হতদরিদ্রের ত্রাণের টাকা ইউপি চেয়ারম্যানের পকেটে!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউনুচ ভূট্টো

রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইউনুচ ভূট্টো

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের রামুতে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) দেয়া এক হাজার দরিদ্র জনসাধারণের ত্রাণের প্রায় ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত মো. ইউনুচ ভূট্টো রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতির দায়িত্বে আছেন।

ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশে ত্রাণের টাকা থেকে মাথাপিছু এক হাজার টাকা করে নেন তার সাঙ্গপাঙ্গরা। বিষয়টি নিয়ে পুরো ইউনিয়নজুড়ে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। ত্রাণের টাকা লুটের এ ঘটনায় সরকারের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে জানান সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা।

জানা গেছে, গত ২৩ নভেম্বর বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) ত্রাণ সহায়তার ৩য় দফায় ইউনিয়নের এক হাজার পরিবারকে ৪ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়। এ টাকা বিতরণে পরিষদের মেম্বারদের সাথে সমন্বয় করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। উল্টো মেম্বারদের গুরুত্ব না দিয়ে চেয়ারম্যান নিজের খেয়াল খুশি মতো উপকারভোগীদের তালিকা তৈরি করে নিজেই বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেন।

উপকারভোগীদের কেউ কেউ ৪ হাজার টাকার মধ্যে ১ হাজার টাকা করে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন নিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। তারা হলেন-দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ফকিরামুরা এলাকার নজির আহমদের ছেলে শামসুল আলম, ৭ নং ওয়ার্ডের উজির আলী ছেলে ছৈয়দ করিম, ৫ নং ওয়ার্ডের আবদুস ছোবহানের ছেলে কলিম উল্লাহ, পানেরছড়া এলাকার জহুরা খাতুন, নুরুচ্ছাফা, আমান উল্লাহ, লেদু মিয়া ও জাহাঙ্গীর আলম, কাইম্যারঘোনা এলাকার দিলোয়ারা বেগম, ফাতেমা বেগম, ছায়েরা খাতুন, ৯ নং ওয়ার্ডের মোস্তাফিজের স্ত্রী রেজিয়া, কাইম্যার ঘোনা এলাকার আজিজুল হকের স্ত্রী আনোয়ারা, ৭ নং ওয়ার্ডের ফকিরামুরা এলাকার মৃত ইছহাকের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।

তারা জানান, তাদের মতো অসহায় মানুষ আর নেই। কিন্তু সাহায্যের নামে তাদের দেয়া অর্থ চেয়ারম্যান ইউনুচ ভুট্টো ও তার সহযোগীরা ছিনিয়ে নিয়েছে। সহায়তার নামে এমন লুটপাট তারা আর কখনো দেখেননি।

তারা আরো জানান, তাদের অধিকাংশ উপকারভোগীর কাছ থেকে টোকেন নেয়ার সময় চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা এক হাজার টাকা করে নিয়ে গেছে। আর যাদের টাকা ছিলো না, তাদের সোমবার পরিষদে টাকা দেয়ার পরে নিয়েছেন। পরিষদের ভিতরে টাকা দেয়া হলেও পরিষদের বাইরে চেয়ারম্যানের ঠিক করা লোকজন দাঁড়িয়ে ছিলো। তারাই চেয়ারম্যানের নির্দেশের কথা বলে এক হাজার টাকা করে নেয়। কেউ টাকা দিতে চাইলেও মারধর করা এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপকারভোগীরা।

ভুক্তভোগীরা আরো বলেন, পত্রিকায় নাম আসলে চেয়ারম্যান তাদের উপর মারধর ও হামলা চালাতে পারে। তাই তারা এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন।

জানা গেছে, রাতে টাকা বিতরণ শেষে ডব্লিউএফপি-ব্র্যাক এর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চলে যাওয়ার পর তাদের কাছ থেকে নেয়া টাকা পরিষদেই ভাগ-বাটোয়ারা করেন ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুচ ভুট্টো।

চেয়ারম্যানের সহযোগী হিসেবে কারা ছিলো জানতে চাইলে ভুক্তভোগীদের মুখে অনেকের নাম পাওয়া যায়।

আমান উল্লাহ সওদাগর, চেয়ারম্যানের শ্যালক নুরুল আজিম, চাচাতো ভাই মুন্না, খালাতো ভাই সুলতান, পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রে দায়িত্বরত জাহেদ, আবদুল করিম, ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হোছন আহমদ, ২ নং ওয়ার্ডের মাস্টার মনু, মাস্টার রহমত উল্লাহ, আহমদ উল্লাহ, আবু ছৈয়দ, ৩ নং ওয়ার্ডের ইব্রাহিম সওদাগর, পাসপোর্ট অফিসের দালাল হিসেবে পরিচিত আমান উল্লাহ। এছাড়া ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হোছন আহমদ ও ৬ নং ওয়ার্ডের চৌকিদার ছলিম চেয়ারম্যানের এসব অপকর্মে অন্যতম সহযোগী হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন বলেও জানান ভুক্তভোগীরা।

এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা সুপ্রিম কোর্টেরর আইনজীবী সাদ আল আলম চৌধুরী। এতে তিনি লিখেছেন ‘দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) সহায়তাধীন, উপজেলা প্রশাসন রামু ও জেলা প্রশাসন কক্সবাজার এর সার্বিক সহযোগিতায় ৮ নং দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের উপরকাভোগী পরিবারের মাঝে নগদ প্রতি ৪ হাজার টাকা করে দেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের ও পরিতাপের বিষয় ৪ হাজার টাকা নগদ সহায়তা পাওয়ার জন্য ১ হাজার টাকা করে ঘুষ দিতে হয়েছে। যা ইউনিয়নের লোক মুখে এখন বহুল আলোচিত। ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও তার দলবলের এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ ও অভিযোগের শেষ নেই। বর্তমান চেয়ারম্যান দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের জনগণের সম্পদ হরিলুট করে নিজের আখের গোছাতে ব্যস্ত।           

দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোজাহের আহমদ জানিয়েছেন, এসব ত্রাণ বরাদ্দে মেম্বারদের সম্পৃক্ত করা হয়নি। চেয়ারম্যান উল্টো মেম্বাদের বলেছেন, এসব বরাদ্দ সরকারি নয়, এনজিও’র দেয়া। তাই এসব ত্রাণ তিনি নিজের ইচ্ছে মতো বিতরণ করবেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) সহকারি প্রকল্প কর্মকর্তা সোহানুর রহমান আসিফ জানান, দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নে এক হাজার পরিবারকে ৪ হাজার টাকা করে গত সোমবার (২৩ নভেম্বর) বিতরণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান নিজেই তালিকা তৈরিসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। উপকারভোগীদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা করে নেয়ার বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে। প্রমাণ পেলে টাকা ফেরত দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, এখনো করোনার প্রভাব চলছে। এভাবে অনিয়ম হয়ে থাকলে ভবিষ্যতে এ ইউনিয়নে ডব্লিউএফপির ত্রাণ সহায়তা বন্ধ করে দেয়া হতে পারে।

রামু উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণয় চাকমা জানিয়েছেন, টাকা বিতরণের শুরুতে অনিয়মের কথা শুনেছি। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) কর্মকর্তারাও এ নিয়ে আমার কাছে এসেছিলো। তারা বলেছে, পরবর্তীতে তারা এটা বন্ধ করে দিয়েছে। ইউএনও আরো বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে। অনিয়মের প্রমাণ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে বক্তব্য নেওয়ার জন্য দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইউনুচ ভুট্টোর ফোনে শনিবার (২৮ নভেম্বর) রাত পৌনে ৯ টার দিকে একাধিকবার কল করা হয়। কিন্তু তিনি কল রিসিভ করেননি।

   

