আশ্রয়কেন্দ্রে দগ্ধ শিশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক
নাটোরের সিংড়া পৌর এলাকায় বন্যার্তদের জন্য খোলা একটি আশ্রয়কেন্দ্রে গরম পানি ও চুলার আগুনে দগ্ধ এক শিশুর চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শিশুটি দগ্ধ হবার খবর জানতে পারার কয়েক ঘন্টার মধ্যে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে পাঠিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
ওই শিশুর নাম আব্দুল্লাহ (০৫)। সে সিংড়া পৌরসভার দক্ষিণ দমদমা মহল্লার রিকশা চালক মৃদুল আলীর ছেলে। টাকার অভাবে শিশুপুত্রকে কবিরাজি চিকিৎসা করাচ্ছিলেন চালক মৃদুল আলী।
আজ সোমবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু আব্দুল্লাহর দগ্ধ শরীর ব্যান্ডেজের পর সন্ধ্যায় তাকে ঢাকা পাঠানো হয়।
জানা যায়, চলতি মাসের শুরুর দিকের বন্যায় বাড়ি-ঘর ডুবে যাওয়ায় দমদমা স্কুল এন্ড কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে মা-বাবার সাথে আশ্রয় নেয় শিশু আব্দুল্লাহ। গত মঙ্গলবার মাগরিবের নামাজের সময় মায়ের চোখের অলক্ষে খেলার সময় পাশে থাকা জ্বলন্ত চুলার উপর পড়ে যায় শিশু আব্দুল্লাহ।
এসময় গরম পানিসহ ভাতের পাতিল উল্টে তাঁর গায়ের উপর পড়ে। এরপর আব্দুল্লাহর বাবা সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার প্রাথমিক চিকিৎসা করান। চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢামেকের বার্ণ ইউনিটে নেয়ার পরামর্শ দেন। কিন্ত টাকার অভাবে এখানেই থেমে যায় চিকিৎসা।
সোমবার দুপুরে সিংড়া মডেল প্রেসক্লাব সভাপতি রাজু আহম্মেদ এ ঘটনা জানার পর সহকর্মীদের নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যান। সেখান থেকে ভিডিও কলে ঘটনাটি অবহিত করেন প্রতিমন্ত্রী পলককে। পলক ঘটনাটি জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ঢাকা নেয়ার ব্যবস্থা করেন এবং প্রতিনিধি মারফত ৫ হাজার টাকা শিশুটির বাবার কাছে পৌছে দেন।
সিংড়া পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস ও প্রতিমন্ত্রীর একান্ত কর্মকর্তা মাওলানা রুহুল আমিন জানান, বিকেলে ওই শিশুকে আবারো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। সেখানে শিশুটিকে ঢাকা পাঠানোর উপযোগী করে ব্যান্ডেজ করা হয়। এসময় একটি গাড়ি ভাড়া করে মা-বাবাসহ শিশুটিকে ঢাকায় পাঠানো হয় এবং প্রাথমিক কিছু খরচের জন্য আরও ১৫ হাজার টাকা দেয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম জানান, গরম পানি ও আগুনে শিশুটির শরীরের ৩৬ শতাংশ বহিরাবরণ পুড়ে গেছে।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘শিশু আব্দুল্লাহর চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভার বহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চিকিৎসা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবো। শিশুটি যাতে দ্রুত সুস্থ হয় সেজন্য সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করছি।’
শিশু আব্দুল্লাহর মা-বাবা প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।