সবজির বাজারে শীতের আমেজ, দাম কমে অর্ধেকে
নানা দুর্যোগ পেরিয়ে গাইবান্ধার হাট-বাজারগুলোতে আসতে শুরু করেছে শীতকালীন শাক-সবজি। ফলে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে শাক-সবজির দাম নেমে এসছে অর্ধেকে। তাই সবজি বাজারে শীতের আমেজ দেখা দিয়েছে ক্রেতাদের মধ্যে।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) গাইবান্ধা শহরের পুরাতন বাজারসহ বিভিন্ন হাট-বাজরে দেখা যায়, সবজির বাজারে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। সম্প্রতি সব ধরনের কাঁচা তরিতরকারির দাম কমায় হাসি দেখা গেছে ক্রেতাদের মুখে।
বর্তমান বাজারে প্রতিকেজি ফুলকপি ৩০ টাকা, বাঁধাকপি ২৫ টাকা, বেগুন ২৫ টাকা, মূলা ৪ টাকা, শিম ৩০ টাকা, শসা ২০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ২০-৩০ টাকা, পালংশাক ২০ টাকা, লালশাক ২৫ টাকা, পাটশাক ২০ টাকা, পাতা পেঁয়াজ ৪০ টাকা ও কাঁচামরিচ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত কয়েকদিন আগেও দাম ছিল দ্বিগুণ।
জানা যায়, চলতি বছরে গাইবান্ধায় ভয়াবহ বন্যা, ভারী বর্ষণ ও নিম্নচাপের প্রভাবে কৃষকদের ধান, পাট ও শাক-সবজিসহ অন্যান্য ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকরা ঝুঁকে পড়ছেন শীতকালীন সবজি চাষে। এরইমধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে নানা জাতের শাক-সবজি।
খুচরা বিক্রেতা জাকিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সপ্তাহ খানেক পরে আরও শাক-সবজি আমদানি হবে। তাই বর্তমান বাজার মূল্য যেটি রয়েছে, সেটি অর্ধেকে নেমে আসতে পারে।
কৃষক খবির উদ্দিন জানান, নানা দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে রবিশস্য আবাদ করা হয়। ইতিমধ্যে উৎপাদিত কিছু শাক-সবজি বাজারে বিক্রিও করা হয়েছে। বাম্পার ফলন অনুযায়ী বাজার দাম যেটাই হোক না কেন, তবুও লাভবান হওয়া সম্ভব।
গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, জেলার ৭টি উপজেলায় মোট ৮ হাজার হেক্টর জমিতে শাক-সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর অর্জিত হয়েছে। এসব কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়াসহ তাদের লাভবান করতে মাঠপর্যায়ে সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে।