নিতাই-ফরিদার ফোনালাপের তদন্ত হচ্ছে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি অগ্নি-সন্ত্রাস চালিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে আবারো লিপ্ত হয়েছে। উপ-নির্বাচনে জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করায় ক্ষুব্ধ বিএনপি সেদিন বাসে আগুন লাগিয়েছে। সেই ঘটনায় বিএনপি দুই নেতা নিতাই রায় ও ফরিদার একটি ফোনালাপ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে এসেছে। এটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
রোববার (১৫ই নভেম্বর) নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ প্রতিনিধি সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও রাজনৈতিক কর্মসূচী পালনের অধিকার সব রাজনৈতিক দলেই রয়েছে। কিন্তু সেই সুযোগ নিয়ে বিএনপি আবারো আগুন সন্ত্রাসে মেতে উঠেছে। তারা নিজেদের ব্যর্থতার দায়ভার আর কর্মীদের রোষানল থেকে বাঁচতে কোনো উপায় না পেয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। কিন্তু তাদের রাজনৈতিক চরিত্র জানে দেশের মানুষ।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার নিজের দলের কাউকেই দুর্নীতি ও অপরাধ জড়ালে ছাড় দিচ্ছে না। তার প্রমাণ দুদক স্বাধীনভাবে কাজ করছে। অনেক বড় বড় প্রতারকরা আইনের আওতায় এসেছে। একটি দল ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় নিজেদের অপরাধী নেতাকর্মীদের আইনের আওতায় আনতে পারে, সেই সৎ সাহস ও অঙ্গিকার এদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগেরই আছে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে সাধারণ সম্পাদক বলেন, সাংগঠনিক ঐক্যের বিকল্প নাই। সাংগঠনিক ঐক্য না থাকলে দলের রক্তক্ষরণ হয়। বিরোধীদলের সমালোচনা করার পরিবর্তে আমরা নিজেরাই নিজেদের আক্রমণ করি। আমাদের এরূপ আচরণ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে বিব্রত করে, শেখ হাসিনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। এসব বন্ধ করতে হবে। নিজেদের লোক দিয়ে পকেট কমিটি করা যাবে না। ত্যাগীদের বাইরে রেখে কোনো কমিটি হবে না। মনে রাখতে হবে দল ক্ষমতায় না থাকলে দাপট থাকবে না, দাঁড়ানোর জায়গা থাকবে না।
নাটোর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আখতার জাহান, নাটোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও তথ্য যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল, নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রত্না আহমেদ, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ডাবলু সরকার জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।