ডিএনসিসির বর্জ্য-বিদ্যুৎ প্রকল্প মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
বহুল আলোচিত বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন অবশেষে বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৪২.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বর্জ্যে ৪২.৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নো বিদ্যুৎ নো পেমেন্ট ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। ইউনিট প্রতি বিদ্যুতের দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮.২৯ টাকা (ডলার ৮৪ টাকা বিবেচনায়)। ২৫ বছর মেয়াদী এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করবে চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিএমইসি)। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির জন্য ৩০ একর জমি এবং দৈনিক ৩ হাজার মে. টন গৃহস্থালির বর্জ্য সরবরাহে বাধ্য থাকবে ডিএনসিসি। বর্জ্য সরবরাহে ব্যর্থ হলে প্রতিটন বর্জ্যের জন্য দৈনিক ১ হাজার টাকা করে জরিমানা গুনতে হবে। অপরদিকে সিএমইসিও বর্জ্য নিতে অস্বীকৃতি জানাতে পারবে না। বর্জ্য নিতে ব্যর্থ হলে একইভাবে তাকে ১ হাজার টাকা টন প্রতি জরিমানা গুনতে হবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির জন্য সাভারের বলিয়াপুরে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় হিমশিম খাচ্ছে দুই সিটি করপোরেশন। বিপুল পরিমাণ বর্জ্য ডাম্পিংয়ের জন্য বিশাল জায়গা যোগান দিতে হচ্ছে। যেখানে ডাম্প করা হচ্ছে, তার আশপাশের পরিবেশন দূষণ হচ্ছে। গৃহস্থালির এসব বর্জ্যকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহারের মাধ্যমে ৯০ শতাংশ আয়তন হ্রাস করা সম্ভব। এতে করে ডাম্পিংয়ের জন্য বিপুল পরিমাণ জায়গার প্রয়োজনীয়তা আর থাকবে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. সুলতান আহমেদ।
সচিব জানিয়েছেন, পর্যায়ক্রমে গাজীপুর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ প্রক্রিয়াধীন। এতে শহরগুলো এবং আশপাশের নদীগুলোর পরিবেশ সুরক্ষা করে। এক প্রশ্নের জবাবে বার্তা২৪.কমকে বলেন, কনভেনশনাল বিদ্যুতের চেয়ে এই বিদ্যুতের দাম কিছুটা বেশি মনে হলেও এর প্রভাব অনেক বিশাল। বিপুল পরিমাণ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার খরচ বেঁচে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে পরিবেশনের বিষয়টিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুতের উৎপাদন দিন দিন বাড়বে। বর্তমানে সৌর থেকে ৪১৬ মেগাওয়াট, বায়ু থেকে ২.৯ মেগাওয়াট, বায়ু গ্যাস থেকে দশমিক ৬৩ মেগাওয়াট, বায়োমাস হতে দশমিক ৪ মেগাওয়াট এবং জলবিদ্যুৎ থেকে ২৩০ মেগাওয়াট আসছে। আরো অনেকগুলো প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।