আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে যা হলো বেদনাদায়ক- ডা. উত্তম কুমার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া।

ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া।

  • Font increase
  • Font Decrease

পদায়ন-বদলি স্বাভাবিক বিষয়, কিন্তু আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে যেভাবে সরিয়ে দেওয়া হলো তা বেদনাদায়ক। আমার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে তাতেও আইন ও প্রচলিত নিয়ম অনুসরণ করা হয় নি।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বিদায়কালে এমন আক্ষেপ প্রকাশ করেন।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি কখনই কোনো কেনা-কাটার সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। হাসপাতালের কেনা-কাটার জন্য টেন্ডার কমিটি ও বাজারদর যাচাই কমিটি, সার্ভে কমিটি রয়েছে। তারা কেনা-কাটা করে, আমি প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে শুধু কাউন্টার স্বাক্ষর করে একাই অপরাধী হয়ে গেলাম!

সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মূল পয়েন্টে ফুলে সুসজ্জিত বাগান

সরকারি চাকরি বিধিতে দেখা গেছে, একই উদ্দেশ্যে সংঘটিত কোনো অপরাধের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকে এককভাবে সমান অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন। সমান শাস্তির আওতায় আসবেন। সে হিসেবে বাজারদর যাচাই কমিটি এবং টেন্ডার কমিটির সকল সদস্য অভিযুক্ত হওয়ার কথা।

উত্তর কুমার বড়ুয়া বলেন, বিভাগীয় মামলা দায়ের করতে হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে মামলা দায়ের করার পুর্বে কমপক্ষে দু’টি শোকজ করতে হবে। আমার বিরুদ্ধে মামলা করার পুর্বে কোনো শোকজ করা হয় নি। মামলা দায়ের করে তারপর শোকজ করা হয়েছে ১০ দিন সময় দিয়ে। আবার সেই শোকজের জবাব দেওয়ার সুযোগ না দিয়েই ওএসডি করা হয়েছে। কারো বিরুদ্ধে একটি বেনামী অভিযোগ হলেই তিনি চোর হয়ে যান না। আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ তোলা হয়েছে সব কাল্পনিক। এই হাসপাতাল কি ছিল আপনারা ভালো জানেন। এক সময় ময়লার ভাগাড় ছিল হাসাপাতালের সামনে, রাতের বেলা মাদক সেবনকারীদের আড্ডা বসতো। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবার সহযোগিতায় এই হাসপাতালকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছি। টানা চারবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী, ডব্লিউএইচও পদক পেয়েছি। এই পদক কেউ এমনি এমনি দেয়নি। সারাদিন হাসাপাতালে সময় দিয়েছি, সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর‌্যন্ত সেবা নিশ্চিত করেছি। সিনিয়র ডাক্তাররা সান্ধ্যকালীন শিফটে কাজ করতে চাইতো না। আমি নিজে যেমন সন্ধ্যায় এসেছি অন্যদের আনতে সক্ষম হয়েছি। সান্ধ্যকালীন শিফটের জন্য পৃথক হাজিরা খাতা মেইনটেন করা হয় এখন।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বিদায় অনুষ্ঠানে

 

হাসপাতালের সামনে ময়লার ভাগাড় ছিল, সেখানে ফুল ও ফলের বাগান করেছি। যাতে রোগী এবং তার স্বজনরা বসে সময় কাটাতে পারেন। হাসপাতালটি ঘিরে এক সময় সিন্ডিকেট ছিল, সেই সিন্ডিকেট হটিয়ে দিয়েছি। স্বাস্থ্য খাতের ডন খ্যাত ঠিকাদার মিঠুকে ঢুকতে দেয়নি, এটাই কি আমার অপরাধ। মিঠুর ঘনিষ্ট একজন স্বাচিপ নেতা তার জন্য তদবির করেছিল। আমি মুখের উপর না করেছি। তারাই এখন আমার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। তাতে যদি আমার মন্ত্রণালয় উৎসাহ যোগায় এর চেয়ে কষ্টের কিছু হতে পারে না। আমাকে তারা বদলি করতেই পারে, তা সে সন্তুষ্ট হোক কিংবা না হোক। কিন্তু যে প্রক্রিয়ায় ওএসডি করা হয়েছে এটি আমার জন্য খুবই অসম্মানের। আমি খুবই আহত হয়েছি। অন্তত আমার জবাব পর‌্যন্ত তারা অপেক্ষা করতে পারতো।

 প্রায় ৪ একর জায়গা নিয়ে পার্ক-পুষ্পপল্লব তৈরি হয় ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া

