই হবে না। কোথায় কোথায় লোকবল রিপেয়ার করবে, কিভাবে সমন্বয় করবে সেসব মিলে সব কিছু যাচাই বাছাইয়ের জন্যই আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। নইলে এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেই সরাসরি দিয়ে দেওয়া হতো।"

সরকারের অধীনে গেলে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে কিনা; সে বিষয়ে তিনি বলেন, “এটা যখন ইন্টিগ্রেট হবে তখন এখানে কারো একার কিছু করার সুযোগ নেই। এটা দিয়ে কিছু করতে গেলে অন্যদের কাছে হিট করবে। সিস্টেম তো কারো একার অধীনে থাকবে না। আমরা বলছি নির্বাচন কমিশনের দরকার শুধু ভোটারের বিষয়টা। লোকাল গভমেন্টের দরকার কতজনের জন্ম মৃত্যু হলো সেটা। পাসপোর্টের দরকার সে আমার নাগরিগরিক কিনা। পুলিশের দরকার তার লোকেশন। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দরকার বিভিন্ন বয়সের মানুষের তথ্য। যার যার জিনিসটা সে সে দায়িত্ব নেবে। এটা কারো একার প্রোপার্টি নয়। কমিশন কমিশনের কাজটি করছে, সেটা তাদের পার্ট তারা করবে। কিন্তু এটা যাতে ইনসিকিউরড না হয়, যাতে কেউ বলতে না পারে জাল এনআইডি তৈরি হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে আমাদের দুর্বলতা কিন্তু আছে, গণমাধ্যমে বিষয়গুলো আসছে।”

এনআইডিতে থাকা নিজেদের অংশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নেওয়ার প্রস্তাবকে ‘অযৌক্তিক’ বলেছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।


তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, "এটা করা কোনভাবেই ঠিক হবে না। যাতে এটা জনকল্যাণমূলক কাজের বাইরে ব্যবহৃত না হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। কোনভাবেই এটি সরকারের কাছে হস্তান্তর করা যৌক্তিক হবে না। আমাদের কোন কারণ নেই এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আস্থাশীল হওয়ার। যে উদ্দেশ্যে এটা করা হয়েছে তার বাইরে এটা কোনভাবেই ব্যবহার করার সুযোগ দেওয়া উচিত নয়। তবে এনআইডির বিষয়টি আমাদের একটি বড় অর্জন, কিন্তু এটাকে বিভিন্ন দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে এক অর্থে দূষিত করা হয়েছে। আমার মনে হয় অন্যরা এটি ব্যবহার করার সুযোগ পেলে এর প্রতি যে আস্থাশীলতা, গ্রহণযোগ্যতা ও সঠিকতা সেটি প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে।"


 

   

হাজারীবাগে ১০ তলা ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর হাজারীবাগে একটি নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনের ছাদ থেকে নিচে পড়ে রফিকুল (৩৫) নামে এক শ্রমিক মারা গেছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে হাজারীবাগ বায়তাল মহারম মসজিদের পাশে ঘটনাটি ঘটে।

রফিকের সহকর্মী মো. শাহিন জানান, রফিকের বাড়ি ভোলা জেলার তজুমুদ্দিন উপজেলায়। বর্তমানে মোহাম্মদপুর চাঁদ উদ্যান এলাকায় থাকতেন তিনি। হাজারীবাগের ওই ভবনে রড মিস্ত্রীর কাজ করতেন।

তিনি আরও জানান, সকালে ওই ১০তলা ভবনের ছাদে সেন্টারিংয়ের টিনের সিট খুলছিলেন রফিক। এ সময় অসাবধানতাবসত ১০তলা থেকে নিচে পরে গুরুতর আহত হন। মুমূর্ষু অবস্থায় সহকর্মীরা ওই শ্রমিককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক দুপুর ২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

;

গৌরীপুরে শসার মণ ১শ টাকা, লোকসানে চাষিরা



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে প্রতি মণ শসা বিক্রি হচ্ছে, ৮০-১০০ টাকা দরে। শসার ন্যায্য দাম না পাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে চাষিদের। অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছেন আবার অনেক কৃষক লোকসানের ভয়ে ক্ষেতের শসা ক্ষেতেই রেখে দিচ্ছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার কয়েকটি গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষেত থেকে শসা তুলছেন কৃষকেরা। কেউ পাইকারি দরে প্রতি কেজি শসা দুই টাকা আড়াই টাকা দামে বিক্রি করছেন। কেউ শসা তুলে ক্ষেতেই ফেলে দিচ্ছেন অথবা কেউ ক্ষেত থেকে শসা তুলছেনই না!

উপজেলার অচিন্তপুর গ্রামের শসাচাষি আমিনুল হক শাহীন বলেন, এবার ৪০ শতাংশ জমিতে শসার আবাদ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে। প্রথমদিকে ৮০-৯০ টাকা মণ দরে বিক্রি করলেও এখন তো ক্ষেতেই যাই না। কারণ, শসা ৮০-১০০ টাকা মণ দরে এখন বিক্রি করতে হচ্ছে। শসা বিক্রি করে ন্যায্য দাম না পাওয়ায় শ্রমিকদের মজুরি দিয়ে শসা উত্তোলন করে কোনো লাভ নেই। ক্ষেতের মধ্যেই শসা লাউয়ের মতো বড় হচ্ছে। ক্ষেতেই পচে যাচ্ছে।

মোবারকপুর গ্রামের চাষি আলী বলেন, ৩০ শতাংশ জমিতে শসা চাষ করেছি। ফলন দেখে খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমানে শসা তুলে বাজারে নিয়ে গেলে বিক্রি হচ্ছে না। এক পরিচিত পাইকারের কাছে ৯০-১০০ মণ দরে বিক্রি করেছি। বাজার দরে হতাশ হয়ে পড়েছি। লাভ তো দূরের কথা, খরচ তোলাই তো দায় হয়ে পড়েছে!

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার অচিন্তপুর থেকে বস্তায় করে শসা সিলেটে পাঠানো হচ্ছে, ছবি- বার্তা২৪.কম

ব্যবসায়ী মিন্টু মিয়া বলেন, আমরা বিভিন্ন কৃষকের কাছ থেকে ১শ টাকা মণ দরে কিনে সিলেটে বিক্রি করি ২শ টাকা মণে। বর্তমানে এক ট্রাক শসা পাঠাতে মণপ্রতি আড়ৎদারকে দিতে হয় ২০ টাকা। লেবার খরচ হয় ১৫ টাকা। বস্তা কিনতে হয় ২০ টাকায় এবং পাঠাতে ভাড়া লাগে ২২ হাজার টাকা। এই টাকা খরচ করে সিলেটে শসা পাঠালে এখন আর আমাদের লাভ হয় না। লোকসান গুণতে হচ্ছে।

ইছুলিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী আশরাফুল ইসলাম আশরাফ বলেন, এখন শসার ব্যবসা করে আমরা লোকসানের মধ্যে আছি। আমাদের ২/৩ লাখ টাকা করে লস হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন জলি বলেন, রমজান মাসকে সামনে রেখে গৌরীপুরের কৃষকেরা বেশি পরিমাণে শসা উৎপাদন করেছেন এবং বাম্পার ফলনও হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় বাজারে আমদানিও বেশি। সে কারণে দাম দ্রুত কমে যাচ্ছে। দাম কমে যাওয়ায় কৃষকদের লাভ কম হচ্ছে।

 

;

একদিন আগেই দুবাই পৌঁছাবে দস্যুমুক্ত এমভি আবদুল্লাহ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
একদিন আগেই দুবাই পৌঁছাবে দস্যুমুক্ত এমভি আবদুল্লাহ

একদিন আগেই দুবাই পৌঁছাবে দস্যুমুক্ত এমভি আবদুল্লাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রত্যাশার একদিন আগেই দস্যুমুক্ত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছার আশা করছেন মালিকপক্ষ। আগামীকাল রোববার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যা নাগাদ জাহাজটি বন্দরে নোঙর করবে। এর আগে ২২ এপ্রিল জাহাজটি দুবাইয়ে পৌঁছতে পারে বলে জানিয়েছিল জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপ। তবে জাহাজটির বর্তমান অবস্থান অনুযায়ী দ্রুতই দুবাই অভিমুখে এগিয়ে চলায় আগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে তারা।

জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া অ্যাডভাইজর মিজানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যা নাগাদ এমভি আবদুল্লাহ দুবাইয়ের হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাবে। সেখানে বার্থিং শেষে আরও ৪-৫ দিনের আনুষ্ঠানিকতা আছে। তারপর ২১ নাবিক জাহাজটি নিয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছাবে। দুজন আসবেন উড়োজাহাজে।’

মালিকপক্ষের একটি সূত্র জানিয়েছে, রোববার সন্ধ্যা ছয়টার সময় জাহাজটি হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাতে পারে। তবে সেখানে বন্দরের বর্তমান অবস্থান অনুযায়ী সেখানে বার্থিং ২৪-৩২ ঘণ্টা বিলম্ব হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আর জোয়ারের সময় এই বার্থিং হতে পারে। মালিকপক্ষের প্রতিনিধি হিসেবে কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম নাবিকদের গ্রহণ করতে দুবাই যাচ্ছেন।

১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাবার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ।এরপর জাহাজটিকে নিজেদের উপকূলে নিয়ে যায় দস্যুরা। সেখানে প্রায় এক মাস ধরে নাবিকদের জিম্মি করে রাখে তারা। এর ৩৩ দিন পর মুক্তিপণের অর্থ পেয়ে ১৩ মার্চ দিবাগত রাত ৩টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজ ছেড়ে চলে যায়। এরপর গন্তব্য দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয় জাহাজটি।

সোমালি উপকূল পেরিয়ে এডেন উপসাগর হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ। দস্যুমুক্ত হওয়ার পর নিরাপদ এলাকায় না পৌঁছানো পর্যন্ত ইইউএনএভিএফওআরের যু্দ্ধজাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যায়। এর মধ্যে এডেন উপসাগর পর্যন্ত সাগর নিরাপদ নয়। এডেন উপসাগর পার হওয়ার পর যুদ্ধজাহাজগুলো এমভি আবদুল্লাহকে বিদায় দিয়ে নিজেদের গন্তব্যে ফিরে যায়। অবশ্য জাহাজে নিজস্ব উদ্যোগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এমভি আবদুল্লাহর রেলিংয়ের চারপাশে লোহার কাঁটাতার, ডেকে ফায়ার হোস, জাহাজে নিরাপত্তার জন্য সংরক্ষিত এলাকা সিটাডেল, ইমার্জেন্সি ফায়ার পাম্প এবং সাউন্ড সিগন্যাল প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এছাড়া সমুদ্র পথে নিরাপত্তা ঝুঁকি মূল্যায়নকারী এবং ঝুঁকি হ্রাসে পরামর্শদাতা এমব্রেই গার্ডিয়ান সার্ভিস নামের যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের সেবা নিয়েছে জাহাজের মালিক পক্ষ এসআর শিপিং। আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছানো পর্যন্ত জাহাজটির চারপাশে কোনো ঝুঁকি থাকলে তা ক্যাপ্টেনকে জানাবে প্রতিষ্ঠানটি। 

;

চট্টগ্রামে রিকশায় লরির ধাক্কা, শিশুর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
সড়ক দুর্ঘটনা

সড়ক দুর্ঘটনা

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় তাছলিমা হাসান তায়েবা নামের দেড় বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে কাঠগড় বাইতুন নূর জামে মসজিদের বিপরীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তাছলিমা হাসান তায়েবা ইপিজেড থানার কাজীর গলি এলাকার মো. হাসানের ছেলে।

পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবিরুল ইসলাম বলেন, কাঠগড় বাইতুন নূর জামে মসজিদের পাশের সড়ক দিয়ে রিকশা করে হাসান ও তার স্ত্রী তাদের দেড় বছরের কন্যা শিশুকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় বেপরোয়া গতিতে আসা একটি লরি রিকশাকে ধাক্কা দিলে শিশু তায়েবা মাথায় গুরুতর আঘাত পায়। পরে স্থানীয়রা তায়েবাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

তায়েবার মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুত শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি।

;