জেলা সদরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীই শেষ আশ্রয়: এমপি পীর মিসবাহ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শন্তিগঞ্জের পরিবর্তে জেলা সদরে স্থাপনের দাবিতে জনসভা

সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শন্তিগঞ্জের পরিবর্তে জেলা সদরে স্থাপনের দাবিতে জনসভা

  • Font increase
  • Font Decrease

সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য  ও বিরোধীদলের হুইপ অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেছেন, হাওর অধ্যুষিত প্রান্তিক জেলা সুনামগঞ্জের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়-সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উপহার দিচ্ছেন। কিন্তু আমরা দুঃখের সাথে লক্ষ্য করছি যে সবগুলো প্রতিষ্ঠানই দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শান্তিগঞ্জে স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা সদরকে বঞ্চিত করে দুই কিলোমিটার আয়তনের মধ্যে এতগুলো প্রতিষ্ঠান স্থাপনের উদ্যোগ রহস্যজনক। জেলা সদরে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবিতে সব মত পথের মানুষ আজ এক মঞ্চে এসে দাঁড়িয়েছেন। আমাদের আস্থার জায়গা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি জানাতে এই ট্রাফিক পয়েন্টে আজ সমবেত হয়েছি। হাওরের সমস্ত মানুষের সুবিধার জন্য প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়টি যেন সুনামগঞ্জ জেলা সদরে স্থাপিত হয়।

মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শন্তিগঞ্জের পরিবর্তে জেলা সদরে স্থাপনের দাবিতে রোববার (২৫ অক্টোবর) শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে সদর আসনের এমপি মিসবাহ মানববন্ধনের ডাক দিলে জনগণের অংশগ্রহণে বিশাল জনসভায় পরিণত হয়।

দাবির সাথে একাত্মতা জানাতে বিভিন্ন স্থান থেকে মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার  হাজারো মানুষ খণ্ডখণ্ড মিছিল নিয়ে যোগ দেন। এক পর্যায়ে মানববন্ধন জনসমাবেশে রূপ নেয়। প্রতিবাদী মানুষের পদভারে ভরে উঠে গোটা ট্রাফিক পয়েন্ট থেকে তিনদিকের জনপথ। যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায় জনস্রোতে।

পীর মিসবাহ বলেন, সুনামগঞ্জের অধিকার বঞ্চিত মানুষেরা আজ বিক্ষুব্ধ, ব্যথিত। তাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমি অতীতে কথা দিয়েছিলাম মানুষের অধিকারের ব্যাপারে জাতীয় সংসদে ও রাজপথে কখনো বোবা নয় সরব থাকবো। এই তাগিদ থেকে আমি জেলাবাসীর পক্ষে আজ রাজপথে দাঁড়িয়েছি। আমরা জানি শান্তিগঞ্জের দুই কিলোমিটারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সমস্ত মেগা প্রকল্প যদি নিয়ে যাওয়া হয় তবে  শতবর্ষী এই সুনামগঞ্জ জেলা সদর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে যাবে। এতে আমাদের ও প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের মৃত্যু হবে। হাওরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষের দূর্ভোগ কোন দিন শেষ হবে না।

তিনি বলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী আপনার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা রয়েছে। আপনি শুধু শান্তিগঞ্জের মন্ত্রী নন। আপনি এই সুনামগঞ্জ তথা বাংলাদেশের মন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী আপনাকে সম্মান দিয়েছেন, আমরাও আপনাকে সম্মান করি। প্রধানমন্ত্রী হাওরের মানুষকে ভালবেসে এই সুনামগঞ্জের উন্নয়নে প্রকল্প দেন, যা কোন মন্ত্রী-এমপির দান-অনুদান নয়, এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার। আপনি সবকিছুই শান্তিগঞ্জে নিতে পারেন না। আপনি আমাদের প্রতি সুবিচার করুন, আমরা আপনাকে সম্মান করবো, স্মরণ রাখব। বঙ্গবন্ধুর মতো প্রধানমন্ত্রীও বলেন, আমার কাছে গোপালগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ এক। প্রধানমন্ত্রীর এই দরদ, ভালোবাসা, উপহার নিয়ে কেউ অবিচার করতে পারেন না।

পীর মিসবাহ বলেন, যেহেতু হবিগঞ্জ, চাঁদপুরের বিশ্ববিদ্যালয় সংশোধন করে জেলা সদরে স্থাপন করা হচ্ছে, তাই আমি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলাম আমাদের বিশ্ববিদ্যায়টিও যোগাযোগ সুবিধা দিক থেকে এগিয়ে থাকা সদরে স্থাপিত হবে।  স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সভাপতি ও মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রীকে লিখিত আবেদন করেছিলাম জেলা সদরে যেন বিশ্ববিদ্যালয় হয়। কিন্তু মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী জানান, পরিকল্পনা মন্ত্রী শান্তিগঞ্জে প্রতিষ্ঠার লিখিত আবেদনই দেননি, কোন মৌজায় হবে তাও নির্ধারণ করে দেন। সেদিন ব্যথিত হৃদয়ে সংসদ থেকে আমাকে বের হয়ে আসতে হয়েছিলো। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার জন্য শিক্ষামন্ত্রী আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন। 

পীর মিসবাহ বলেন, আমি সুনামগঞ্জ পরিকল্পনা মন্ত্রীকে দেয়া স্টেডিয়ামের সংবর্ধনা সভায়ও সদরে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুরোধ করেছিলাম। সংসদেও অনেক বলেছি। ৮ তারিখ সংসদে বিল পাশের জন্য উত্থাপন হলে শান্তিগঞ্জ নয়, জেলা সদরে প্রতিষ্ঠার সংশোধনী দেবো। একই সঙ্গে আমাদের শেষ ভরসার স্থল জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো সুনামগঞ্জের গনমানুষের প্রাণের দাবি গ্রহণ করে আমার সংশোধনীটি গ্রহণ করতে। আমার বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী মানুষের প্রাণের দাবি রাখবেন। আমার প্রতি তার অগাধ স্নেহ রয়েছে।

তিনি বলেন, মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী আপনি একজন সৎ ও সজ্জন মানুষ। এই যে সরকারে এতগুলো প্রতিষ্ঠান শান্তিগঞ্জের দুই কিলোমিটারের মধ্যে স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আপনাকে যারা মৌজা উল্লেখ করে দেয়, কোন মৌজায় কোন প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হবে- সেইসব মৌজায় নতুন করে ক্রয়সূত্রে কারা ভূমির মালিক হয়েছে, সেটি খতিয়ে দেখলে অনেককিছুই আপনার কাছে পরিস্কার হয়ে যাবে।

পীর মিসবাহ বলেন, টেক্সটাইল ইন্সটিটিউট, বস্ত্র  সচিব থাকতে ফণীভূষণ চৌধুরী ছাতকে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। কাজও অগ্রসর হয়। তিনি ক্যান্সারে মারা যান। এটা একদিন বিশ্ববিদ্যালয় হবে। সেটিও আজ শান্তিগঞ্জে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এটা কী ন্যায় সঙ্গত? বিআরটিএ অফিস কাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, যুব মহিলা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, দুটি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র মুজিব কেল্লা- সবগুলো প্রতিষ্ঠানই জেলা সদরকে বঞ্চিত করে হয় শান্তিগঞ্জ, না হয় শান্তিগঞ্জের পাশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যেকারণে আমরা বসে থাকতে পারি না। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর দেয়া মেডিকেল কলেজ ও নামে জেলা সদরে হলেও শান্তিগঞ্জের দুই কিলোমিটারেরর মধ্যে রয়েছে। জেলার মন্ত্রী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর সব উপহার শান্তিগঞ্জে নিলে জনগন মানবে না। যারা বিভ্রান্তি ছড়ান আন্দোলন হলে বিশ্ববিদ্যালয় চলে যাবে তারা জানেন না এটা যাবে না। এটা প্রধানমন্ত্রীর দান। এখনো সময় আছে সদর জেলায় প্রতিষ্ঠার। পীর মিসবাহ জনগনের ন্যায্য দাবি তে গড়ে ওটা আন্দোলনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, বিভ্রান্তির পথ ছেড়ে ঐক্যকে সুসংহত করার দাবি জানান। 