কোবলেশন মেশিন কেনায় দুর্নীতি প্রসঙ্গে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বলেন, মেশিনের সঙ্গে তিন বছরের ফুল ওয়ারেন্টি, তিন বছরের অপারেশনের জন্য প্রয়োজনীয় ডিসপোজেবল আইটেম, টনসিল, টাং ও লোরিঞ্জিয়াল Probe সহ নেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের বৈদেশিক প্রশিক্ষণ, এয়ারকুলার ও ডিহিউমিডিটিফায়ারসহ যন্ত্রটি ক্রয় করা হয়েছে।এতে সরকারের সর্বোচ্চ অর্থ সাশ্রয় হয়েছে। আপনারাই অনেক সময় নিউজ করেন মেশিন বেকার বসে আছে। আমরা সেই সেবাটা নিরবিচ্ছিন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ডিসপোজেবল আইটেম বেশি করে নিয়েছি। কারণ মেশিন কিনে ফেলে রাখলে তাতে রাষ্ট্র কিংবা জনগণের কাজে আসে না। কোনো  হাসপাতাল যদি এক্সেসরিজ কম নেয় তাহলে তাদের দাম কম হওয়াই স্বাভাবিক।প্রত্যেকটি কেনাকাটায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে যথাযথ নিয়ম মেনে করা হয়েছে।প্রত্যেক ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন দরদাতাকে কাজ দেওয়া হয়েছে কাজ দেওয়ার পুর্বে বাজারদর কমিটির মতামত নেওয়া হয়েছে। আর আজকে আমি একা চোর হয়ে গেলাম!

প্রফেসর ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়াকে ওএসডির প্রতিবাদে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে জনতার ভিড়

বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) হাসপাতালে শেষ অফিস করেন। দুপুরে হল রুমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। সৌজন্য সাক্ষাতের এই সভাটি পুরোপুরি বিক্ষোভ সভায় রূপ নেয়। ডাক্তার-নার্স ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা ওএসডির ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন। প্রত্যেকেই আন্দোলনে যাওয়ার ডাক দিলেই উত্তম কুমার বড়ুয়া তাদের শান্ত করেন। স্টাফদের উদ্দেশ্যে বলেন, বদলি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ক্ষুব্ধ হওয়ার কিছু নেই। নতুন যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাকেও যেনো সহযোগিতা করেন হাসপাতালের সেবা ধরে রাখার জন্য। তার এই বক্তব্যে হলভর্তি স্টাফরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। সভা শেষে বিকেলে যখন বেরিয়ে যেতে ধরেন তখনও পথ আগলে দাঁড়ান কর্মকর্তা কর্মচারীরা। তারা তাকে যেতে দিতে নারাজ। সেখানেও ঘণ্টা খানেক সময় তার কেঁটে যায় বুঝিয়ে শুনিয়ে রাস্তা বের করতে।

প্রফেসর ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়াকে ওএসডির প্রতিবাদে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে জনতার ভিড়

কথা বলতে গিয়ে তিনিও কিছুটা আবেগ কাতর হয়ে পড়েন। এই হাসপাতালের সঙ্গে প্রেম তার দীর্ঘ দিনের। যখন নাম বদলে বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতাল করা হয় সেদিনও বুক চেতিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন উত্তম কুমার বড়ুয়া। সাবেক ছাত্রলীগার ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের অন্যতমে এই নেতার এমন পরিণতি কেউ মেনে নিতে পারছেন না। তাদের প্রশ্ন আওয়ামী লীগ সরকারের একজন একনিষ্ট কর্মীকে তারই সময়ে অন্যায়ভাবে হয়রান হতে হচ্ছে।

ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া ২০১৫ সালে হাসপাতালটির পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পান। তার বিরুদ্ধে বেশি দামে কেনা-কাটার অভিযোগে ৩০ অক্টোবর বিভাগীয় মামলা দায়ের করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।। ওই মামলায় তাকে ১০ দিনের মধ্যে লিখিত জবাব অথবা শুনানি চাইলে তাও জানাতে বলা হয়েছে। আর ২ নভেম্বর তাকে ওএসডি করে তিন কার‌্যদিবসের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে বলা হয়। যদি সেই চিঠি এখন পর্যন্ত (৬ নভেম্বর)  হাসপাতালে এসে পৌঁছায় নি।

   

অনুমোদন নেই, ব্যবস্থাপত্রে তবু এন্টিবায়োটিক লিখছেন বিপ্লব-জাকির



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
অনুমোদন নেই, ব্যবস্থাপত্রে তবু এন্টিবায়োটিক লিখছেন বিপ্লব-জাকির

