অক্টোবর পর্যন্ত মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১ হাজার ২৬



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের গবেষণা প্রতিবেদন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের গবেষণা প্রতিবেদন।

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ১ হাজার ১১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১ হাজার ২৬ জন নিহত হয়েছে। আহত ৪১৭ জন। নিহতদের মধ্যে ৭২৪ জন ১৫ থেকে ৪০ বছর বয়সী। ৩৭ জন শিক্ষক এবং ৩০৮ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ১২৪ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ১২.০৮ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের জানুয়ারি-অক্টোবর পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনার প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৭টি জাতীয় দৈনিক, ৫টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানায়, দুর্ঘটনাসমূহের মধ্যে অন্য যানবাহনের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ১৫৬টি, মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩৭৮টি, মোটরসাইকেলের পেছনে অন্য যানবাহনের ধাক্কা ও চাপা দেয়ার ঘটনা ৩৫৩টি এবং পথচারীকে মোটরসাইকেলের ধাক্কা দেয়ার ঘটনা ১২৪টি ও ৩৭৮টি দুর্ঘটনার জন্য মোটরসাইকেল নিজেই এককভাবে দায়ী।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দুর্ঘটনাসমূহের জন্য দায়ী- বাস ১২৩টি, ট্রাক ৩০৪টি, কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি ৭৯টি, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-অটোরিকশা-সিএনজি-নসিমন-করিমন-ভটভটি) ৫৭টি, বাই-সাইকেল ৫টি। দুর্ঘটনায় আক্রান্ত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ১০৭৬টি।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ৩৯৮টি জাতীয় মহাসড়কে, ৩৬৯টি আঞ্চলিক সড়কে, ১২৮টি গ্রামীণ সড়কে এবং ১১৬টি শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে।

সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাসমূহ ঘটেছে সকালে ২৫.০২%, দুপুরে ২০.১৭%, বিকালে ২৯.৩৭%, সন্ধ্যায় ১০.০৪% এবং রাতে ১৫.৩৩%।

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কারণসমূহ:

১. কিশোর-যুবকদের বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালানো;

২. দেশে অতি উচ্চগতির মোটরসাইকেল ক্রয় ও ব্যবহারে বাধাহীন সংস্কৃতি ও সহজলভ্যতা;

৩. ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা;

৪. দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা;

৫. সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারির শিথিলতা;

৬. বাস-ট্রাক-পিকআপ-প্রাইভেটকার-মাইক্রোসহ দ্রুতগতির যানবাহনের বেপরোয়া গতি;

৭. চালকদের অদক্ষতা ও অস্থিরতা;

৮. ইজিবাইক-সিএনজি-নসিমন-করিমন ইত্যাদি স্বল্পগতির যানবাহন অপরিকল্পিত ও অদক্ষ হাতে চালানো;

৯. সড়ক-মহাসড়কে ডিভাইডার না থাকা;

১০. সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা না থাকা;

১১. পারিবারিকভাবে সন্তানদের বেপরোয়া আচরণকে প্রশ্রয় দেয়া;

১২. উচ্ছৃঙ্খল যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে কলুষিত রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ইত্যাদি।

সুপারিশসমূহ:

১. কিশোর-যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে;

২. মাত্রাতিরিক্ত গতিসম্পন্ন মোটরসাইকেল উৎপাদন, বিক্রি ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে;

৩. দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে;

৪. গণপরিবহন চালকদের বেতন ও কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট করতে হবে;

৫. বিআরটিএ’র সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে;

৬. ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে;

৭. মহাসড়কে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা লেন তৈরি করতে হবে এবং স্বল্পগতির স্থানীয় যানবাহন বন্ধ করতে হবে;

৮. স্বল্পগতির যানবাহনের জন্য মহাসড়কের পাশাপাশি সার্ভিস রোড নির্মাণ করতে হবে;

৯.পর্যায়ক্রমে সকল সড়ক-মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে;

১০. গণপরিবহন উন্নত করে মোটরসাইকেলকে নিরুৎসাহিত করতে হবে;