পটিয়ায় বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু, আহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পটিয়াতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছে আরও দুইজন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাটা নাকম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত তরুণের নাম তাফসির (১৮)। তবে আহত দুজনের নাম জানা যায়নি। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন পটিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামমুখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাফসির নামের এক তরুণকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকী দুজনের নাম জানা যায়নি। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। 

ওই অটোরিকশায় চালকসহ মোট ৪ ছিল। তবে দুর্ঘটনার সাথে সাথে চালক লাফ দিয়ে সরে পড়ে। তাই তিনি তেমন আঘাত পাইনি বলে যোগ করেন ওসি। 

;

মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশি আটক



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ-ইস্ট এশিয়া
মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ায় ৪৫ বাংলাদেশি আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ার পার্লিস প্রদেশের পেদাং বাসারে একটি নির্মাণাধীন ভবনের চত্বর থেকে ৪৫ জন বাংলাদেশিসহ ৪৯ জন বিদেশিকে আটক করা হয়েছে।

অবৈধ অবস্থানের অভিযোগে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ইমিগ্রেশন বিভাগের অভিযানে তাদের আটক করা হয়।

পার্লিস ইমিগ্রেশনের পরিচালক খায়রুল আমিন তালিব বলেন, আটককৃতরা মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থান করছিলেন এবং তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।

আটককৃতদের মধ্যে ১ জন নারীসহ মোট ৪৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক। এ ছাড়াও ৩ জন ইন্দোনেশিয়া এবং ১ জন ভারতের নাগরিক রয়েছে। এদের বয়স ১৯ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে।

তালিব জানান, শহরের বুকিত চাবাং এলাকার সেকোলাহ সুকান নির্মাণাধীন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। আটককৃতদের অধিকতর তদন্তের জন্য কুয়ালা পার্লিস কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মোট ১০১ জন বিদেশিকে তল্লাশি করা হয় অভিযানের সময়। যার থেকে ৪৯ জনকে আটক করা হয়েছে।

ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৬(১)(সি), ধারা ১৫(১)(সি) এবং ধারা ৫৬(১)(ডি) এর অধীনে এই বিদেশিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত করা হবে বলে জানান তিনি।

;

নীলফামারীতে ২১ মামলার আসামি গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
নীলফামারীতে ২১ মামলার আসামি গ্রেফতার

নীলফামারীতে ২১ মামলার আসামি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর জলঢাকায় ফরিদুল (৪০) নামে এক চোরকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে খুটামারার টেংগনমারী বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি উপজেলার ছিটমহল বালাগ্রাম এলাকার ইউনূস আলীর ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত ফরিদুল দীর্ঘদিন ধরে মোটরসাইকেল, গরুসহ বিভিন্ন চুরি করে আসছিলেন। জেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় তার বিরুদ্ধে ২১টি চুরির মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জলঢাকা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

;

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন, শিশুদের সাথে মিশে যেতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নানাবিধ আয়োজন করতে হবে।

তিনি বলেন, শিশুর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও নৈতিক বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলা শিশুদের শরীর ও মনকে সুস্থ-সুন্দরভাবে গড়ে তোলে। শিশুদের মাঝে প্রতিযোগিতার মনোভাব এবং দায়িত্ববোধ সৃষ্টিতেও খেলাধুলা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

আগামীকাল ২০ এপ্রিল ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ উপলক্ষে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ আয়োজনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষ্যে আয়োজক, অংশগ্রহণকারী, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।”

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট বাংলাদেশে ক্ষুদে ফুটবলার তৈরির পাশাপাশি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আমি আশা করি, এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জাতির পিতা এবং বঙ্গমাতার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবে এবং তাঁদের জীবনাদর্শ অনুসরণ করে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে।’

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণ-বঞ্চনামুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন পূরণে দেশের তরুণ প্রজন্ম কার্যকর অবদান রাখবে- এ প্রত্যাশা করি। আমি এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্ষুদে খেলোয়াড়দের উত্তরোত্তর সাফল্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

রাষ্ট্রপতি ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

;