অনুমোদন নেই, ব্যবস্থাপত্রে তবু এন্টিবায়োটিক লিখছেন বিপ্লব-জাকির

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি পশু ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রকল্পে এআই টেকনিশিয়ান পদে চাকরি করেন আজিজুর রহমান বিপ্লব ও জাকির হোসেন। নিজস্ব প্যাডে সিল স্বাক্ষর করে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পশুদের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন তারা।

বিধি অনুযায়ী তাদের এন্টিবায়োটিক লেখার অনুমোদন না থাকলেও ব্যবস্থাপত্রে তারা লিখছেন সেটাও। বলছেন, ঊর্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশের কথা, তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন তারা এমন অনুমোদন দেননি।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নিয়মের তোয়াক্কা না করে উপজেলা ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের আস্থাশীল পরিচয় দিয়ে পশু দেহে ক্ষতিকর এন্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। অতিমাত্রায় এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে পশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ রয়েছে কালীগঞ্জ উপজেলা ও জেলা কর্মকর্তাদের আশীর্বাদে আজিজুর রহমান বিপ্লব ও জাকির হোসেন দীর্ঘদিন দাপট দেখিয়ে অন্যান্য পশু চিকিৎসকদের কোণঠাসা করে রেখেছেন।

ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক পশুপালনকারী নারী অভিযোগ করে বলেন, সরকারি প্রকল্পে চাকরি করেন বলে জাকির হোসেনের কাছ থেকে গরু-ছাগলের চিকিৎসা করাই। তিনি নিজেকে সরকারি ডাক্তার বলে পরিচয় দেন। তার ভুল চিকিৎসায় অনেক গরু অসুস্থ হতে দেখেছি।

গরু অসুস্থ হলেই তিনি ব্যবস্থাপত্রে এন্টিবায়োটিক লিখে থাকেন। এন্টিবায়োটিকের প্রভাবে গরুর সমস্যা আরও প্রকট হয় বললে দাবি করে বলেন, সরকারি জেলা কর্মকর্তারা আমার চিকিৎসা সম্পর্কে জানেন। তারা যেভাবে চিকিৎসা দিতে বলেছেন সেভাবে এন্টিবায়োটিক চিকিৎসা দিচ্ছি বলে তিনি দাপটের সঙ্গে বলেন।

এ-বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শংকর কুমার দে বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আজিজুর ও জাকিরের তাদের চিকিৎসাপত্রে এন্টিবায়োটিক লেখার অনুমোদন নাই। তাদের এই ধরনের চিকিৎসার অনুমতি আমি দিইনি। এ আই টেকনিশিয়ান আজিজুর রহমান বিপ্লব ও জাকির আমার নাম ভাঙিয়ে চলছেন।

অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন উপজেলা পর্যায়ের এ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকারি ভেটোরিনারি রেজিস্টার্ডপ্রাপ্ত ছাড়া এন্টিবায়োটিক লেখার অনুমোদন কারো নাই।

বিপ্লব ও ও জাকির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চলছেন এমন অভিযোগের জবাবে জেলা প্রাণিসম্পদ এ কর্মকর্তা বলেন, এগুলো ভুয়া; তারা আমাদের নাম ভাঙিয়ে চলে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ আই টেকনিশিয়ান আজিজুর রহমান বিপ্লব বলেন, আমি জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নির্দেশে এন্টিবায়োটিক লিখি। তারা আমার লেখার ক্ষমতা দিয়েছেন। আপনি যা খুশি করতে পারেন। তারা আমার রক্ষা করবে।

আরেক অভিযুক্ত জাকির হোসেন বলেন, আমি প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের নির্দেশে এন্টিবায়োটিক লিখি। তারা আমার লেখার ক্ষমতা দিয়েছেন।

;

৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি ২০২৩-২৪ করবর্ষের ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর, স্থানীয় পর্যায়ের মূল্য সংযোজন কর (মূসক) এবং আমদানি-রফতানি শুল্ক মিলে মোট রাজস্ব আয় হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা যা বিগত করবর্ষের একই সময়ের তুলনায় ১৫ দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি।

গত করবর্ষের ৯ মাসে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ২৫ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা।

