কুড়িগ্রামে ফুলকপির বাম্পার ফলন
কুড়িগ্রামে এ বছর বন্যা ও বৃষ্টিপাতের কারণে কৃষকরা সময় মতো শীতকালীন ফুলকপি চাষ করতে পারেননি। তবে একটু দেরিতে হলেও সবজির ফলন বাম্পার হয়েছে। আবাদকৃত ফুলকপির ক্ষেতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আর মাত্র ১৫-২০ দিনের মধ্যে বাজারে নতুন ফুলকপি বিক্রি করতে পারবেন চাষিরা।
বর্তমানে শীতকালীন ফুলকপির বাজারে বেশি দাম থাকায় লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এখানকার কৃষকরা।
কুড়িগ্রাম কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী জেলায় এবার সবজি চাষ ৪ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে অর্জিত হয়েছে। তাছাড়াও শুধু ফুলকপি ২০০ হেক্টর জমিতে অর্জিত হয়েছে, ফুলকপি আরও অর্জিত হওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকরা তাদের ফুলকপির ক্ষেত পরিচর্যাসহ খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের কৃষক রানা মিয়া বলেন, ফুলকপি আমার লাভজনক আবাদ। ৯০ দিনের মত সময় লাগে ফুলকপি আবাদে। এই কপি বিক্রি করে, তার পর আলু লাগাবো মাঝে আমার ফুলকপিটা হয়ে যাবে। ফুলকপির ফলন খুব ভালো হয়েছে আশা করছি লাভবান হতে পারব।
ওই ইউনিয়নের আরেক কৃষক শ্রী শসেন্দ্রো সরকার জানান, বৃষ্টি কারণে সময় মত ফুলকপি চাষ করতে পারি নাই। তবে দেরিতে চাষ করলেও ফলন খুব ভালো হয়েছে। এখন বাজারে ২৩০০-২৪০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে, আমার ফুলকপি যখন বাজারে আসবে ১ হাজার-১২০০শ টাকা মণ হতে পারে। যেভাবে ফলন দেখা যাচ্ছে তাতে লাভ হবে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ ছামছুদ্দিন মিয়া বার্তা২৪.কম-কে জানান, আগাম যে ফুলকপি গুলো পাওয়া যাচ্ছে সেগুলোর দামও বেশি। বর্তমানে আবাদকৃত ফুলকপি ১৫-২০ দিনের মধ্যে বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যাবে দাম কম হবে।