গুণীজনের সম্মান করা, আমাদের কর্তব্য: প্রধানমন্ত্রী



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রত্যেকটা মানুষ যখন একটি সমাজের জন্য, একটি জাতির জন্য, একটি দেশের জন্য অবদান রাখে তাদের সম্মান করা আমাদের কর্তব্য।

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেশের নয়জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২০’ প্রদানের জন্য মনোনীত করে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

জাতির পিতার নেতৃত্ব যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশের এগিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন ঘটনা পর্ব তুলে ধরার পাশাপাশি ৭৫ এর ১৫ আগস্ট নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর সবকিছু থমকে যাওয়ার দিক তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করা হয়, তাদেরকে মুক্তি দেয়া হয়। যারা অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করেছিল, মিলিটারি ডিকটেটর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসেই এই যুদ্ধাপরাধীর বিচার বন্ধ করে দেয়। যারা কারাগারে বন্দী ছিল তাদেরকে মুক্তি দেয়। আর যারা দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিল, এমনকি পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিল তাদেরকেও ফিরে আনে। শুধু এখানেই শেষ না, তাদেরকে মন্ত্রীত্ব দেয় উপদেষ্টা করে। জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত হত্যাকারীরা খুব গর্ব করে বলত, কে তাদের বিচার করবে? সেই খুনিদেরকে পুরস্কৃত করেছিল বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে। এই স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে একবার চিন্তা করে দেখেন, আপনাদের স্বাধীন বাংলাদেশের দূতাবাসে কারা ছিল? অথবা দূতাবাসের প্রতিনিধি হিসেবে? তারা হল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের খুনি, হত্যাকারী। তাহলে সে দেশের ভাবমূর্তি কি হতে পারে? সেই সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাগুলো একে একে তা নস্যাৎ করা হয়।

‘২১ বছর পর যখন আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে তারপর থেকে বাংলাদেশের ইতিহাস মানুষের কাছে তুলে ধরা চেষ্টা করেছি। কারণ আমরা তো মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতি। বিজয়ী জাতি কেনো আমরা অন্যের কাছে হাত পেতে চলবো, মাথা নিচু করে চলবো? বিজয়ী জাতি সারাবিশ্বে বিজয়ের বেশে চলবে। জাতির পিতার যে চেতনা এবং যে চেতনায় আমার লাখো শহীদ বুকের তাজা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনে দিয়ে গেছে, তাদের সেই আত্মত্যাগের কথা, আমার লাখো মা-বোন; তাদের মহান আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করেই আমরা এই বাংলাদেশকে আবার গড়ে তুলতে চাচ্ছি ক্ষুধামুক্ত দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা হিসেবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়া, লেখাপড়া এবং শিক্ষার ব্যবস্থা যেন প্রতিটি মানুষ পায় তা ব্যবস্থা করা, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করা, প্রত্যেক ঘরে ঘরে আলো জ্বালানো, প্রতিটি গৃহহারা-ভূমিহীন মানুষের ঘর বাড়ি তৈরি করে দেয়া, অর্থনৈতিকভাবে আত্মনির্ভরশীল করা, আত্মমর্যাদাশীল করা, কারো কাছে ভিক্ষা চেয়ে হাত পেতে নয়, নিজের পায়ের দাঁড়িয়ে সম্মানের সাথে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলা; এ লক্ষ্য নিয়েই কিন্তু রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেন স্বাধীন জাতি হিসাবে মর্যাদা নিয়ে চলতে পারি। আমাদের লক্ষ্য ছিল, মুজিববর্ষে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী আমরা উদযাপন করছি। এই মুজিববর্ষে আমরা দারিদ্র্যের হার ২০ ভাগে নামিয়ে এনেছিলাম। বাংলাদেশকে আমরা দারিদ্রমুক্ত ক্ষুধামুক্ত করবো-উন্নত সমৃদ্ধ করবো, দেশের কোনো মানুষ যেন না খেয়ে কষ্ট না পায় সেইদিকেই লক্ষ্য রেখেই আমরা কিন্তু আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি’।

