পদ্মা সেতুর ৫ দশমিক ৭০ কিলোমিটার এখন দৃশ্যমান
বহুমুখী পদ্মা সেতুর মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ১ ও ২ নম্বর পিলারের (খুঁটি) ওপর বসানো হয়েছে ৩৮তম স্প্যান-ওয়ান-এ। এর ফলে দৃশ্যমান হলো সেতুর ৫ দশমিক ৭০ কিলোমিটার।
শনিবার (২১ নভেম্বর) দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটের দিকে স্প্যানটি সফলভাবে বসানো হয়। সকালের দিকে আবহাওয়া কিছুটা খারাপ ছিলো। তারপরও স্প্যান বসাতে কোনো সমস্যা হয়নি।
এর আগে, পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের মূল সেতুর নির্মাণের কাজে নিয়োজিত চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি) ৩৮তম স্প্যান বসানোর লক্ষ্যে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে নির্ধারিত পিলারের কাছে আনা হয়।
এদিকে ৩৮তম স্প্যান বসার ফলে পদ্মা সেতুর আর মাত্র ৩টি স্প্যান বসতে বাকি রইলো। এই মাসের শেষের দিকে বসতে পারে ৩৯তম স্প্যান এবং বাকি ২টি স্প্যান ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই বসানোর কথা বয়েছে।
বর্তমানে মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯০ দশমিক ৫০ ভাগ। আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৮০ দশমিক ০৩ ভাগ। নদী শাসনের অগ্রগতি হয়েছে ৭৫ ভাগ। সংযোগ সড়ক ও সার্ভিস এরিয়ার কাজের অগ্রগতি ১০০ ভাগ বলে জানা গেছে।
পুরো সেতুতে মোট পিলারের সংখ্যা ৪২টি । প্রতিটি পিলারের রাখা হয়েছিল ছয়টি পাইল। একটি থেকে আরেকটি পিলারের দূরত্ব ১৫০ মিটার। এই দূরত্বের লম্বা ইস্পাতের কাঠামো বা স্প্যান জোড়া দিয়েই সেতু নির্মিত হচ্ছে। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। স্প্যানের অংশগুলো চীন থেকে তৈরি করে বাংলাদেশে আনা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয়েছিল পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ চার মাস পর গত মাসের ১১ অক্টোবর ৩২তম, ১৯ অক্টোবর ৩৩তম, ২৫ অক্টোবর ৩৪তম, ৩১ অক্টোবর ৩৫তম স্প্যান এবং ৬ নভেম্বর ৩৬তম, ১২ নভেম্বর ৩৭তম বসানো হয়েছে।