সিসি ক্যামেরা বিহীন বেনাপোল বন্দরে বেড়েছে নাশকতা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
সিসি ক্যামেরার আওতায় আসেনি বন্দরটি। ছবি: বার্তা২৪.কম

সিসি ক্যামেরার আওতায় আসেনি বন্দরটি। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থলপথে আমদানি, রফতানি বাণিজ্য ও রাজস্ব আয়ের দিক দিয়ে বেনাপোল বন্দর সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব বহন করলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় বন্দর প্রতিষ্ঠার ৪৮ বছরেও সিসি ক্যামেরার আওতায় আসেনি বন্দরটি। ফলে বন্দরে আমদানি পণ্য চুরি, দুর্বৃত্তদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বার বার ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডসহ নানান অপ্রতিকর ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এপথে আমদানিতে নিরউৎসাহিত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা বলছেন, সিসি ক্যামেরা খুব জরুরি হয়ে দাড়ালেও বন্দর কর্তৃপক্ষের গরিমশিতে তা আজও থমকে রয়েছে। আর বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছেন, খুব দ্রুত সিসি ক্যামেরা স্থাপন হবে। এতে বন্দরের নিরাপত্তা ও জবাবদিহিতা বাড়বে।

জানা যায়, ১৯৭২ সাল থেকে বেনাপোল বন্দরের সাথে ভারতের আমদানি, রফতানি বাণিজ্যক যাত্রা শুরু। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়াতে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের এপথে প্রথম থেকে বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। দেশে স্থলপথে যে আমদানি,রফতানি বাণিজ্য হয় তার ৬০ শতাংশ হয়ে থাকে শুধু বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতিবছর এ বন্দর দিয়ে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার আমদানি ও ৮ হাজার কোটি টাকার রফতানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। যা থেকে সরকারের রাজস্ব আসে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু আমদানি পণ্য ও কর্মকর্তা, কর্মীচারীদের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ হলেও আজ পর্যন্ত এবন্দরটিতে স্থাপন হয়নি।

নানা অজুহাতে পার করছে ৪৮ বছর। ফলে বন্দর অভ্যন্তরে শুল্কফাঁকি দিয়ে আমদানি পণ্য পাচার, নাশকতামূলক বন্দরের পণ্যগারে অগ্নিকাণ্ড, ককটেল বিস্ফোরণ এমন কি নিরাপত্তা কর্মী হত্যার মতও ঘটনা ঘটছে। তবে সিসি ক্যামেরা না থাকায় এসব ঘটনার রহস্য উৎঘাটন ও অভিযুক্তরা সব সময় থাকছে ধরা ছোওয়ার বাইরে। এতে ব্যবসায়ীরা লোকসান ও আতঙ্কের মধ্যে পড়ে এবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, বন্দরে বারবার আনুন আর ককটেল বিষেস্ফারণের ঘটনা ঘটলে ব্যবসায়ীরা কিভাবে এ বন্দর দিয়ে আমদানি, রফতানি করবেন? আশ্বাসে থমকে রয়েছে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ।

রফতানি কারক তৌহিদুজ্জামান জানান, ডিজিটাল দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দরে সিসি ক্যামেরা থাকবেনা এটা হয়না। সিসি ক্যামেরা যেমন আমদানি পণ্যের নিরাপত্তা বাড়ায় তেমনি সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীদেরও নিরাপত্তা দেয়।

শার্শা উপজেলা দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান লিটু জানান, বর্তমান যুগে সব জায়গায় সিসি ক্যামেরার ব্যবহার। কিন্তু যে বন্দরে ব্যবসায়ীদের হাজার হাজার কোটি টাকার আমদানি, রফতানি পণ্য রয়েছে সে বন্দরে সিসি ক্যামেরা লাগাতে বন্দরের কেন এত গরিমশি বুঝতে পারছি না।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, সিসি ক্যামেরা এখন কোন প্রসাধনী জিনিস না। বন্দর কর্তৃপক্ষ বার বার প্রতিশ্রুতি দিয়েও এখন পর্যন্ত এবন্দরে সিসি ক্যামেরা লাগেনি। ফলে পণ্য চুরি, অগ্নিকাণ্ডসহ নানান ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন।

ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট কমিটির চেয়ারমান মতিয়ার রহমান জানান, নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ হলেও তা লাগাতে বন্দর কর্তৃপক্ষের গরিমশি বুঝিনা। এটা সরকারকে দেখতে হবে।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, খুব দ্রুত বন্দরে সিসি ক্যামেরা বসবে। এতে বন্দরের যেমন নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে তেমনি কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে।

উল্লেখ্য, গত এক যুগে বেনাপোল বন্দরে বড় ধরনের ৭টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক দেড় হাজার কোটি টাকার পণ্য পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যবসায়ীরা। এছাড়া বন্দর পণ্যগার থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধার ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে বন্দরে সিসি ক্যামেরা না থাকায় অগ্নিকাণ্ডের কোন রহস্য বা দুর্বৃত্তরা শনাক্ত হয়নি।