তিনি বলেন, আমরা যথেষ্ট অর্জনও করেছি। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদাও পেয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্য করোনাভাইরাস নামে এমন এক ভাইরাস আসলো যা শুধু আমাদের বাংলাদেশ না, সারাবিশ্বব্যাপী মানুষকে স্থবির করে দিয়েছে। অর্থনীতি স্থবির করে দিয়েছে। কিন্তু সেটা মোকাবেলা করার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। যেন দেশের মানুষগুলি সুরক্ষা পায় এবং মানুষ যেন ভালভাবে চলতে পারে এবং অর্থনীতি যেন গতিশীলতা না হারায়।

শেখা হাসিনা বলেন, তাছাড়া দেশের উন্নয়নে অনেকগুলি মেগা প্রজেক্টও আমরা নিয়েছি। অনেক কাজ আমরা করে যাচ্ছি। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করে যাচ্ছি। আমরা খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে প্রায় খাদ্যে উর্ধ্বত্তে দেশের উন্নীত হয়েছি। আমরা খাদ্যের নিরাপত্তার সাথে সাথে এখন পুষ্টি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে যাচ্ছি। এভাবে মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলি যেটা আমাদের সংবিধানে রয়েছে, সেটা পূরণ করার প্রত্যেকটা পদক্ষেপ কিন্তু হাতে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

করোনাভাইরাসের মধ্যেও স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান তিনি।

তিনি বলেন, আপনারা যারা এখানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত হয়েছে তাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ। কারণ আপনারা সকলে আপনাদের স্ব স্ব ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখে গেছেন।

তিনি আরো বলেন, প্রতি বছর ২৫ শে মার্চ আমরা এই পুরস্কারটা দিয়ে থাকি। কিন্তু এবারে ওই মার্চ মাসে এমনভাবে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা গেল; তখন বাধ্য হয়ে আমরা সব অনুষ্ঠান স্থগিত করলাম। এমনকি জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর যে অনুষ্ঠান ১৭ মার্চ ব্যাপকহারে করার কথা ছিল, সেটাও আমরা লোকসমাগম না করে ভার্চুয়াল করতে বাধ্য হলাম।

‘কারণ প্রত্যেকটা মানুষ যখন একটা সমাজের জন্য, একটি জাতির জন্য একটি দেশের জন্য অবদান রাখে, তাদের একটা সম্মান করা, গুণীজনের সম্মান করা, এটা আমি মনে করি আমাদের কর্তব্য’।

আমি শুধু এই টুকু বলবো, দোয়া করবেন যেন আমরা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। আর করোনাভাইরাসের হাত থেকে আমাদের দেশে-প্রবাসে যারা আছে বা সারাবিশ্বই যেন মুক্তি পায়। আর আমাদের সকলকে অনুরোধ করবো- স্বাস্থ্য সুরক্ষাটা মেনে চলতে। আবার নতুন ভাবে এই প্রাদুর্ভাব দেখা গেছে ইউরোপে ব্যাপকভাবে এবং ইউরোপে যখন আসে এই ধাক্কাটা আমাদের দেশেও আসে। কিন্তু আমরা এখন থেকে প্রস্তুত, আমরা এখন থেকে তৈরি হচ্ছি। বিভিন্নভাবে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রত্যেকটা জেলা হাসপাতালকে আমরা প্রস্তুত রাখছি।

দেশের জনগণের কাছে দোয়া কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারাও দোয়া করেন, যেন জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলাদেশ যেন আমরা গড়তে পারি।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্তদের হাতে তুলে দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল।

   

সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান দুঃখজনক: তথ্য প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান দুঃখজনক: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান দুঃখজনক: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

জননিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের জারি করা নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও নেতিবাচক বিবৃতি দেওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে তার দপ্তর কক্ষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকারের নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যে নির্দেশনা জারি করেছিল সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান করা ছিল হঠকারী ও দুঃখজনক। তাদের এই আচরণে সরকার খুবই ব্যথিত ও মর্মাহত।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পহেলা বৈশাখে রমনা বটমূলে এবং যশোরের উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছে। হলি আর্টিজান, শোলাকিয়া ময়দান ও সিলেটে ঈদের জামাতের জঙ্গি হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং জনগণের জীবন বাঁচিয়েছেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানে সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সবসময় সতর্ক থাকায় অতীতে মতো বাংলাদেশে কোন জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারেনি। এই বিষয়ে সরকার সকলের সহযোগিতা কামনা করে।

তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯৩ সালে ১৪০০ বঙ্গাব্দে, বাংলা শতবর্ষ বরণ করার সময় বেগম খালেদা জিয়া সরকার বাধা দিয়েছিল। তাদের বাধা দেয়ার উদ্দেশ্য ছিল নিরাপত্তাজনিত নয় বরং বাঙালির সার্বজনীন, অসাম্প্রদায়িক এই উৎসবকে নিরুৎসাহিত করা। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল সংগঠনসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা আমরা সকলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেছিলাম।’

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের কর্তব্য। আশা করব এক্ষেত্রে সবাই সবসময় সহযোগিতা করবেন যাতে আনন্দের অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়।

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যে অনুষ্ঠান উদীচী করেছে সেখানে যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটতো তার দায়-দায়িত্ব কে নিতো এ প্রশ্ন রেখে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি নিয়ম বা নির্দেশ না মেনে অনুষ্ঠান যারা করবেন তাদেরকেই সেই দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।’

আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে যথাযথভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয় উল্লেখ করে এ সময় মোহাম্মাদ আলী আরাফাত আরও যোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য বাংলা নববর্ষ ভাতা ব্যবস্থা করেছে। তার সরকারের সময়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো ২০১৬ সালে বাংলাদেশের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’-কে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।

;

২ ঘণ্টা পর মহাখালী-এয়ারপোর্ট সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পুলিশের হাতে বাস চালককে মারধরের প্রতিবাদে মহাখালী-এয়ারপোর্ট সড়ক অবরোধের প্রায় ২ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা ২৫ মিনিটে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর আগে রাত ৯ টার দিকে সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ পরিবহন শ্রমিকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হাউজ বিল্ডিং এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রূটে চলাচলকারী আলম এশিয়া বাসের চালককে সিগনাল দেয় ট্রাফিক সার্জেন্ট। কাগজপত্র ও যাত্রী হয়রানির অভিযোগ এনে বাসের চালককে নামিয়ে পরে মারধর করেন। পরে পুলিশের সহযোগিতায় গাড়ি ভাঙচুর হয় বলেও জানান পরিবহন শ্রমিকরা।

পরে ৯ টার দিকে মহাখালি বাস টার্মিনাল এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। পুলিশ ও শ্রমিক নেতাদের ঘণ্টা ব্যাপী মিটিং শেষে ১১ টার দিকে অবরোধ তুলে নিলেও কয়েক মিনিট পর দুই দফা দাবি নিয়ে আবারও সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা।

বাস চালককে মারধরের অভিযোগের বিষয়ে জানতে খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি তিনি।

এ বিষয়ে বাস মিনিবাস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ নবী বলেন, শ্রমিককে মারধরের ঘটনা বার বার ঘটে কিন্তু আমরা কোন বিচার পাই না। পুলিশের এমন আচরণে আমরা শঙ্কিত। আমরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে বদলির করতে হবে।

;

পুলিশের বিরুদ্ধে বাস চালককে মারধরের অভিযোগ, মহাখালী সড়ক অবরোধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় পুলিশের বিরুদ্ধে বাস শ্রমিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রায় ২ ঘণ্টা মহাখালী-এয়ারপোর্টে সড়ক অবরোধ করছে পরিবহণ শ্রমিকরা।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটে।

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে খিলখেতে মারধরের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

শ্রমিকদের অভিযোগ, সন্ধ্যায় রাজধানীর হাউজ বিল্ডিং এলাকায় ঢাকা ময়মনসিংহ রূটে চলাচলকারী আলম এশিয়া বাসের চালককে ট্রাফিক সার্জেন্ট সিগনাল দেয়। কাগজপত্র ও যাত্রী হয়রানির অভিযোগ এনে বাসের চালককে নামিয়ে মারধর করেন। পরে পুলিশের সহযোগিতায় গাড়ি ভাঙচুর হয় বলেও অভিযোগ করেন পরিবহন শ্রমিকরা।

ঈগল ক্লাসিকের চালক মোজাফফর বলেন, চাঁদার টাকা না পেয়ে কৌশলে চালককে মারধর করেন খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)৷ মাসিক চাঁদা দিয়ে গাড়ি চালাতে হয় আমাদের। না দিলেই এমন বিপত্তি ঘটে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আলম এশিয়ার এক চালক জানান, প্রতিমাসে বাস চালাতে মোটা অংকের চাঁদা দিতে হয় খিলক্ষেত থানায়। এ মাসে চাঁদাটা দেড়িতে দেওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেছে।

