জননেতা আজিজুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ১ নভেম্বর



নিউজ ডেস্ক
আজিজুর রহমান

আজিজুর রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃহত্তর দিনাজপুর জেলা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম শীর্ষ সংগঠক জননেতা অ্যাডভোকেট মো. আজিজুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ১ নভেম্বর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কলকাতা ইসলামিয়া কলেজে বঙ্গবন্ধুর সহপাঠী ছিলেন তিনি। তারা একই সাথে বেকার হোস্টেলে থাকতেন। গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর অনুসারী হিসেবে রাজনীতি করতেন কলকাতায়। তিনি ছিলেন তুখোর মেধাবী ও মানবিক গুণাবলী সম্পন্ন একজন নেতা। যার দুয়ার সকলের জন্যে ছিল উন্মুক্ত। ১৯২০ সালের ১ নভেম্বর তৎকালীন ঠাকুরগাঁও মহুকুমার মোহম্মদপুর গ্রামে স্বদেশী বিপ্লবী মওলানা আকিমুদ্দিন সরকার ও মা আলেকজা নেসার কোল আলো করে জন্ম নেন তিনি।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে দিনাজপুর শহরে ১৯৫২ সালে আওয়ামী লীগের প্রথম দিনাজপুর জেলা কমিটি গঠিত হয়। দলের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য এবং বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট রাজনৈতিক সহচর হিসেবে অ্যাডভোকেট মো. আজিজুর রহমান জেলা কমিটির প্রথম সভাপতি মনোনীত হলেন। তখনকার দিনাজপুর জেলা হলো এখনকার দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় মিলিয়ে। সে জেলার প্রথম সভাপতি ছিলেন রহিমুদ্দিন উকিল সাহেব। কিন্তু ১৯৬৬ সালের জুন মাসে ছয় দফা ঘোষণার পর পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল জেনারেল আইয়ুব খানের জেল জুলুমের ভয়ে রহিমুদ্দিন সাহেব দল ছেড়ে দিলেন। অধ্যাপক ইউসুফ আলীও চলে গেলেন জেনারেল আইয়ুব খানের দল পিডিবি’তে। দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ হয়ে পড়লো ফাঁকা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে রাজপথে রুখে দাঁড়ালেন জনতার অকুতভয় নেতা অ্যাডভোকেট মো. আজিজুর রহমান। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে মাঠে থাকলেও, দৃশ্যত তিনি সভাপতি হয়ে উঠলেন জনমানসে।

প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ মেহরাব আলী তার সম্পাদিত দিনাজপুরের ইতিহাস সমগ্র, ৫ম খণ্ডে লিখেছেন, ‘দিনাজপুর বারের লব্ধ প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী, সুলেখক, সম্পাদক, সংসদ সদস্য ও রাজনীতিবিদ, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহম্মদ আজিজুর রহমান ‘আওয়াজ’ নামে দিনাজপুরের সাপ্তাহিক পত্রিকা বার করেন ১৯৫৫ সালে। যখন ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনের সূত্র ধরে বাঙালির জাতিসত্তা সৃষ্টিতে নবচেতনার উন্মেষ, রাজনীতিতে বিরোধী দলের উদ্ভব, স্বাধিকার ও সাধারণ নির্বাচনের দাবি, পাকিস্তানি স্বৈরশাসনে জর্জরিত জনজীবনে; তদুপরি বঙ্গবন্ধুর উদাত্ব আহ্বানে স্বাধীনতায় উত্তরণের সুস্পষ্ট পূর্বাভাস- এমনই এক অস্থির পরিস্থিতিতে ‘সাপ্তাহিক আওয়াজ’ জেলাবাসীর মনোভূমি সৃষ্টিতে অসাধারণ চেতনা জাগায়।’