মানববন্ধনে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, হাওর আন্দোলন নেতা মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান সুফিয়ান, সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি সাইফুল ইসলাম সমছু, সাবেক প্যানেল ময়ের মনির উদ্দিন মনির, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ জুবের আহমদ অপু, জাপা নেতা আব্দুর রশিদ, মানবাধীকার আন্দোলন  নেতা ফজলুল হক প্রমুখ।

   

বিএনপির শাসনামলে দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল, এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকারের আমলে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে দেশ। আর বিএনপির সময় খাদ্য ঘাটতি ছিল বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

তিনি বলেন, নিজেদের আমিষ, নিজেরাই উৎপাদন করবো। খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি পুষ্টির নিরাপত্তাও নিশ্চিত করবে সরকার। 

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টায় শেরে বাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনা এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম, তখন দেখলাম ৪০ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি। এই অবস্থায় আমরা যাত্রা শুরু করেছি। তখন রিজার্ভ মানিও তেমন ছিল না। এশিয়াতে তখন খাদ্য মন্দা। আমাদের লক্ষ্য ছিল, আমরা কারো কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব।

বিএনপির সময় দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, বিএনপির সময় আমাদের খাদ্যের জন্য অন্য দেশের উপর নির্ভরশীল থাকতে হতো। তাদের চিন্তাধারা ছিল দেশকে পরনির্ভরশীল করা। কিন্তু আমরা ক্ষমতায় আসার পর সেই অবস্থা থেকে ফিরে এসেছি। এখন বাংলাদেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ।

;

১৩ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১৩ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

১৩ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

 

মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো.হাসানুজ্জামান ওরফে হাছান (৪২) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) র‌্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি শিহাব করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গতকাল বুধবার রাতে র‌্যাব-২ ও র‌্যাব-৬ রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে।

শিহাব করিম বলেন, জানা যায়, মো. হাসানুজ্জামান বিগত ২০১১ সালে ৯৫০ বোতল ফেনসিডিল সহ মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হাতে গ্রেফতার হয়। পরবর্তীতে আসামির বিরুদ্ধে ঢাকার গুলশান মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা রুজু হয়। মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামি ১৭ মাস জেল হাজতে কারাবাস পর বিজ্ঞ আদালত হতে জামিনে মুক্তি লাভ করে নিয়মিত আদালতে হাজিরা না দিয়ে পলাতক হয়।

তিনি বলেন, অন্যদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরবর্তীতে আসামি মোঃ হাসানুজ্জামান পলাতক থাকা অবস্থায় বিজ্ঞ আদালত বিচারিক কার্যক্রম শেষে আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন।

গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু হওয়ার পর থেকে আসামিকে গ্রেফতার সংক্রান্তে গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ এর অধিযাচন পত্রের প্রেক্ষিতে র‌্যাব আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-২ ও র‌্যাব-৬ এর একটি যৌথ আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানাধীন সাতরাস্তা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

;

রাজবাড়ীর বিখ্যাত চমচমের কারিগর শংকর সাহা মারা গেছেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে সুপরিচিত রাজবাড়ীর বিখ্যাত শংকরের চমচম। সুস্বাদু এই চমচমের কারিগর রাজবাড়ী বাজারের বিশিষ্ট মিষ্টি ব্যবসায়ী শংকর মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের প্রতিষ্ঠাতা শংকর সাহা মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় মৃত্যুর বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন শংকর সাহার ভাতিজা পুলক সাহা।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১ টার দিকে তিনি মারা যান।

তিনি রাজবাড়ী পৌরসভার বিনোদপুর গ্রামের বাসিন্দা। এ ছাড়াও তিনি লক্ষ্মীকোল হরিসভা (পুরাতন) মন্দিরের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপালন করছিলেন।