   

নীলফামারীতে ২১ মামলার আসামি গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
নীলফামারীতে ২১ মামলার আসামি গ্রেফতার

নীলফামারীতে ২১ মামলার আসামি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর জলঢাকায় ফরিদুল (৪০) নামে এক চোরকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে খুটামারার টেংগনমারী বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি উপজেলার ছিটমহল বালাগ্রাম এলাকার ইউনূস আলীর ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত ফরিদুল দীর্ঘদিন ধরে মোটরসাইকেল, গরুসহ বিভিন্ন চুরি করে আসছিলেন। জেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় তার বিরুদ্ধে ২১টি চুরির মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জলঢাকা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

;

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন, শিশুদের সাথে মিশে যেতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নানাবিধ আয়োজন করতে হবে।

তিনি বলেন, শিশুর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও নৈতিক বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলা শিশুদের শরীর ও মনকে সুস্থ-সুন্দরভাবে গড়ে তোলে। শিশুদের মাঝে প্রতিযোগিতার মনোভাব এবং দায়িত্ববোধ সৃষ্টিতেও খেলাধুলা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

আগামীকাল ২০ এপ্রিল ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ উপলক্ষে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ আয়োজনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষ্যে আয়োজক, অংশগ্রহণকারী, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।”

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট বাংলাদেশে ক্ষুদে ফুটবলার তৈরির পাশাপাশি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আমি আশা করি, এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জাতির পিতা এবং বঙ্গমাতার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবে এবং তাঁদের জীবনাদর্শ অনুসরণ করে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে।’

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণ-বঞ্চনামুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন পূরণে দেশের তরুণ প্রজন্ম কার্যকর অবদান রাখবে- এ প্রত্যাশা করি। আমি এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্ষুদে খেলোয়াড়দের উত্তরোত্তর সাফল্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

রাষ্ট্রপতি ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

;

শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলায় অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ আয়োজন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

আগামীকাল ২০ এপ্রিল ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ উপলক্ষে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী “বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এর অংশগ্রহণকারী সকল খেলোয়াড়কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফুটবল খেলতে বেশি ভালবাসতেন। তিনি ছাত্রজীবনে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল ফুটবল টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন। তিনি ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের হয়ে নিয়মিত খেলতেন। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।

সরকার প্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন, অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করেন। তিনি ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭২৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ, খাদ্য সামগ্রী এবং পোশাক প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করছে। আমরা ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ৫ হাজার ৬১৬ জন শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেছি। প্রধান শিক্ষকের পদ ২য় শ্রেণিতে এবং সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেল উন্নীত করেছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর মাঝে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে সরাসরি উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করছি। এ ছাড়া, স্কুল ফিডিং, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, শিক্ষকদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করার পাশাপাশি আরো অনেক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, আমাদের সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির হার অর্জিত হয়েছে এবং প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন সাধিত হয়েছে। শিশুদের খেলাধুলায় আকৃষ্ট করার জন্য প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করে দিচ্ছি। সেই সঙ্গে আন্তঃবিদ্যালয় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। পুরুষদের পাশাপাশি আমাদের নারীরাও ক্রীড়াক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ‘সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২’-এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনন্য গৌরব অর্জন করেছে। আমি জেনে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি যে, সেই ফুটবল টিমের ৫ জন খেলোয়াড় উঠে এসেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্টের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সুস্থ দেহ ও সুস্থ মনের সমন্বয়ে বেড়ে ওঠা আমাদের নতুন প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার মহৎ আদর্শে বলীয়ান হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে পরিপূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করবে। ২০৪১ সালের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন, আধুনিক এবং স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।’

প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ টুর্নামেন্ট দুইটির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।

;

রাঙামাটিতে মাথা বিচ্ছিন্ন মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটি শহরের অদূরে সদর উপজেলাধীন জীবতলীর আগরবাগান এলাকায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রাঙামাটি কোতয়ালী থানার পুলিশ স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে সদর উপজেলার জীবতলী ইউনিয়নের এক নম্বর আগরবাগান এলাকার জঙ্গল থেকে এ মরদেহটি উদ্ধার করে।

এসময় নিহতের মাথা একটি গাছের সাথে রশিতে ঝুলে থাকলেও মরদেহের বিচ্ছিন্ন দেহটি মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধারকারী পুলিশ সদস্যরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এক অজ্ঞাত ব্যক্তির বিচ্ছিন্ন মাথা রশিতে ঝুলছে এবং মরদেহটি নিচে পড়ে আছে।

তিনি জানান, মরদেহটি ২০-২৫ দিন আগের হতে পারে।

এদিকে, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডাঃ শওকত আকবর খান জানিয়েছেন, মরদেহটি সন্ধ্যার পরে হাসপাতালে আনা হয়েছে। মরদেহের শরীরে মাংস নেই বললেই চলে আর এটি বেশ কিছুদিন আগের। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

;