সিনহা হত্যা: ওসি প্রদীপসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে মামলার চার্জশিট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে জমা দিয়েছে র‌্যাব।

রোববার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে ওসি প্রদীপসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন র‍্যাব-১৫-এর কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. খায়রুল আলম। চার মাসের বেশি সময় ধরে মামলাটি আলোচিত।

র‌্যাবের এক কর্মকর্তা জানান, চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, সিনহা হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত। সাবেক টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে এসআই লিয়াকত। ঘটনার নেপথ্যে ছিল ইয়াবা।

অন্যদিকে নিহত সিনহার সহকর্মী শিপ্রা দেবনাথ ও সাহেদুল ইসলাম সিফাতের বিরুদ্ধে দায়ের করা তিন মামলায় র‌্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করেছেন গত বৃহস্পতিবার। এতে এ দুইজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের দায়মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

র‌্যাব জানায়, হত্যার ঘটনা তদন্ত নেমে র‌্যাব এখন পর্যন্ত ১৫ জনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে। যার মধ্যে ১৪ জন র‌্যাবের হাতে গ্রেফতারের পর বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।

তারা হলো- বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, দেহরক্ষী রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এপিবিএনের এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজীব, মো. আবদুল্লাহ, পুলিশের মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নিজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।

গত ৩ জুলাই ‘জাস্ট গো’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ট্রাভেল শো ডকুমেন্টারির শুটিংয়ের জন্য তিনজন সহযোগীসহ কক্সবাজারের নীলিমা রিসোর্টে ওঠেন মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ। এই খবর পৌঁছায় টেকনাফের তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমারের কাছে।

তখন থেকেই ওসি প্রদীপ অধীনস্থ পুলিশ সদস্যদের বলেন, ‘ভিডিও পার্টিকে এখান থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে, যেকোনো মূল্যে।’ এরপর থেকেই সিনহাকে নজরদারিতে রাখেন পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত।

৩১ জুলাই সকালে একটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ‘বৃক্ষরোপণ’ অনুষ্ঠান শেষে ওসি প্রদীপকে জানানো হয়, মেজর সিনহা রাশেদ প্রাইভেটকার নিয়ে টেকনাফের শামলাপুর পাহাড়ে গেছেন। এ সময় সোর্সের মাধ্যমে বাহারছড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী সিনহার প্রতি নজর রাখতে থাকেন।

ওইদিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফ থেকে কক্সবাজারের দিকে আসার পথে বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে তল্লাশির নামে গাড়ি থেকে নামিয়ে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনাটি দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

এ ঘটনায় ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটির শুনানিতে সন্তুষ্ট হয়ে তা ‘ট্রিট ফর এফআইআর’ হিসেবে আমলে নিতে টেকনাফ থানাকে আদেশ দেন আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ। আদালতের নির্দেশে টেকনাফ থানায় মামলাটি রুজু হয়। দণ্ডবিধি ৩০২, ২০১ ও ৩৪ জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। মামলা নম্বর সিআর: ৯৪/২০২০ইং/টেকনাফ।

মামলায় প্রধান আসামি করা হয় বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে, যিনি সিনহাকে গুলি করেছিলেন। টেকনাফ থানার ওসি (বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাশকে করা হয়েছে ২ নম্বর আসামি।

এজাহারে বলা হয়েছে, গুলি করার আগে লিয়াকত তার সঙ্গে ফোনে পরামর্শ করেছিলেন। ওসির ‘প্ররোচণা ও নির্দেশনাতেই’ লিয়াকত ঠান্ডা মাথায় সিনহাকে গুলি করে হত্যা করেন। পরে প্রদীপ ঘটনাস্থলে গিয়ে সিনহার ‘মুখমণ্ডল ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পায়ের জুতা দিয়ে আঘাত করে’ বিকৃত করার চেষ্টা করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