পুলক সাহা বার্তা২৪.কমকে জানান, বুধবার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে তিনি বাথরুমে যান। সেখানে মাথা ঘুরে পড়ে যান। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শংকর সাহার ছোট জামাই শ্রীকান্ত বিশ্বাস রাহুল জানান, তার শ্বশুর শংকর সাহা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজবাড়ী শহরের পৌর মহাশ্মাশানে তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।

শংকর সাহার মৃত্যুতে রাজবাড়ী লক্ষ্মীকোল হরিসভা মন্দির কমিটিসহ শহরের বিশিষ্টজনেরা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে শেষ বারের মতো দেখতে এলাকাবাসীসহ শুভাকাঙ্ক্ষীগণেরা বিনোদপুর পাওয়ার হাউজ সংলগ্ন বাসভবনে ভিড় করছেন। মৃত্যুকালে তিনি ৩ মেয়েসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন।

১৯৮২ সালে শংকর সাহা প্রতিষ্ঠিত করেন ‘শংকর মিষ্টান্ন ভান্ডার’। সেই থেকে টানা ৪২ বছর সুনামের সহিত ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। রাজবাড়ীর চমচম বলতে সারাদেশে শংকরের চমচমকেই বোঝায়। শংকর সাহার মৃত্যুতে তার নিজ হাতে প্রতিষ্ঠিত শংকর মিষ্টান্ন ভান্ডার আজ বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকবে বলে জানান তার স্বজনরা।

;

টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মেরিনা তাবাশ্যুম

মেরিনা তাবাশ্যুম

  • Font increase
  • Font Decrease

খ্যাতনামা মার্কিন সাময়িকী টাইম–এর করা বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের মেরিনা তাবাশ্যুম। তিনি একজন স্থপতি। উদ্ভাবক ক্যাটাগরিতে এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন মেরিনা।

গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) ২০২৪ সালের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির এ তালিকা প্রকাশ করেছে টাইম।

তাঁর সঙ্গে তালিকায় থাকা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন রাশিয়ার ইউলিয়া নাভালনায়া, শান্তিতে নোবেলজয়ী ইরানের মানবাধিকার কর্মী নার্গিস মোহাম্মদী, পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্কসহ পরিচিত অনেক মুখ। ভারতের চলচ্চিত্র অভিনেত্রী আলিয়া ভাট শিল্পীশ্রেণিতে এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন।

মেরিনা সম্পর্কে টাইম লিখেছে, সচরাচর পুরস্কারজয়ী স্থপতিদের সঙ্গে পরোপকার শব্দটি তেমন একটা উল্লেখ করা হয় না। তবে মেরিনা তেমন সাধারণ নন। তিনি স্থাপত্য চর্চায় এমন একটি চর্চা তৈরি করেছেন, যাতে স্থানীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের পাশাপাশি আমাদের এই ধরিত্রী যে বিপদের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা অগ্রাধিকার পায়।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। টাইম লিখেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের বড় ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশে মেরিনা তাবাশ্যুম এমন এক ঘরানার বাড়ি তৈরি করেছেন, যার নির্মাণ ব্যয় যেমন কম, তেমনি এই বাড়ি সহজে স্থানান্তরও করা যায়।

স্থপতি মেরিনা তাবাশ্যুমের এটিই প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নয়। ২০২১ সালে মানবিক ঘর তৈরির জন্য যুক্তরাজ্যের মর্যাদাপূর্ণ সন পদক পান তিনি। ২০২০ সালে ব্রিটিশ সাময়িকী প্রসপেক্ট–এর ৫০ চিন্তাবিদের মধ্যে শীর্ষ ১০ জনে স্থান করে নিয়েছিলেন তিনি। তিনি ১০ জনের মধ্যে তৃতীয় হন।

ঢাকার দক্ষিণখানে বায়তুর রউফ নামের একটি শৈল্পিক নকশার মসজিদের স্থপতি হিসেবে ২০১৮ সালে জামিল প্রাইজ পান তিনি। এর আগে একই নকশার জন্য ২০১৬ সালে পান সম্মানজনক আগা খান পুরস্কার। সুলতানি আমলের স্থাপত্যের আদলে নকশা করা এ মসজিদ ২০১২ সালে ঢাকায় নির্মিত হয়।

;