মিশনে উন্নত সেবা নিশ্চিত করার নির্দেশনা পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বৈদেশিক মিশনে সেবা প্রত্যাশী প্রবাসী বাংলাদেশিদের কেউ যেন সেবা না পেয়ে ফেরত না যান।
রোববার (১ নভেম্বর) বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে শ্রম উইংয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দু’সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রবাসী শ্রমিকদের বাংলাদেশের সোনার ছেলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রবাসীরা বিদেশে অনেক কষ্ট করেন। বাংলাদেশের দূতাবাস থেকে তারা যেন ভালো আচরণ পান। প্রবাসীদের উন্নত মানের সেবা প্রদানের পাশাপাশি বাংলাদেশের কর্মকর্তারা দক্ষতার সাথে শ্রমবাজার আরো সম্প্রসারণ করবেন বলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রত্যেকটি দেশের সরকার কাজ করবে এবং এক্ষেত্রে প্রথম সুযোগ যেন বাংলাদেশ সরকার নিতে পারে সেই লক্ষ্যে দূতাবাসগুলোকে কাজ করার নির্দেশনা দেন শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, প্রবাসী আয় বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল শক্তিগুলোর একটি।
শাহরিয়ার আলম উল্লেখ করেন, ফ্রি ভিসা বলতে কিছু নেই। কোনো কোনো শ্রমিক টুরিস্ট ভিসায় বিদেশে গিয়ে অনিয়মিত হয়ে পড়লে তারা বাংলাদেশি অন্যান্য শ্রমিকদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয়। মাঝে মাঝে দূতাবাস কেন্দ্রিক কিছু চক্র গড়ে উঠে। এদের বিরুদ্ধে গত কয়েক বছরে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশকিছু ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়েছে। স্ব-স্ব দেশ মামলা করে সেদেশের আইন অনুযায়ী দেশে পাঠিয়েছে। বাংলাদেশে ফিরে আসার পর তারা কারাগারে অন্তরীণ রয়েছে। এ ধরনের ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। তবে আমাদের দেশের নাগরিকদের এবিষয়ে সচেতন হতে হবে। কেউ যেন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে পা না বাড়ায়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো এবং সম্ভাবনাময় রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছে। গত কয়েক মাসে করোনা পরিস্থিতিতেও প্রবাসী আয় বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে শ্রমবাজার ঝুঁকিতে থাকলেও বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো করছে। সামনের দিনগুলিতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
শাহরিয়ার আলম বলেন, যে সকল প্রবাসী চাকরি হারিয়েছেন তাদের ব্যাপারে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় তহবিল গঠন করেছে। তাদের ঋণ দিচ্ছে এবং তাদেরকে নতুন কর্মে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। প্রবাসীদের কল্যাণে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।