১১. রেল ও নৌ-পথ সংস্কার এবং বিস্তৃত করে সড়ক পথের উপর থেকে ট্রাক-কাভার্ডভ্যানের মতো পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ কমাতে হবে;

১২. সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে;

১৩. “সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮” এর সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, বর্তমানে দেশে প্রায় ৩১ লাখ মোটরসাইকেল রয়েছে। শুধু রাজধানীতেই চলছে ১০ লাখের বেশি।

উল্লেখ্য, কিশোর-যুবকরাই সবচেয়ে বেশি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হয়। তাই গণপরিবহনকে উন্নত করে মোটরসাইকেলের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে হবে। সরকারের উচিত, এখনই মোটরসাইকেল উৎপাদন, ক্রয় ও ব্যবহারের লাগাম টেনে একটি টেকসই গণপরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। এটি এখন সময়ের দাবি।

   

চুয়েট শিক্ষার্থীদের চাপা দেওয়া বাসের চালক গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
বাসের চালক গ্রেফতার

বাসের চালক গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীকে চাপা দিয়ে মেরে ফেলা বাসের চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

চুয়েট শিক্ষার্থীদের চাপা দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত বাসচালকের নাম মো. তাজুল ইসলাম। তার বাড়ি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পৌরসভার উত্তর ঘাটচেক এলাকায়।

বাসচালক গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (জেলা বিশেষ শাখা) আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন বলেন, চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় জড়িত বাসচালককে নগরের কোতোয়ালি এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এর আগে, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা জিয়ানগর এলাকায় শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় নিহত হন চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের তৌফিক হোসাইন।

এছাড়াও আহত হন একই বর্ষের জাকারিয়া হিমু। এ ঘটনার পর চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার তৃতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীদের অবরোধ চলমান রয়েছে।

;

রাজবাড়ীতে হিট স্ট্রোকে মারা গেলেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,রাজবাড়ী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে হিট স্ট্রোকে মো. নুর ইসলাম (৭৫) নামের অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে মারা যান তিনি।

তার বাড়ি উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে। তিনি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক।

মৃতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১০টার দিকে প্রচন্ড গরমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নুর ইসলাম। পরিবারের লোকজন দ্রুত এগিয়ে এসে প্রথমে তার মাথায় পানি ঢালেন। অবস্থা আরো খারাপ হলে তাকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি মারা যান।

গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শরিফুল ইসলাম বলেন, তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকে নুর ইসলাম নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।এছাড়াও তার ডায়বেটিস জনিত রোগ ছিলো। 

;

দেশে ফিরলেন মিয়ানমারে আটকা পড়া ১৭৩ জন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ১৭৩ বাংলাদেশি। বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১টায় তারা কক্সবাজার শহরের নুনিয়ার ছড়া ঘাটে এসে পৌঁছে।

এরআগে, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) মিয়ানমারের সিতওয়ে বন্দর থেকে বাংলাদেশে জলসীমার উদ্দেশে রওনা হয় জাহাজ চিন ডুইন। বাংলাদেশি জাহাজে করে মিয়ানমার জলসীমা থেকে নুনিয়াছড়া ঘাটে আনার পর একে একে তাদেরকে জাহাজ থেকে নামানো হয়।

বিজিবি, কোস্ট গার্ড ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় হস্তান্তর প্রক্রিয়ার জন্য তৈরি করা অস্থায়ী তাবুতে নেওয়া হয় ১৭৩ বাংলাদেশিকে। সেখানে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতসহ বিজিবি ও কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া পুরো প্রক্রিয়াটিতে সকাল থেকেই উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য, জাতীয় সংসদের হুইপ ও কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, জাহাজে ফেরা ১৭৩ জন বাংলাদেশির মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজারের, ৩০ জন বান্দরবানের এবং রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী, নীলফামারী জেলার একজন করে বাসিন্দা আছেন। এর মধ্যে ৩ জন নারীও আছেন।