বঙ্গবন্ধুর সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের মাধ্যমে প্রায় দুইশত মাইল বিস্তৃত বৃহত্তর দিনাজপুর জেলার এক প্রান্ত হতে আরেক প্রান্তে টিনের চোঙ্গা হাতে ছুটে অকুতোভয় নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনা দিয়ে ক্রমান্বয়ে দলকে চাঙ্গা করে তোলেন তিনি। জনগণও আওয়ামী লীগের ছাতার তলে এসে জমায়েত হতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় দিনাজপুরের নেতাকর্মীরা ভালোবেসে ১৯৬৭ থেকে ১৯৬৯ এবং ১৯৬৯ থেকে ১৯৭১ তাকে দিনাজপুর জেলা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত করেন। তবে ১৯৭২ সালে স্বাধীনতা পরবর্তী কাউন্সিল অনুষ্ঠিত না হওয়ায়, পূর্বের কমিটিই দায়িত্ব পালন করে বিধায় মোঃ আজিজুর রহমান, এম,এন,এ ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত সভাপতি ছিলেন।

বাম থেকে পেছনে তাজুদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক শহীদ সিরাজুদ্দিন হোসেন, এ্যাডভোকেট মো. আজিজুর রহমান। সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মানিক মিয়া।

১৯৬৯ সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় তিনি ফেব্রুয়ারিতে জেল থেকে মুক্ত হলেন জেনারেল আইয়ুব খান বিরোধী গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে। ছুটতে শুরু করলেন পূর্ব পাকিস্তানের এ মাথা থেকে ও মাথা। অক্টোবরের ১০ তারিখে এলেন দিনাজপুর সফরে।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সত্যতার নিরিখে দৃঢ়ভাবে উচ্চারণ করা যায়, যখন ১৯৭১ সালে প্রতিরোধ সংগ্রাম শুরু হলো, তখন তিনি বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নির্দেশনায় জেলায় নেতাকর্মী ও তরুণদের সংগঠিত করেন বৃহত্তর দিনাজপুর জেলার সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের নির্বাচিত আহ্বায়ক হিসেবে। ১৩ এপ্রিল পাকিস্তানি সৈন্যদের দখলে দিনাজপুর চলে গেলে, বৃহত্তর দিনাজপুর জেলার সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের আঙ্গিক বদলে তাকে সভাপতি করে বৃহত্তর দিনাজপুর জেলা মুক্তিসংগ্রাম সমন্বয় পরিষদ গঠিত হয়। (তথ্যঃ মুক্তিযুদ্ধকালীন মো. আজিজুর রহমানের শত শত লেটারহেড প্যাড, যেগুলো দ্বারা তিনি অসংখ্য নির্দেশনা জারি করেছেন।)

অতি গুরুত্বের সাথে ইতিহাস মনোযোগিদের জন্যে বলা দরকার, মুজিবনগর সরকার ১৯৭১ সালের জুলাই মাসে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরগুলো সম্পন্ন করলে, তাকে মুক্তিযুদ্ধের ৭ নং এবং ৬ নং সেক্টর (অর্ধেক) অঞ্চলের ল্যাফটেনেন্ট জেনারেল পদমর্যাদায় সিভিল অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজার, ফ্রিডমফাইটার্স রিক্রুটিং ও লিয়াঁজো অফিসার পদে দায়িত্ব প্রদান করে। জেনারেল ওসমানী স্বাক্ষরিত মুজিব নগর সরকার কর্তৃক ৩০ আগস্ট জারি করা গোপন পরিপত্র নং: ০০০৯জি/২ অনুযায়ী মো. আজিজুর রহমানের সদর দফ্তর ছিল ভারতের পশ্চিম দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থানার অন্তর্ভুক্ত তরঙ্গপুরে। কার্যত, তিনি ৭ নং এবং ৬ নং (অর্ধেক) সেক্টরের সকল মুক্তিযোদ্ধার রিক্রুটিং ও অস্ত্র প্রশিক্ষণ ক্যাম্প পরিচালনায় সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ ছিলেন।

মুজিবনগর সরকারের জারিকৃত সেই গোপন পরিপত্র অনুয়ায়ী উক্ত সেক্টরের সামরিক কমান্ডার এবং অধিনস্ত সকলের জন্যে বেসামরিক বিষয়ে তার নির্দেশ মানাটা ছিল বাধ্যতামূলক। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের অন্যান্য বিষয়েও পরামর্শ দেবার এখতিয়ার তার ছিল। সকল প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তার সামরিক বিষয়ে প্রদত্ত পরামর্শ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে তাৎক্ষণিকভাবে সেক্টর কমান্ডারকে জানানোর নির্দেশ ছিল। উল্লেখ্য, তিনি পশ্চিমাঞ্চল প্রশাসনিক ক জোনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবেও দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।

মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব কাঠামো লিখিত আছে মুক্তিযোদ্ধাদের অবিকৃত তালিকার লাল বই খ্যাত দলিলে। এটা মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে সংরক্ষিত আছে। সে দলিল অনুযায়ী প্রথমেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম রাষ্ট্রপতি হিসেবে। প্রত্যেকের জন্যে অপরিবর্তনীয় একটি ইউনিক কোড রয়েছে। যেমন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্যে প্রথম কোড হলো ০৭০০০০০০০১। এই দলিলের ৯ নং পৃষ্ঠায় ‘স্বাধীনতার বীর সেনানী’ স্বরণীয় যারা বরণীয় যারা’ শিরোনাম অধিভুক্ত ক্রম অনুযায়ী মো. আজিজুর রহমানের কোড দুবার এসেছে। প্রথমবার পশ্চিমাঞ্চলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে ০৭০০০০০০২১ এবং পরে দিনাজপুর-২ আসনের এম,এন,এ হিসেবে ০৭০০০০০০৩৯ ।

মো. আজিজুর রহমান এম,এন,এ দিনাজপুর কেন্দ্রীয় মুক্তি-সংগ্রাম কমিটির সভাপতি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ শুরু থেকে জুলাই মাসে যুদ্ধ সেক্টরগুলো পূর্ণতা পাবার আগ পর্যন্ত, এ পদাধিকার বলেই বিভিন্ন নির্দেশ জারি করেছেন। এবং জুলাই মাসের পর, এ পদের সাথে যুক্ত হয় ৭ নং সেক্টর হতে ৬ নং সেক্টর এর সিভিল অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজার পদের দায়িত্ব।

মূলত মো. আজিজুর রহমানের নেতৃত্বের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে পাকিস্তানের সামরিক শাসক মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান সামরিক শাসক দেশদ্রোহীতা ও তিন হাজার লোককে গণহত্যার অভিযোগ এনে অক্টোবর মাসে সামরিক আদালতে তাকে হাজির হতে সমন জারি করে এবং পরে মৃত্যুদণ্ড দেয়।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস অব পাকিস্তান (এপিপি) রিপোর্টে বলা হয়, ১৭ আগস্ট ১৯৭১ দুই দফায় ৩০ এমএনএ কে সামরিক আদালতে তলব। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা, খুন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে। সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে ঠাকুরগাঁয়ের মো. আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ সহযোগিতা ও ৩০০০ লোকের হত্যাকাণ্ডে নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে আছে এক গর্ভবতী নারীকে হত্যার পর টুকরা টুকরা করা। এরপর গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে।’

যুদ্ধের সময়ে দেখা যায়, তিনি কয়েকদফা সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং দেশের ভেতর জুন মাসে অ্যামবুশে আটকা পরেন দিন কয়েক। ধরেই নেয়া হলো তিনি নিহত। ফলে সীমান্তে এবং রায়গঞ্জে তার গায়েবানা জানাজা পরা হয়। এর দিন কয়েক পর ভারতীয় শিখ সৈন্যরা লড়াই করে তাকে উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনে। তার অসীম সাহসের কারণেই তিনি একমাত্র বেসামরিক ব্যক্তি, নেতা, যিনি মিত্র বাহিনীর অগ্রগামী দলের সাথে যুদ্ধ করে ৪ ডিসেম্বর ঠাকুরগাওঁ প্রবেশ করে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়িয়ে দেন। তিনি ১৯৭১ সালে ২০ ডিসেম্বর দিনাজপুর শহরের গোরে শহীদ ময়দানে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনীর উপস্থিতিতে বিজয় উৎসব অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন। তিনি ওই অঞ্চলে শরণার্থী প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসনে নেতৃত্ব দেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা অন্যতম কাণ্ডারি এবং বৃহত্তর দিনাজপুরের সূর্যসন্তান, সর্বস্বত্যাগী অকুতোভয় এই জননেতা মো. আজিজুর রহমান ৪ ডিসেম্বর ১৯৯১ সালে ঘাসিপাড়াস্থ ভাড়াবাড়িতে নিভৃতে মারা যান । দিনাজপুর শহরে সোনাপীর গোরস্থান চিরনিদ্রায় শায়িত।

