চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তির বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীর নিহত ও এক শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ.কে.এম গোলাম মোর্শেদ খানকে প্রধান করে সাত সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আয়োজিত এক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
কমিটির সদস্যরা হলেন- চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি, রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান মেহেবুব, বিআরটিসির সহকারী পরিচালক রায়হানা আক্তার উর্থি, রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী, রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদ হোসেন।
চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য চুয়েট কর্তৃপক্ষ, বাস মালিক সমিতি, পুলিশও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে চুয়েট, পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা দেওয়া হবে। এছাড়াও আহত শিক্ষার্থী ৩ লাখ টাকা পাবেন। কালকের মধ্যেই আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কাগজপত্রসহ ফরমপূরণ করে পাঠিয়ে দিব। স্বল্প সময়ের মধ্যে আমরা সে টাকা পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে পারবো বলে আশা করছি। এছাড়া বাস মালিক সমিতি নিহতের প্রত্যেক পরিবারকে দুই লাখ টাকা ও আহতকে ১ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়া আহত শিক্ষার্থীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে।
সভায় জেলা প্রশাসক আরও বলেন, কাপ্তাই রাস্তা সম্প্রসারণ কাজ ১ মাসের মধ্যে শুরু হবে। এছাড়া রাস্তায় যেন বেপরোয়া গাড়ি চালাতে না পারে সেজন্য স্পিড ব্রেকার দেওয়া হবে। এছাড়া যানবাহনের ফিটনেস, রুট পারমিটসহ সবকিছু আছে কি না তা দেখার জন্য মোবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হবে।
সভায় চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার এস.এম শফিউল্লাহ বলেন, এই ঘটনায় জড়িত শাহ আমানত বাসের চালক ও হেল্পারকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। দ্রুতই তাদেরকে গ্রেফতার করা যাবে বলে আশা করছি।
এসময় চুয়েট উপাচার্য ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, শীঘ্রই চুয়েটে একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য ১ মাসের মধ্যে নতুন দুইটি বাস সংযোজন করা হবে।