পাহাড়ে কমেছে স্থানীয় পণ্যের চাহিদা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
কমেছে স্থানীয় পণ্যের চাহিদা। ছবি: বার্তা২৪.কম

কমেছে স্থানীয় পণ্যের চাহিদা। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বছরের পর বছর ধরে পূর্বের ঐতিহ্য ধরে রাখতে বাঁশ এর তৈরি হস্তশিল্প, তাঁতের তৈরি থামি, চাদর ও বাদ্যযন্ত্র ইত্যাদি তৈরি আসছে বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়। নিজেদের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাহিরে বিক্রয় করে উপার্জন করতো অনেকে।

সম্প্রতি করোনাভাইরাসের প্রকোপে অস্বচ্ছল হয়ে গেছে দেশের অর্থনীতি। এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে পাহাড়ের ক্ষুদ্র শিল্প। পার্বত্য অঞ্চলের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জাতিগোষ্ঠীরা। বাঁশ-বেত দিয়ে বিভিন্ন হস্তশিল্প তৈরি করতো যারা তাদের পণ্যগুলোরও এখন ক্রেতা কম।

বান্দরবানের কানাপাড়া এলাকার বসবাসরত লবক্যা তঞ্চঙ্গা তৈরি করতো বাঁশের তৈরি বাদ্যযন্ত্র। তিনি বলেন সময়ের সাথে একেবারে হারিয়ে যাওয়ার পথে এসব বাদ্যযন্ত্র। নতুনরা কেও এসব কাজ শিখতে আগ্রহী নয়। আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যেতে পারে এসব শিল্প।

তেমনি বান্দরবানের জাদিপাড়ার হংফরি মার্মা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে হস্তশিল্প তৈরি করছি। এখন বিক্রি কমে গেছে। একসময় মোটামুটি ক্রেতা আসতো। এখন হস্তশিল্প সংগ্রহ করে খুব মানুষ।

পাশাপাশি স্থানীয় বার্মিজ মার্কেট গুলোর দোকানিদের আয়ও কমেছে। স্থানীয় পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ার ফলে ক্রেতা কমে গেছে। পাহাড়ি পণ্যের বিপরীতে আধুনিক সব পণ্যের বাজার দখলে নূন্যতম চাহিদাও নেই পাহাড়ি পণ্যের।

করোনা আসার পর থমকে গেছে ব্যবসা। ছবি: বার্তা২৪.কম

বান্দরবান বার্মিজ মার্কেট এর মং চ্ সিং জানায়, করোনার আগে তাদের ব্যবসা ভালো চলতো। বিভিন্ন জিনিস পত্র বিক্রি হতো সহজে। করোনা আসার পর একেবারে থমকে গেছে ব্যবসা। এদিকে দোকান ভাড়াও রীতিমতো পরিশোধ করা লাগে। আবার ব্যবসায় লোকসান ও হচ্ছে। তিনি আশা করেন শীত মৌসুমে পর্যটক এর সংখ্যা বাড়লে দোকানের আয়ও ভালো হবে।

মূলত দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে পর্যটনগুলো বন্ধ থাকায় পর্যটক শূন্য পাহাড়। তাই স্থানীয় পণ্যের চাহিদা একেবারে কমে গেছে। পরিস্থিতি পুনরায় আগের মতো হলে পাহাড়ের স্থানীয় পণ্যের চাহিদা বাড়বে।

হাতে তৈরি শৌখিন জিনিসপত্র। ছবি: বার্তা২৪.কম

পর্যটক দের মূল আকর্ষণ হলো পাহাড়ে হাতে তৈরি শৌখিন জিনিসপত্র। পাহাড়ি পোশাক ও ঐতিহ্য বহন করে এমন জিনিসপত্র। শৌখিন পর্যটকেরা পাহাড় ও শহর ঘুরে তাদের পছন্দের জিনিস সংগ্রহ করে।

ধীরে ধীরে পর্যটকের বিপুল আগমন শুরু হয়েছে। স্থানীয় মার্কেটগুলোতে ঘুরে দেখা গেল, পর্যটকদের চাহিদা অনুযায়ী পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। যেহেতু, শীতের মৌসুম শীতে ব্যবহারযোগ্য চাদরের চাহিদাও কম নয়। পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধি পেলে পাহাড়ি পণ্যের চাহিদা বাড়বে।

   

নওগাঁয় নারী উদ্যোক্তাদের হাট বাজার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁয় নারীদের উদ্যোক্তা সংগঠন উইমেন্স অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্ট ‘উই টিম’ নওগাঁ’র উদ্যোগে অফলাইন মিটিং এবং হাটবাজার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) শহরের বৌ বাজার খলিফাপাড়ায় দিনব্যাপী এই হাটবাজারটি অনুষ্ঠিত হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, উদ্যোক্তারা নিজের তৈরিকৃত পণ্যের পসরা নিয়ে বসে আছেন যেখানে আছে থ্রি পিস, বুটিকের তৈরি পোশাক, ছোট বাচ্চাদের পোশাক, গহনা, আংটি, চুড়ি, ওড়না ইত্যাদি।

হাটবাজারে স্টল দেওয়া উদ্যোক্তা ও উই গ্রুপের নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি শারমিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, নারী উদ্যেক্তাদের কথা চিন্তা করে আমাদের এই ব্যানারে সারাদেশে মেলা হচ্ছে। যেখানে দেশি পণ্যের প্রচার হবে, আমাদের ও প্রচার। যারা বাসায় বসে অনলাইনে সেল করে তারা অফলাইনেো সেল করতে পারছে। এতে উদ্যেক্তাদের জন্য খুবই ভালো হচ্ছে। যদি রোজা না হতো আমরা বাহিরে ৩ দিন ধরে মেলা করতাম।

ইসরাত জাহান চৈতি বলেন, আমাদের ছোট উদ্যোক্তাদের জন্য এ ধরনের উদ্যোগ খুবই ভালো ফল এনে দেয়। কারণ আমরা এখানে আসায় ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছি। অফলাইন-অনলাইন দুই মাধ্যমেই বিক্রি ভালো হচ্ছে। 

উদ্যোক্তা বিপাশা ভট্টাচার্য বলেন, এই ধরনের হাট বাজারের মাধ্যমে আমাদের প্রসারের সুযোগ রয়েছে। এতে পরিচিত বাড়ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা নাসরিন লেজু বলেন, বাসার কাছেই এসে দেখি হাট বসেছে। এখনাএ দাম ও মান ভালো হওয়ায় পণ্য কিনতে পেরেছি।

এসময় উই গ্রুপের নওগাঁ প্রতিনিধি শারমিন, প্রতিনিধি তনুসহ অনেক উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

সম্পত্তির ভাগ না পাওয়ায় বাবার কবরে শুয়ে মরদেহ দাফনে বাধা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারী সদরে মজিবর রহমান (৬৮) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সম্পত্তির ভাগ না পাওয়ায় মৃত্যুর পর তার তৃতীয় ছেলের বিরুদ্ধে বাবার মরদেহ দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় দুই ঘণ্টা মরদেহ বাড়ির উঠানে পড়ে থাকে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে সদরের চাওয়া সরঞ্জাবাড়ি ইউনিয়নের বাটুল টারি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত মজিবর রহমান ওই এলাকার বাসিন্দা ও চার সন্তানের জনক।

সম্পত্তির ভাগ না দেওয়ায় বাবার কবরে শুয়ে মরদেহ দাফনে বাধা দেন ছেলে

নিহতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত মজিবর রহমান তার তিন ছেলেকে নিজের সম্পত্তির জমি লিখে দেয়। তার তৃতীয় ছেলে নওশাত আলী ঢাকায় চাকরি করতেন। তার সাথে বাবার বনিবনা কম থাকায় তাকে কোনো জমি লিখে দেয়নি। হঠাৎ মধ্যরাতে মজিবর রহমান মারা গেলে শুক্রবার দুপুরে তাকে দাফন করার প্রস্তুতি নেয় স্বজনরা। এ সময় নওশাদ তার বাবার কবরে শুয়ে থেকে মরদেহ দাফন করতে বাধা দেয়। পরে স্থানীয়রা পুলিশের সহায়তায় অন্য জায়গায় কবর খুঁড়ে মরদেহ দাফন করেন।

