রাজশাহীর শাহ্ মখদুম মেডিকেল কলেজ বন্ধের নির্দেশ
বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা নীতিমালা লঙ্ঘন করায় রাজশাহী শাহ্ মখদুম মেডিকেল কলেজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার দু’টি চিঠি কলেজে এসে পৌঁছেছে। এর আগে গত ২ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব স্বাক্ষরিত এই নির্দেশনা দেয়া হয়।
আদেশের চিঠিতে কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধীনস্থ অন্য বেসরকারি কলেজগুলোতে মাইগ্রেশন করার ব্যবস্থা করার জন্যও নির্দেশ দেয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সাল থেকে কলেজটিতে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু হয়। বর্তমানে সাতটি ব্যাচে ২২৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রয়োজনীয় শর্ত পুরণ না করায় কলেজটি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউডিন্সল (বিএমডিসি) এর নিবন্ধন পায়নি। প্রতিষ্ঠানের এই নিবন্ধন না থাকায় তাদের এমবিবিএস পাস করা চারজন শিক্ষার্থী ইন্টার্নশিপ করতে না পেরে এক বছর বসেছিলেন।
এই অবস্থায় গত ফেব্রুয়ারি মাসে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। আন্দোলনের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে কলেজ খোলা রাখা এবং বিকল্প ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশীপের ব্যবস্থা করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে ২০১৯ সালের মার্চ মাসে মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত হয়। এতে কলেজ পরিচালনার ক্ষেত্রে শর্তের যে ঘাটতিগুলো পুরণ করতে বলা হয়েছিল এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসের ২৯ তারিখ পরিদর্শনে এসে তারা দেখেন সেই শর্তগুলো বাস্তবায়ন করা হয়নি। এতে তাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে কলেজ কর্তৃপক্ষ মানসম্মতভাবে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার সদিচ্ছা নেই।
এ কারণে গত ২ নভেম্বর মন্ত্রণালয় থেকে দুটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। একটি চিঠিতে ছাত্রভর্তি বন্ধ এবং অপরটিতে কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধীনস্থ অন্যান্য বেসরকারি কলেজে মাইগ্রেশনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে উপসচিব বদরুন নাহার স্বাক্ষর করেছেন।
শুক্রবার (৬ নভেম্বর) রাতে কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীন জানান, তিনি ওয়েব সাইটের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছেন যে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই নিদের্শনা দেয়া হয়েছে সেটি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনে যে ত্রুটির কথা বলা হয়েছে তার অনেকগুলোই পূরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই আদেশের ফলে অনেক শিক্ষার্থীর পড়াশোনা অনিশ্চিত হয়ে যাবে। বিষয়টি পুণঃবিবেচনার জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন বলেও জানান তিনি।