জলবায়ু-সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাকে ভূমিকা রাখতে হবে
জেনেভাস্থ জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, জলবায়ু-সংকট মোকাবিলায় জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অভিযোজন, প্রশমন, প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং আর্থিক ও বিনিয়োগ সহায়তা সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে বৃহৎ অর্থনীতির দেশসমূহ, বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থাগুলোকে আরো জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।
গত মঙ্গলবার ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিজ (আইএফআরসি) কর্তৃক আয়োজিত এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত রহমান প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ সম্পর্কে আলোকপাত করেন। বিশেষ করে, তিনি সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ প্রণয়ন এবং জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা ও কৌশলগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনকে একীভূতকরণের প্রসঙ্গটি গুরুত্বের সাথে তুলে ধরেন। তিনি ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ)-এর বর্তমান সভাপতি হিসেবে জলবায়ু-সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। এছাড়া, তিনি বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা ও প্যারিস চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে আইএফআরসি’র ‘বৈশ্বিক দুর্যোগ প্রতিবেদন ২০২০’ শীর্ষক নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এই প্রতিবেদনে গত দশকে আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিশ্বজুড়ে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এবং আগামী দশকে উন্নয়নশীল দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সম্ভাব্য ব্যয় ও প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়গুলো স্থান পেয়েছে।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে আইএফআরসি’র মহাসচিব জাগান শাপাগেইন, জেনেভাস্থ নেদারল্যান্ডস মিশনের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত নাথালিয়ে অলিস্লাগের, জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ(ইউএনএফসিসি)-এর পরিচালক ইউসেফ নাসেফ এবং সুদান রেড ক্রিসেন্টের মহাসচিব ড. আফাফ ইয়াহিয়া আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।