কক্সবাজারকে ভিক্ষুকমুক্তকরণ কর্মসূচি শুরু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ভিক্ষুকমুক্তকরণ কর্মসূচি শুরু। ছবি: বার্তা২৪.কম

ভিক্ষুকমুক্তকরণ কর্মসূচি শুরু। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ও ইসলামাবাদের ৩৪ জন ভিক্ষুককে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে জীবিকার্জনের উপকরণ বিতরণের মাধ্যমে কক্সবাজারকে ভিক্ষুকমুক্তকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর উপহারস্বরূপ জীবিকার্জনের উপকরণ পেয়েছে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও খেটে খাওয়া অসহায় মানুষেরা।

সোমবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসন পরিচালিত অরুণোদয় স্কুলের মাঠে তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মনির্ভরশীল হওয়ার উপকরণ বিতরণ করা হয়।

উপকরণসমূহের মধ্যে রয়েছে- রিকশা, ছাগল, হাঁসমুরগি, সেলাইমেশিন ইত্যাদি। দেয়া হয়েছে হাঁস-মুরগি পালনের ঘর, ২ মাসের খাবার ও প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র।

তার আগে কক্সবাজার সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশকে ভিক্ষুকমুক্তকরণের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। সেই আলোকে পুরো জেলায় ভিক্ষুক শনাক্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে কক্সবাজার সদর উপজেলার ২টি ইউনিয়ন ঝিলংজা ও ইসলামাবাদকে বেছে নেওয়া হয়েছে।

উপহার বিতরণ করছেন জেলা প্রশাসক। ছবি: বার্তা২৪.কম

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টাকে অগ্রবর্তী করতে জেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতন দিয়ে দিয়েছেন। এখানে জমা হওয়া ৪৮ লাখ টাকার সাথে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া অনুদান ৫০ লাখ টাকা যুক্ত করে ৯৮ লাখ টাকা হয়। এ ফান্ড থেকেই প্রথম যাত্রায় ৩৪ জনের পেছনে খরচ হচ্ছে প্রায় ৯ লাখ টাকা। ধীরে ধীরে পুরো জেলায় এ কার্যক্রম ছড়ানো হবে। সদরের পরে কুতুবদিয়া, মহেশখালী, উখিয়া-টেকনাফে শুরু করবো এ যাত্রা।

তিনি বলেন, জেলায় এক হাজার ৫০১ জনকে ভিক্ষুক হিসেবে সনাক্ত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সবাইকে আত্মকর্মসংস্থানমূলক কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে।

ডিসি বলেন, যাদের পুনর্বাসন করা হচ্ছে তাদের তদারকি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী দু'বছর পর্যন্ত তাদের পেছনে সময় দিয়ে আর যেন ভিক্ষায় না ফেরে তা নিশ্চিত করা হবে। এভাবে কক্সবাজারকে ভিক্ষুক মুক্ত ঘোষণা করা যায়। পর্যটনের স্বার্থে এটি অতীব জরুরি। এ উদ্যোগে প্রশাসনের পাশাপাশি বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসতে অনুরোধ জানান তিনি।

বিতরণ করা হয়েছে হাঁস-মুরগি পালনের ঘর। ছবি: বার্তা২৪.কম

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার সুইটির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল।

স্বনির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে অনুষ্ঠানে কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হামিদা তাহের, জেলা জাসদের সভাপতি নইমুল হক চৌধুরী টুটুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির আলম চৌধুরী, সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম।

স্বাগত বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার সুইটি বলেন, যে রিকশার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছে তাকে রিকশা আর হাঁসমুরগি পালনে ইচ্ছুকদের হাঁস-মুরগি দেয়া হয়েছে। সবার চাহিদা অনুযায়ী তালিকা করা হয়েছে। সদরের কোথাও যেন ভিক্ষুক না থাকে সেভাবে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

উপহার দেয়া হয়েছে রিকশাও। ছবি: বার্তা২৪.কম

যাদেরকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রিকশা, অটোরিকশা প্রদান করা হবে তাদেরকে ফ্রি লাইসেন্স দেয়া হবে বলে অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান।

অনুষ্ঠানে ঝিলংজা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর ছিদ্দিক, চৌফলদন্ডী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াজ করিম বাবুল, পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক আহমদ ও উপকারভোগীসহ তাদের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

   

কক্সবাজারের ইনানীতে পর্যটক ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার 
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী সৈকতে একজন পর্যটক তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত মোহাম্মদ নিজামকে (৪৪) গ্রেফতার করেছে।

ভুক্তভোগী তরুণী ঢাকা কাফরুলের ইব্রাহিমপুর এলাকার বাসিন্দা। আর অভিযুক্ত নিজাম নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ কদমতলীর শামসুল হকের ছেলে। এর আগে গত ১৫ এপ্রিল আরেক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে ওই তরুণী ঢাকা থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে যান।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বলেন, ‘অভিযুক্ত নিজামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী তরুণীকে বুধবার বিকালে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। সন্ধ্যায় তিনি ঢাকার পথে রওয়ানা দিয়েছেন। এ ঘটনায় বুধবার উখিয়া থানায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী মো. নাজিমকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে।’

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এক বান্ধবীকে নিয়ে মামলার বাদী গত ১৫ এপ্রিল ঢাকা থেকে কক্সবাজার যান। উঠেন উখিয়ার ইনানী সৈকতের লা বেলা রিসোর্টের ‘রোজ’ কটেজের নিচ তলার ৪০২ নম্বর কক্ষে। তাদের সঙ্গে আসেন এক মাস আগে পরিচিত ব্যক্তি মোহাম্মদ নিজাম। তিনি উঠেন পাশের ৪০১ নম্বর কক্ষে। নিজাম মামলার বাদীর সঙ্গে আসা বান্ধবীর পূর্ব পরিচিতি ছিলেন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বান্ধবী সৈকত ঘুরতে যান। মাথা ব্যথা জনিত কারণে বাদী ৪০২ নম্বর কক্ষে অবস্থান করছিলেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নিজাম ওই কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে তাকে ধর্ষণ করে। তার আত্মচিৎকারে হোটেলের লোকজন এগিয়ে গেলে নিজাম পালিয়ে যান। পরে জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে উখিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাদীকে উদ্ধার করেন। পুরে পুলিশ ইনানী এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নাজিমকে গ্রেফতার করে।

লা বেলা রিসোর্টের ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘১৫ এপ্রিল দুপুরে রিসোর্টে এসে মো. নিজাম দুইটি এসি রুম ভাড়া নেন। ৪০২ নম্বর কক্ষে উঠেন ২ নারী। নিজাম উঠেন পাশের ৪০১ কক্ষে। নিজাম এ সময় দুই তরুণীকে চাচাতো বোন পরিচয় দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগে রিসোর্ট কক্ষে তরুণীকে ধর্ষণের বিষয়টি তাদের কেউ জানায়নি।’

;

গুলিবিদ্ধ ইউপি সদস্যকে মামলায় পলাতক দেখায় বিজিবি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতীয় সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে ফিরে আসার সময় লালমনিরহাটের সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম নান্নুকে (৪৮) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলেও মামলায় তাকে পলাতক দেখিয়েছে বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের লোহাকুচি ক্যাম্পের হাবিলদার মাসুদুল হক বাদি হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ৯/১০ জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় গুলিবিদ্ধ সাইফুল ইসলাম নান্নুকে ১৩ নম্বর আসামি করা হলেও তাকে পলাতক এবং ৩জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে গুলিবিদ্ধ ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম নান্নুকে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন বডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি) লোহাকুচি ক্যাম্পের সদস্যরা।

আহত সাইফুল ইসলাম নান্নু আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের তালুক দুলালী গ্রামের মৃত গনি মিয়ার ছেলে। তিনি ভেলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য।

সীমান্তবাসী জানান, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সহায়তায় ভারতীয় গরু পাচার করতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তালুক দুলালী বড় মালদি সীমান্তে ৯২১ নং পিলার এলাকায়  কাটাতারের বেড়ার পাশে নিজের পরিচালিত চর্কা বসাতে যান গরু ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম নান্নুসহ কয়েকজন রাখাল। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী(বিএসএফ) তাদের লক্ষ করে রাবার বুলেট ছুড়লে সাইফুল ইসলাম নান্নু গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যান। বাকীরা পালিয়ে এসে স্থানীয় লোহাকুচি বিজিবি ক্যাম্পের টহল দলকে খবর দিলে তারা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে নিলে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

এ সময় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে ফেরার দায়ে ৩জনকে আটক করে বিজিবি। এ ঘটনায় বুধবার আদিতমারী থানায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে ফেরার দায়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৯/১০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে লোহাকুচি বিওপি ক্যাম্পের হাবিলদার মাসুদুল হক। তবে এ মামলায় গুলিবিদ্ধ সাইফুল ইসলাম নান্নুকে ১৩ নম্বর আসামি করা হলেও তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি। একই সাথে ঘটনার বর্ণনায় গুলিবিদ্ধ কিংবা কাউকে আহত দেখানো হয়নি।

মামলায় বিজিবি'র হাবিলদার মাসুদুল হক দাবি করেন, আসামিরা ৯২১ নং পিলার এলাকায় ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে ফেরার সময় বিজিবি ৩জনকে আটক করে। আটককৃতরা পলাতকদের বিষয়ে তথ্য প্রদান করেন। তবে গুলির কোন ঘটনা বা গুলিবিদ্ধ ইউপি সদস্যকে কঠোর নিরাপত্তায় হাসপাতালে নিলেও তাকে পলাতক দেখানো হয়েছে মামলার বর্ণনায়।

এ মামলায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার তালুক দুলালী গ্রামের মৃত গফুরের ছেলে বেলাল হোসেন (৩০), একই গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে এমদাদুল হক (৩৫) ও ফলিমারী গ্রামের কান্তিশ্বর বর্মনের ছেলে প্রদিপ কুমার (২৪)।

পলাতকরা হলেন- তালুক দুলালী গ্রামের এমদাদুল হক (৩৫), সাদ্দাম হোসেন (২৮), এমতা (২৭), সৈয়দ আলী (৩৫), সৈকত আলী (২৫), হাশেম আলী (৩০), জাহিদুল ইসলাম (৩৫), জামাল (৩০), আলামিন মিয়া (২৭) ও সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল  ইসলাম নান্নু। 

মঙ্গলবার রাতে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডা. বিক্রম চন্দ্র বার্তা ২৪ কমকে বলেন, আহত সাইফুল ইসলাম নান্নুকে পিঠের নিচে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিয়ে আসে বিজিবি। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বার্তা ২৪ কমকে বলেন, বিজিবি অবৈধ অনুপ্রবেশের অপরাধে আটককৃত ৩ জনসহ ১৩ জনের নাম এবং অজ্ঞাত আরও ৯/১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ে করেছে। আটক ৩জনকে গ্রেফতার দোখানো হয়েছে। গুলির বিষয়ে এজারে কিছু উল্লেখ নেই। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোফাজ্জল হোসেন বার্তা ২৪ কমকে বলেন, সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ৩ জনকে আটক করে ১৩জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দেয়া হয়েছে। তবে গুলিবিদ্ধ সাইফুলকে চিকিৎসার জন্য রংপুরে রেফার করায় তাকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। মামলায় তাকেও আসামি করা হয়েছে। সুস্থ্য হয়ে ফিরলে পুলিশ ব্যবস্থা নিবে।

;

বরিশালে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease
বরিশাল-পটুয়াখালি মহাসড়কের বাকেরগঞ্জের রুহিতারপার নামক স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাককে পেছন থেকে চলন্ত মোটরসাইকেল ধাক্কা দিলে দুজন নিহত হন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ৯ টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
 
দুর্ঘটনার পর মুমূর্ষু অবস্থায় দুই জনকে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
 
নিহতরা হলেন- বরিশাল সদর উপজেলার আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীনের পুত্র মনিরুজ্জামান কোম্পানি লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মনিরুজ্জামান (৬২) এবং অপরজন হলেন বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়নের মৃত মজনু বাড়ি সিকদারের পুত্র ও আহসান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকার বদরুল আহসান সিকদার (৬০)। পেশায় দুজনই ঠিকাদার।
 
বরিশাল বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আফজাল হোসেন জানান, একটি দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে পটুয়াখালী থেকে বরিশালের উদ্দেশ্য ছেড়ে আসা মোটরসাইকেল রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনের অংশে ঢুকে যায় মোটরসাইকেলে আরোহী দুই জন গুরুতর আঘাত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস তাদেরকে উদ্ধার করে  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় সেখানের কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে মৃত্যু বলে ঘোষণা করেন।
 
 
 
;

কিল-ঘুষিতে প্রাণ গেল স্কুল শিক্ষার্থীর



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে খেলার সাথীর কিল-ঘুষিতে মোফাজ্জল হোসেন (১২) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।

বুধবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের বাঘবেড় গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত স্কুল শিক্ষার্থী ওই গ্রামের মৃত আলাল উদ্দিনের ছেলে।

জানা গেছে, মোফাজ্জল হোসেন স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। বুধবার  সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে একদল শিশু-কিশোরের সাথে খেলা করছিল মোফাজ্জল। এসময় তাদের মধ্যে চেয়ারে বসা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে  খেলার সাথী মোবারক হোসেন (১৪) ক্ষিপ্ত হয়ে মোফাজ্জলকে কিল-ঘুষি দিলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। পরে দ্রুত তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুমন চন্দ্র রায় বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।এর পাশাপাশি অভিযুক্ত মোবারককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

;