এ বিষয়ে চওড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম কবির শাহ বলেন, মৃত মজিবর তার তৃতীয় ছেলেকে জমি লিখে না দেওয়ার কারণে বাবার মরদেহ দাফনে বাধা দেয়। পরে স্থানীয়রা সবাই মিলে পুলিশের সহায়তায় অন্য জায়গায় কবর খুড়ে মরদেহ দাফন করেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে অন্য জায়গায় কবর খুড়ে মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

;

দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় চট্টগ্রামের বায়োজিদ থানাধীন টেক্সটাইল গেট এলাকায় জুতার সোল তৈরির কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

এর আগে ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম অঞ্চলে কন্ট্রোল রুম থেকে বার্তা২৪.কমকে জানায়, ৪টা ১০ মিনিটে খবর পেয়ে প্রথমে দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরও তিনটিসহ ৫টি ইউনিট যোগ দেয়। বর্তমানের ইউনিট বাড়িয়ে মোট ৯টি ইউনিট কাজ করছে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি এবং এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবরও পায়নি।

বায়েজিদ থানার ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা বার্তা২৪.কমকে বলেন, জুতার সোল তৈরির কারখানায় আগুন লেগেছে। পোশাকের কারখানা নয়। আমি ঘটনাস্থলে আছি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসও কাজ করছে। 

;

শিক্ষকের মৃত্যুতে মানববন্ধন এলাকাবাসীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

গাবতলীর আমিন বাজারের বাসিন্দা মেধাবী গণিত শিক্ষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলামের মৃত্যুতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে জুম্মার নামাজের পর মিরপুর মফিদ-ই-আম স্কুল এন্ড কলেজের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে নিহত আমিনুল ইসলামের পরিবার শুভাকাঙ্ক্ষী ও এলাকাবাসী।

স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ এলাকাবাসী মানববন্ধনে অংশ নিয়ে আমিনুল ইসলামের কথা স্মরণ করে তারা জানায়, আমিনুল ইসলাম ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী একজন শিক্ষক। সকলেই তাকে অনেক ভালোবাসতেন। ধর্মীয় অনুশাসন সবসময় মেনে চলতেন আমিনুল ইসলাম স্যার। এছাড়া ছাত্র জীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন।

কিন্তু হঠাৎ করেই গত ২৬ মার্চ রাতে ছাত্রীকে পড়ানো শেষ করে বাসায় ফেরার পথে রাতে শ্যামলী পরিবহনের একটি গাড়ি তাকে আঘাত করে চলে যায়। তারপর হাসপাতালে নেয়ার আগে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

অভিযুক্ত গাড়ির চালক গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে সাভার হাইওয়ে পুলিশ ধামরাই থেকে তাকে আটক করেন।

এলাকাবাসী বলছে, অনিয়ন্ত্রিত গতির জন্যেই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার স্বীকার হতে হলো তাকে। তাই গাবতলি থেকে আমিন বাজার সাভারে চলাচল করা সকল ধরনের গাড়ির অনিয়ন্ত্রিত গতি ঠেকাতে হবে। চালকদের বেপরোয়া ড্রাইভিং এবং মহাসড়কে অপরিকল্পিত উন্নয়ন কাজসহ সড়ক অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করে তা নিরসনে ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান এলাকাবাসী।

সেই সাথে দ্রুত অভিযুক্ত চালককে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হোক এবং সড়ক নিরাপত্তা আরো জোরদার করা হোক।

;