   

২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৬ জনে। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৯৪ জনে অবস্থান করছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২৫ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ২৯৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা হয় ৩৮৮ জনের নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১২ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দু-দিন করোনায় সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

;

সাতক্ষীরার গাবুরায় অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার শ্যামনগরের গাবুরায় সাইফুলের মৎস্য ঘের সংলগ্ন কালভার্টের উপর থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির (৩০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, নিহত ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় গত কয়েকদিন এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন। অজ্ঞাত ব্যক্তি হিন্দু (সনাতন ধর্মের) বলে জানান এলাকাবাসী।

শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান জি.এম মাসুদুল আলম জানান, সকালে সোরা এলাকার সাইফুলের মৎস্য ঘের সংলগ্ন কালভার্টের উপরে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তাকে খবর দিলে তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে মৃত অজ্ঞাত ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।

পরিচয় শনাক্ত করা না গেলে বেওয়ারিশ হিসেবে মরদেহ আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

;

সাভারে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেফতার ৮



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এসময় তাদের কাছ থেকে চাপাতি, ছুরিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠায় ডিবি পুলিশ। এর আগে দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের ব্যাংক কলোনীর সাভার মডেল মসজিদ সংলগ্ন ফুটওভার ব্রিজের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জের মো. রতন (৩৫), টাঙ্গাইলের মো. রানা মিয়া (৪০), ময়মনসিংহের মো. মিলন (১৯), ঠাকুরগাঁওয়ের মো. মুরাদ (২৮), মুরাদের ভাই মো. আরিফুল ইসলাম (৩১), সাভারের ছোট বলিমেহের এলাকার মো. আব্দুল আলীম (৩৬), মানিকগঞ্জের মো. মানিক (৩৫) ও সাভারের বনপুকুর এলাকার মো. রনি (৩০)।

তাদের কাছ থেকে ৪টি চাপাতি, ১টি সুইচ গিয়ার, ১টি দা, ১টি লোহার পাইপ ও ১টি কাঠের স্ট্যাম্প উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অনেকেই ভাসমান ছিলেন। বাকিরা বাসা ভাড়া নিয়ে সাভারের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি ও ছিনতাইসহ নানা অপরাধ করত।

ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা আছে। তাদের তথ্য ঘেটে দেখা হচ্ছে, তদন্ত করে তাদের সাথে আর কেউ জড়িত পেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।

;

হালদায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৪ জনকে কারাদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে হালদা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে চারজনকে আটক করে ১০ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই কারাদণ্ড দেন।

দণ্ডিতরা হল- আব্দুল জব্বার, মোহাম্মদ অলিউল্লাহ, মোহাম্মদ খোকন ও আব্দুল মতিন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. এয়াকুব জানান, সকালে আমাদের বাড়ির সামনে হালদা নদী থেকে কিছু মানুষ বালু উত্তোলন করছে। এ সময় আমিসহ স্থানীয় লোকজন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করি। তারা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্দেশে এসব বালু উত্তোলন করছে বলে জানায়। এ সময় তাদের কথাবার্তা সন্দেহজনক হলে আমরা বালু উত্তোলনকারী চারজনকে আটক করে স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানানো হয়।

স্থানীয় কাউন্সিলর মো. সোলাইমান জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নাজিরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মতিভান্ডারের পাশে হালদা নদী থেকে চারজন ব্যক্তি নৌকায় বালু উত্তোলন করছিল। এ সময় তাদের মতিগতি সন্দেহ হলে স্থানীয় লোকজন তাদের বালু উত্তোলনের মেশিনসহ একটি নৌকা আটক করে আমাকে জানায়। পরে ফটিকছড়ি থানা পুলিশকে খবর দিই।

ফটিকছড়ি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল ও ওমরা খান জানান, জরুরি সেবায় ফোন পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে চারজনকে আটক করি। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের ১০ দিনের কারাদণ্ড দেয়। বালু উত্তোলনে ব্যবহার করা নৌকা মালিকের জিম্মায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানান, স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিশের সহযোগিতায় তাৎক্ষণিকভাবে বালু উত্তোলনের সময় চারজনকে আটক করা হয়। তাদের বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

;