এনবিআর সূত্র জানায়, খাতভিত্তিক রাজস্ব আয়ের হিসাব হলো ৯ মাসে আমদানি ও রফতানি শুল্ক খাত থেকে আয় হয়েছে ৭৪ হাজার ২৬২ কোটি ৭২ লাখ টাকা, স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) থেকে ১ লাখ ৭০২ কোটি ৩৯ লাখ এবং আয়কর ও ভ্রমণ কর খাতে ৮৪ হাজার ৯০১ কোটি টাকা আয় হয়েছে। তবে এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব আয় কিছুটা পিছিয়ে আছে। ৯ মাসে যে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিলো, তার ৯২ দশমিক ২৩ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।

এনবিআরের তথ্যমতে, গত ২০২২-২৩ করবর্ষের ৯ মাসে আমদানি-রফতানি শুল্ক থেকে রাজস্ব আহরণ ছিল ৬৭ হাজার ৩৮০ কোটি ৩৪ লাখা টাকা। চলতি করবর্ষের একই সময়ে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ২৬২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ২১ শতাংশ।

আলোচ্য সময়ে আয়কর আহরণ বেড়েছে ১৯ দশমিক ২০ শতাংশ। গত করবর্ষের ৯ মাসের ৭১ হাজার ২২৭ কোটি ২২ লাখ টাকার আয়কর রাজস্ব আয় এবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। আমদানি-রফতানি শুল্ক ও আয়করের মত মূসক আহরণের ক্ষেত্রেও উল্লেখ করার মত প্রবৃদ্ধি এসেছে। প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। গত করবর্ষের ৯ মাসে মূসক রাজস্ব আয় ছিলো ৮৬ হাজার ৯০৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

উল্লেখ্য, চলতি করবর্ষে এনবিআরের রাজস্ব আয়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা।

;

তীব্র তাপদাহে শ্রমজীবী মানুষের পাশে তরুণ সংঘ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরে তীব্র তাপদাহের নাকাল নানা পেশার শ্রমজীবী মানুষের তৃষ্ণা মেটাতে পাশে দাঁড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী একটি সংগঠন। নিজস্ব অর্থায়নে কাঠফাটা রোদে সড়ক, ফুটপাতে ঘুরে বিশুদ্ধ পানি, খাবার স্যালাইন বিতরণ করছেন ওই তরুণ সংঘের সদস্যরা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে জেলার জয়দেবপুর থানাধীন ভাওয়াল মির্জাপুরে, ভাওয়াল মির্জাপুর তরুণ সংঘ নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা এলাকায় নানা শ্রেণি-পেশার শতাধিক শ্রমজীবী মানুষকে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেন।

জানা গেছে, স্বেচ্ছাসেবী এ সংগঠন মহামারী করোনা ভাইরাসের সময় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময় নিন্ম আয়ের সাধারণ মানুষের সেবায় কাজ করেছে। চলমান তীব্র তাপদাহে যখন শ্রমজীবী মানুষের প্রাণ হাঁসফাঁস করছে তখন স্বেচ্ছাসেবী ওই দলটি নিজস্ব অর্থায়নে তৃষ্ণার্থ মানুষের পিপাসা পূরণে এগিয়ে এসেছে।

সংগঠনটির প্রচার সম্পাদক আশিক মাহমুদ জানান, সমাজের সুবিধা-বঞ্চিত মানুষদের জন্য কাজ করাই আমাদের এই সংগঠনের প্রধান উদ্দেশ্য। সকল সদস্যরা প্রতি সাপ্তাহে ২০ টাকা করে ফান্ডে জমা দিয়ে সেই টাকা থেকেই সমাজের নিন্ম আয়ের মানুষের সেবা করি।

;

বাস চাপায় নিহত চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর পরিবার ৫ লাখ টাকা করে পাবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
বাস চাপায় নিহত চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর পরিবার ৫ লাখ টাকা করে পাবে

বাস চাপায় নিহত চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর পরিবার ৫ লাখ টাকা করে পাবে

  • Font increase
  • Font Decrease

 

বাস চাপায় নিহত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে দুই শিক্ষার্থীর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য চুয়েট কর্তৃপক্ষ, চুয়েটের ছাত্র প্রতিনিধি, বাস মালিক সমিতি, পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে জেলা প্রশাসকের বৈঠকে হয়। বৈঠকে জেলা প্রশাসক এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, তিনি খুব শিগগিরই এ সড়ক সম্প্রসারণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, এছাড়াও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় মন্ত্রী নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন। এছাড়াও আহত শিক্ষার্থীরা পাবেন ৩ লাখ টাকা। কালকের মধ্যেই আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে কাগজপত্রসহ ফরমপূরণ করে পাঠিয়ে দিবো। দুই একদিনের মধ্যে আমরা সে টাকা পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে পারবো বলে আশা করছি।

;