জানা যায়, বাংলাদেশি নাগরিকদের দ্রুত ও সহজে ফেরত আনার পরিকল্পনায় মিয়ানমারে থাকা বাংলাদেশি দূতাবাস দেশটির বিভিন্ন কারাগারে বন্দী ১৪৪ জনকে যাচাই-বাছাই করে। পরে যাদের কারাভোগের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে বা ক্ষমা পেয়েছেন তাদেরকে সিতওয়ে কারাগারে আনতে উদ্যোগ নেয়।

পাশাপাশি আরও ২৯ জন যাচাই করা বাংলাদেশি নাগরিক, যারা এখনো কারাভোগরত কিংবা বিচারাধীন। তাদেরও মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি মিয়ানমারের কাছে তুলে ধরে বাংলাদেশ। যার ভিত্তিতে সাজা মওকুফ করে তাদেরও সিতওয়ে কারাগার থেকে দেশে আনা হয়েছে আজকে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাচাই বাছাই শেষে আজকেই ১৭৩ জনকে স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দিবে।

রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হওয়া মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ২৮৫ সদস্যকে নিয়ে ২৫ এপ্রিল ফিরে যাবে চিন ডুইন জাহাজটি।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ৩ অক্টোবর দুই দেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মিয়ানমারে কারাভোগ শেষ করা ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে পাঠানো হয়।

;

ফরিদপুরে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফরিদপুরের মধুখালীর বালিয়াকান্দি পঞ্চপল্লীর কালি মন্দিরে আগুনকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে ফরিদপুর সদরসহ মধুখালী উপজেলার বালিয়াকান্দি পঞ্চপল্লীর নিকটে এবং বাঘাটে বাজার এলাকায় যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয়ে টহল পরিচালনা করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।

তিনি জানান, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটসহ যৌথ বাহিনীর সঙ্গে বিজিবির টহলের পাশাপাশি গ্রাম পুলিশ অবস্থান করছে।

এর আগে সকালে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। এর ফলে ওই এলাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়। পরে দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

জানা যায়, পঞ্চপল্লীতে দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যা ও মন্দিরে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার প্রতিবাদে মধুখালী রেলগেটে মানববন্ধনের ডাক দেওয়া হয়। স্থানীয় সর্বসাধারণের ব্যানারে আয়োজিত এ কর্মসূচি পালনে সেখানে সমবেত হয় পাঁচ শতাধিক জনতা। আনুমানিক আধা ঘণ্টা স্থায়ী এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন শেষে বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভকারীরা মধুখালীর ঈদগাঁ ময়দানে প্রতিবাদ মিছিল বের করে। পরে মিছিলটি মহাসড়কে উঠে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক ধরে কামারখালী সেতুর দিকে এগোতে থাকে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে বিক্ষোভকারীরা খণ্ড খণ্ড হয়ে মিছিল করতে থাকে। একাধিক ভাগে বিভক্ত বিক্ষোভকারী মালেকা চক্ষু হাসপাতালের সামনে, নওয়াপাড়ার মোড়, মাঝিবাড়ি ও বাগাটের ঘোষঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়।

বাগাটের ঘোষঘাটে বিক্ষোভকারীরা ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি এনে অবরোধ করে এবং সড়কের মাঝে গাছের গুঁড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। নওয়াপাড়ার মোড়ে একটি ইটভর্তি ট্রাক সড়কের মাঝখানে আড়াআড়িভাবে রেখে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে। এতে জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং একপর্যায়ে পুলিশের দিকে ইট ছুড়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই জায়গায় ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সব দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বিক্ষোভ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তাদের ওপর পুলিশের গুলি ও হামলার প্রতিবাদ জানান। জেলা প্রশাসক এ ঘটনার তদন্ত হবে বলে আশ্বাস দেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা জেলা প্রশাসকের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। পরে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিক্ষোভকারীরা জানায়, পুলিশের হামলায় তাদের চারজন আহত হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে এবং বাকি একজনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহাম্মদ এমদাদ হুসাইন বলেন, কোথাও বুঝিয়ে এবং কোথাও শক্তি প্রয়োগ করে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা পর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহত বা জানমালের ক্ষতিসাধনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

;