বাস চালককে মারধরের অভিযোগের বিষয়ে জানতে খিলক্ষেত থানার ওসিকে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে বাস মিনিবাস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ নবী বলেন, শ্রমিককে মারধরের ঘটনা বারবার ঘটে কিন্তু আমরা কোন বিচার পাই না। পুলিশের এমন আচরণে আমরা শঙ্কিত। আমরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে বদলির করতে হবে। 

;

বিহারি ক্যাম্পে মাদক কারবারিদের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা, ১২ ককটেল উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিহারি ক্যাম্পে মাদক কারবারিদের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা, ১২ ককটেল উদ্ধার

বিহারি ক্যাম্পে মাদক কারবারিদের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা, ১২ ককটেল উদ্ধার

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী মোহাম্মদপুর বিহারি ক্যাম্পে মাদকের আধিপত্য দখলে নিতে মাদক কারবারি দুই গ্রুপ গতো চারদিন যাবৎ ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই গ্রুপের এ সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ১২টি অবিস্ফোরিত ককটেল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে চলা এ সংঘর্ষের ঘটনায় বিহারি ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী একশ দুই জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও দুই থেকে আড়াই'শ জনসহ সাড়ে তিন'শ এর অধিক মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।

রোববার (১৪ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রো পলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মোহাম্মদপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ রেজাউল বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

স্থানীয়রা জানান, মোহাম্মদপুরের বিহারি ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী চুয়া সেলিম, পিচ্ছি রাজা, পাকিস্তানি রাজু, বুনিয়া সোহেল, বোম ও বাবুসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী তাদের মাদকের আধিপত্য ধরে রাখতে প্রতিনিয়ত সংঘর্ষে জড়ায়। এ চক্রের প্রায় কয়েক'শ মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে ইয়াবা, পেনসিডিল, হিরোইনসহ নানা মাদক বিক্রীতে পুরো ক্যাম্প জুড়ে বেশ কয়েকজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নিযুক্ত করেছে। তাদের মাদক ব্যবসার আধিপত্য বিস্তার করতে কয়েকদিন পর পর মাদক ব্যবসায়ীরা ককটেল বিস্ফোরণসহ গুরুতর মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। ক্যাম্পের ভেতর মারামারি করার জন্য রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে বিপুল টাকার বিনিময়ে লোক ভাড়া করে নিয়ে আসে মাদক ব্যবসায়ীরা। পুরো ক্যাম্প জুড়ে আতঙ্ক তৈরি করতে রাম দা, চাপাতি, ককটেলসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ চালায় মাদক ব্যবসায়ীরা। তাদের মারামারিতে ক্যাম্পের সাধারণ বাসিন্দারা আতঙ্কসহ গুরুতর আহত হয় অনেকে।

এর আগে বাংলা নববর্ষের আগের দিন একই ঘটনায় পাঁচদিন যাবৎ মাদক ব্যবসায়ীদের দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। মাদক ব্যবসায়ীদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার দীর্ঘদিন ব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি সংঘর্ষের ঘটনায় সব সময়ই ককটেল বিস্ফোরণ করে মাদক ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও, এবার ঈদে ক্যাম্পের ভেতর মারামারি করতে শীর্ষ হিরোইন ব্যবসায়ী ভূইয়া সোহেল ওরফে বুনিয়া সোহেল ২০ লাখ টাকা খরচ করে বাহির থেকে লোক ভাড়া করে নিয়ে আসে। এভাবে বিভিন্ন দিবসের আগে মাদক ব্যবসায়ীদের আধিপত্য বিস্তার করতে ব্যবসায়ীরা ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুল হক ভূঞা জানান, জেনেভা ক্যাম্পে মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের আধিপত্য বিস্তারকে কেদ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটায়। এ সংঘর্ষে তারা বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ ঘটনায় আমরা বেশ কয়েকটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছি। যারা সংঘর্ষে জড়িত ছিলো সবাইকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও, এ ঘটনায় আমরা বেশ কয়েকজনকে ইতিমধ্যে আটক করতে সক্ষম হয়েছি। বাকীদের আটক করতে আমরা অভিযান অব্যাহত রেখেছি।

;