বড় পরিসরে হচ্ছে না মীর মশাররফের জন্মবার্ষিকী উদযাপন
করোনাভাইরাসের প্রভাবে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের সমন্বয়ধর্মী ধারার প্রবর্তক কালজয়ী উপন্যাস ‘বিষাদ-সিন্ধুর’ রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৩তম জন্মবার্ষিকী এবার বড় পরিসরে উদযাপন করা হবে না বলে জানিয়েছে বাংলা একাডেমি।
শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বাংলা সাহিত্যের এই মনীষীর ১৭৩তম জন্মবার্ষিকী। ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর এই দিনে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর গৌরী নদীর তীরে লাহিনীপাড়ায় বাবা সৈয়দ মীর মুয়াজ্জম হোসেন ও মা দৌলতন নেছার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। আর ১৯১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী গ্রামে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুর পর এখানেই মহান মনীষীকে সমাহিত করা হয়।
মীর মশাররফ হোসেনের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এখানে স্থানীয় প্রশাসন, বাংলা একাডেমি ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো দুইদিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে থাকে। এমনকি বাংলা একাডেমি এককভাবে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করে।
কিন্তু এ বছর করোনার হিংস্র প্রভাবের কারণে সীমিত আকারে উদযাপন হতে যাচ্ছে মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৩তম জন্মবার্ষিকী। শুধুমাত্র শ্রদ্ধাঞ্জলি ও দোয়ার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হবে এবারের জন্মবার্ষিকী।
বাংলা একাডেমির প্রোগ্রাম অফিসার ও মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তা শেখ ফয়সাল আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলা একাডেমি মীরের সমাধিস্থল স্মৃতি কেন্দ্রে একটি পূর্ণাঙ্গ বই বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন করার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে সেটি সম্ভব হচ্ছে না। খুব দ্রুতই এটি উদ্বোধন করা হবে। এরই মধ্যে বাংলা একাডেমির বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাই এ বছর শুধুমাত্র শ্রদ্ধাঞ্জলি ও দোয়া-মাহফিলের মধ্য দিয়েই সীমিত আকারে মীর মশাররফ হোসেনের ১৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে।