কাওসারের উদ্যোগে প্রতি বছর রোপণ হচ্ছে এক লাখ গাছের চারা



আব্দুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
গাছের চারা তুলে দিচ্ছেন কাওসার আলম সোহেল। ছবি: বার্তা২৪.কম

গাছের চারা তুলে দিচ্ছেন কাওসার আলম সোহেল। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কাওসার আলম সোহেল। তার স্বপ্ন বিস্তৃত সবুজ বাংলা গড়ার। এজন্য প্রতিবছর দেশজুড়ে রোপণ করে চলেছেন এক লাখ গাছের চারা। পাশাপাশি মাদক, বাল্যবিবাহ ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সচেতনতার বার্তা নিয়ে বাংলার পথে প্রান্তরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এই তরুণ। সামাজিক অবক্ষয় রোধে তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে অভিরাম ছুটে চলা তার।

জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের টিফিনের টাকায় পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘের ব্যানারে ২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর এক লাখ গাছের চারা রোপণ করছেন কাওসার আলম। কাওসার ওই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। করোনাকালের মধ্যেই এ বছরের ৭ জুলাই থেকে শুরু হয় তার বৃক্ষরোপণ অভিযান। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের ৫৫টি জেলায় বিনামূল্যে ৯০ হাজার ৩০০টি গাছের চারা শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়েছেন তিনি। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় রাস্তাঘাট, খেলার মাঠ, এমনকি বাড়ি বাড়ি গিয়েও শিক্ষার্থীদের গাছ দিচ্ছেন কাওসার। অল্প কিছু দিনের মধ্যে ৬৪ জেলা ঘুরে সংখ্যাটা এক লাখ হলেই থামবে তার এবারের যাত্রা।

জানা যায়, কাওসার জেলার দাউদকান্দি উপজেলার পশ্চিম নোয়াদ্দা গ্রামের মো.গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। তার বাবা আগে সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন।

কাওসার আলম জানান, ২০১৭ সাল থেকে সংগঠনের ব্যানারে প্রতিবছর দেশের বিভিন্ন শিাপ্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে এক লাখ গাছের চারা বিতরণ করে আসছেন তিনি। মূলত শিক্ষার্থীদের হাতেই চারাগুলো তুলে দেওয়া হয়। চারা হাতে নিয়ে তাদের ইভটিজিং, মাদক, আর ধর্ষণের বিরুদ্ধে শপথ করানো হয়। একইসঙ্গে মাদক, বাল্য বিবাহ ও ধর্ষণকে প্রতীকী লাল কার্ড দেখিয়ে রুখে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া বৃক্ষরোপণ আর দেশপ্রেমের মতো ইতিবাচক বিষয়গুলোকে সবুজ কার্ড দেখিয়ে স্বাগত জানান তারা।

লালল-সবুজের যাত্রা নিয়ে কাওসার আলম বলেন, স্কুল জীবন থেকেই স্বপ্ন দেখতাম মানুষের জন্য কিছু করার। বাবার চাকরির সুবাদে সেনা কল্যাণ সংস্থা থেকে শিাবৃত্তি পেতাম আমি এবং ছোট বোন ফারজানা আক্তার। অনেক বছর সেই টাকা তোলা হয়নি। জমানো টাকা তোলার পর মনের সুপ্ত ইচ্ছেটা জেগে উঠল। তখন চিন্তা করলাম শিক্ষার্থীদের নিয়ে সচেতনতামূলক একটি সংগঠন দাঁড় করানোর। এরপর ছোট বোন ফারজানাকে জানালে সেও সহযোগিতার হাত বাড়ায়। কখন সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করার মাধ্যমেই যাত্রা শুরু হয় লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘের। সেই ২০১১ সালে নিজ গ্রাম থেকেই স্বপ্নযাত্রা শুরু। এরপর একে একে থানা, জেলা পেরিয়ে এখন দেশজুড়ে লাল সবুজের স্বপ্নের চাষ হয় প্রতিনিয়ত।

গাছের চারা হাতে মাদক, বাল্যবিবাহ ও ধর্ষণ লাল কার্ড দেখাচ্ছেন কাওসার আলম সোহেলসহ শিক্ষার্থীরা।

কাওসার আলম বলেন, আমি বাবার কাছ থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ানো আর সমাজের জন্য কিছু করার অনুপ্রেরণা পেয়েছি। সেই থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে তিল তিল করে জমানো টাকা দিয়েই পরিচালিত হচ্ছে তাদের সংগঠনের কার্যক্রম। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জেলায় লাল-সবুজ উন্নয়ন সংঘের কমিটি হয়েছে। সারাদেশে এই সংঘের সদস্যসংখ্যা এখন প্রায় তিন হাজার। যাদের সবাই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া। এই শিক্ষার্থীরা প্রতি মাসে টিফিনের টাকা থেকে বাঁচিয়ে ১০ টাকা করে সংঘের তহবিলে জমা দেন। সেই টাকায় বৃক্ষরোপণের পাশাপাশি স্কুল-কলেজে চলে শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে বাল্যবিবাহ, মাদক ও দুর্নীতিবিরোধী প্রচারণা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিবছরই নানা কর্মসূচি হাতে নিচ্ছেন কাওসার। ২০১২ সাল থেকে যুক্ত হয় সবুজ দেশ গড়ার প্রত্যয়ে লাল সবুজের প্রচেষ্টা, সবুজ করবো দেশটা শ্লোগানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। প্রথমত স্কুল, কলেজে গাছের চারা রোপণ করতেন তারা। এখন চারা তুলে দেন শিক্ষার্থীদের হাতে। শিক্ষার্থীরা সেই চারা হাতে নিয়ে মাদক ও ধর্ষণমুক্ত বাংলা গড়ার শপথ নেন। ২০১৩ সাল থেকে সংগঠনের মাধ্যমে মাদক, বাল্যবিবাহ ও ধর্ষণবিরোধী সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দিতে কাজ শুরু করেন কাওসার। চলতি বছর দেশে করোনার প্রকোপ শুরু হলে দেশব্যাপী মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ত্রাণ বিতরণ এবং মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ সচেতনতার র্বাতা ছড়ান তারা। তারা গত তিন বছরে তিন লাখ গাছের চারা দেন শিক্ষার্থীদের ।

কাওসার আলম বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্যই হলো ভালো মানুষ গড়ে তোলা। আমরা প্রতিজন সদস্য যদি অন্তত ৫ জন করে মানুষকে মাদক ও বাল্যবিবাহ থেকে দূরে রাখতে পারি, তাহলে বছরে ১৫ হাজার মানুষকে ভালো রাখতে পারবো। আর তারা নিজকে পরিবর্তন করে অন্যকে ভালো রাখবে। এভাবেই সত্যিকারের সেনার বাংলা গড়ে ওঠবে। এর মাধ্যমে আমাদের চেষ্টাও সার্থক হবে।

   

নীলফামারীতে সার্কাসে রাত হলেই শুরু হয় অশ্লীলতা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা টটুয়ার ডাঙ্গায় সার্কাস ও যাদু প্রদর্শনীর নামে চলছে অশ্লীল নৃত্য। খোলামেলা পোশাকে এসব নাচ গানের আসরে পঙ্গপালের মতো হুমড়ি খেয়ে পড়ছে উঠতি বয়সের তরুণ ও যুবকরা। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাসনকে জানালেও নেয়নি কোন ব্যবস্থা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১০ টায় দি রওশন গ্রেট সার্কাসে গিয়ে দেখা যায়, সার্কাসের প্যান্ডেলের ভিতরে মেয়েদের দিয়ে খোলামেলা আপত্তিকর নাচগান প্রদর্শন করা হচ্ছে। এসব নাচগানের বেশির ভাগ দর্শক হচ্ছে উঠতি বয়সের তরুণ ও যুবকরা। বিকাল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সার্কাসের শো পরিচালনা করার থাকলেও রাত ১২ টা পর্যন্ত চলে এসব অশ্লীল নৃত্য। এতে করে রাত যতই বাড়তে থাকে সার্কাসে শুরু হতে থাকে অশ্লিল নৃত্য ।এসময় কাউকে মোবাইলে ভিডিও না করার জন্য বারবার হুশিয়ারি দেওয়া হয়।

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ভবদেশ রায় বলেন, এখানে সার্কাস চলছে ভালো কথা। আমাদের বাড়ির লোকজন আসবে দেখবে কিন্তু রাত হলে অশ্লীলতা বাড়ে এলাকার সব ছেলে পড়ালেখা বাদ দিয়ে এখানে চলে আসে। যুবসমাজ এভাবে নষ্টের দিকে যাচ্ছে।

বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বজলার রহমান বলেন, আমি দেশের বাইরে ছিলাম। এসে শুনি সার্কাসের কথা,সেখানে অশ্লীল কিছু হলে আমি প্রশাসনকে অবগত করব।

এবিষয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোসের মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

;

ময়মনসিংহে তিন দিনে ৪ জনের মৃত্যু, ধারণা হিটস্ট্রোক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহে চার উপজেলায় তিন দিনে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে নিহত চার জনই হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

গত রবিবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত জেলার গফরগাঁও, ভালুকা, ঈশ্বরগঞ্জ ও ফুলপুর উপজেলায় চার জনের মৃত্যু হয়।

গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স ও নিহতের পরিবার সুত্র জানায়, গত রবিবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর উপজেলার লংগাইর ইউনিয়নের বাঘবের গ্রামের আফাজ উদ্দিন ঢালীর ছেলে ফজলুল হক ঢালী (৫৬) বাজার করে বাড়িতে ফিরে টয়লেটে যান। টয়লেট থেকে ফিরতে দেরি হওয়ায় তার মা টয়লেটের টয়লেটের দরজা খুলে দেখেন ফজলুল হক সেখানে উপুর হয়ে পড়ে আছেন। পরে তার মায়ের ডাক-চিৎকারে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গফরগাঁও পরিবার পরিকল্পনা ও উপজেলা স্বাস্থ কর্মকর্তা দেবাশীষ রাজবংশী বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ফজলুল হক ঢালির মৃত্যু হয়েছে। যে কারণে মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। তবে, অতিরিক্ত গরমে এমনটা হতে পারে বলেও ধারণা করেন তিনি।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকাল পৌনে ৫ টার দিকে জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের সুটিয়া বাজারের রমজান খলিফা (৫৫) নিজের দোকানে বসে কাজ করছিলেন। হঠাৎ তিনি শরীর খারাপ লাগছে বলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় টের পেয়ে মাথায় পানি দিতে শুরু করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান বলেন, হঠাৎ করেই রমজান অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তবে, হাসপাতালে নেয়া হয়নি বা পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে হিটস্ট্রোকে মারা গেছেন। তিনি একই ইউনিয়নের পাইস্কা গ্রামের বাসিন্দা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে জেলার ফুলপুর উপজেলায় কয়রা ইউনিয়নের ইমাতপুর গ্রামে শিল-পাটা কাটার কাজ করছিলেন রমজান আলী। হঠাৎ সেখানে অসুস্থ হয়ে ঘটনাস্থলেই রমজান আলী মারা যান।

নিহত রমজান আলী রমজান আলী তারাকান্দা উপজেলার ৩ নম্বর কাকনী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়াডের বগীরপাড়া গ্রামের মৃত শুকুর মাহমুদের ছেলে।

তারাকান্দা বগীপাড়া এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মো. তরিকুর রহমান খন্দকার রাশেদ বলেন, রমজান আলী গ্রামে গ্রামে ঘুরে মশলা ভাটার শিলপাটা কাটায় হস্থশিল্পী শ্রমিকের কাজ করত। প্রতিদিনের মত আজ সকালে সে বাড়ি থেকে কাজে বের হয়ে পাশ্ববর্তী ফুলপুর উপজেলার ইমাতপুরে যায়। সেখানে কাজ করা অবস্থায় দুপুরে প্রচন্ড গরমে সে স্ট্রোক করে মারা যায়।

উপজেলা স্বাস্থ‍্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হুমায়ন কবীর বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই রমজান আলীর মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। ধারনা করা যায় অতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোকে বা অন্য কোন কারণে তাঁর মৃত্যু হতে পারে।

একই দিন সকালে জেলার ভালুকা উপজেলায় কামরুল ইসলাম (৩০) নামে এক গার্মেন্টস কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত কামরুল ইসলাম জেলার গৌরীপুর উপজেলার রায় শিমুল গ্রামের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ'র ছেলে। সে ভালুকার মাস্টার বাড়ি এলাকার পুর্বাশা নিট কম্পোজিট লিমিটেডে চাকরী করতেন।

ভালুকা শিল্প পুলিশের এএসআই মোহাম্মদ মানিকুজ্জামান বলেন, নিহত কামরুল ইসলাম ভালুকায় বসবাস করে পুর্বাশা নিট কম্পোজিট লিমিটেডে চাকরী করতেন। ঘটনার দিন সকালে কামরুল অসুস্থ অবস্থায় তার ভাইকে নিয়ে গার্মেন্টস যান। গার্মেন্টসে গিয়ে কর্তব্যরত নার্সকে অসুস্থতার কথা বলে ছুটি নিয়ে চলে আসেন। সেখান থেকে কামরুল ইসলাম প্রথমে চুরখাই কমিনিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দ্রুত তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কামরুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

এএসআই মোহাম্মদ মানিকুজ্জামান বলেন, কামরুল আগে থেকেই হার্টের রোগী ছিলেন। সকালে মুলত তার ভাইকে নিয়ে ছুটি নিতে গার্মেন্টসে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে চিকিৎসা নিতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।

;

উপজেলা নির্বাচন: লোহাগড়ায় ১৩ জনের মনোনয়ন বৈধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জনসহ ১৩ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

এদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস- চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৫ জন, ভাইস- চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে ২ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা হয়েছে।

দ্বিতীয় ধাপে ১৬১ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ২১ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই হয় ২৩ এপ্রিল এবং প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২ মে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ৩০ এপ্রিল এবং ভোট গ্রহণ ২১মে।

চেয়ারম্যান পদে ৭জনের মধ্যে ৬ জনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। তারা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ৪ নং নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এ.কে. এম ফয়জুল হক রোম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ৬ নং জয়পুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম শরিফুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মুন্সী নজরুল ইসলাম (সাবেক নিবন্ধক- আই.জি.আর), উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য শেখ সাজ্জাদ হোসেন মুন্না এবং বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নড়াইল শাখার সভাপতি মো: তারিকুল ইসলাম উজ্জ্বল। চেয়ারম্যান পদে ৭ জনের মধ্যে একমাত্র আওয়ামী লীগ নেতা মো: আইয়ুব হোসেনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

অপরদিকে ভাইস-চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে মনোনয়ন বৈধ হয়েছেন ৩ জনের মধ্যে ২ জন। তারা হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, জেলা আওয়ামী মহিলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন ইতি এবং মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী মিসেস কনিকা ওছিউর।

ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে একমাত্র প্রার্থী পৌর মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী মোছা: কাকলি বেগমের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২১০৭৬৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১০৫৭৮৫ জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা ১০৪৯৮৩ জন। এই উপজেলা ১২ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত।

;

ময়মনসিংহে ট্রেনের ধাক্কায় রিকশার দুই যাত্রী নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহে রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় রিকশার দুই যাত্রী মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও এক শিশু। নিহতরা হলেন ময়মনসিংহ সদর উপজেলার উজান বাড়েরা গ্রামের আব্দুর রহমান (৬২) তার ভাতিজি শেফালী আক্তার (৪৫)।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর বিদ্যাময়ী রেলক্রসিং এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার নাজমুল হক খান এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুর গামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার পথে বিদ্যাময়ী রেলক্রসিং রেললাইনে উঠে পড়া রিকশাটিকে ট্রেন ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই যাত্রী মারা যায়। এই ঘটনায় আহত হয় এক শিশু।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক এসআই দীপক পাল জানান, ঘটনাস্থলে দুই জন মারা গেছেন। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে হয়েছে এবং ঢাকা ময়মনসিংহ লাইনে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।

;