মামলার তিন নম্বর আসামি করা হয়েছে টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিতকে, যিনি সিনহার মৃত্যুর পর মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা করেন। এরপর অভিযুক্ত সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তদন্তে নেমে র‌্যাব হত্যার ঘটনায় স্থানীয় তিনজন ছাড়াও এপিবিএন এবং প্রদীপের দেহরক্ষীসহ মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করে।

তদন্তের স্বার্থে টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলিসহ ১৬ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার, পরে ‘সাময়িক বরখাস্ত’ করা হয়।

এই ঘটনায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে ৩ আগস্ট চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন ও নিরাপত্তা বিভাগ। ৩ সেপ্টেম্বর ওসি প্রদীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত দল। গত ৭ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।

৮০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদনে ১২টি সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। ঘটনার ক্রম অনুযায়ী প্রতিবেদনে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। সুপারিশে বলা হয়েছে, ঘটনার ক্রাইম সিন সংরক্ষণে আরও সতর্ক হতে জেলা পুলিশকে নির্দেশনা দিতে হবে। আমেরিকান তদন্ত সংস্থা এফবিআই’র আদলে যৌথ তদন্ত দল গঠন করতে হবে। তবে, এ বিষয়ে কমিটির পুলিশ সদস্য নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এছাড়াও গুলিবর্ষণের ঘটনায় নির্বাহী তদন্তের সময় নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তাদের ভূমিকাও নজরদারির কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।

   

টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪টি জিআই পণ্যের সনদ বিতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ একটি অমিত সম্ভাবনাময় দেশ। ষড়ঋতুর এ দেশকে প্রকৃতি যেমন দু'হাত ভরে তাঁর বৈচিত্র্যময় সম্পদ ঢেলে দিয়েছে, তেমনি এদেশের মেহনতি মানুষ তাঁদের আপন শৈল্পিক কারুকার্যের মাধ্যমে অনন্যসাধারণ সামগ্রী প্রস্তুত করে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের সুনাম ও খ্যাতি বৃদ্ধি করেছে। মাটি, বায়ু, পানি, পরিবেশ, কারিগরদের দক্ষতা প্রভৃতি স্বতন্ত্র ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে ছোট এ ভূখণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব পণ্যকে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি এর গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মন্ত্রী রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির মাল্টিপারপাস হলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) আয়োজিত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়ি, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা ও নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা-সহ ১৪টি ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের নিবন্ধন সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ডিপিডিটি'র মহাপরিচালক মোঃ মুনিম হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফী বিনতে শামস ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা।

মন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারে জিআই পণ্যের প্রচার ও প্রসারে আমাদের এখনই কার্যকর উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিতে হবে। বিদেশের বাংলাদেশ মিশনসমূহ, দেশের সকল আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কেন্দ্রীয়ভাবে এসব পণ্য প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মেলায় জিআই পণ্যসমূহ প্রদর্শন করা যেতে পারে। তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ডিপিডিটি, বিসিক ও এসএমই ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এসব পণ্যের উন্নয়ন ও প্রসারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে।

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বাংলাদেশ এখন কোন খালি বাস্কেট নয়, এটি একটি পরিপূর্ণ ভরা বাস্কেট। আমাদের সম্পদের কোনো অভাব নেই, প্রয়োজন এর সদ্ব্যবহারের। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা, কারিগরি সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এসব সম্পদ ও পণ্যের প্রচার-প্রসার ঘটাতে হবে।

সিনিয়র শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে এমন ৫০০টি পণ্যের প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছি। একটু দেরিতে হলেও আমরা এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় আমরা ২০১৩ সালে 'ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন প্রণয়ন করি এবং পরবর্তীতে ২০১৫ সালে এ সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন করি। বিশেষ অতিথি বলেন, আমাদের জিআই পণ্যকে সুরক্ষা দিতে হবে এবং একইসঙ্গে এর পেটেন্ট দিতে হবে। জিআই পণ্যের প্রচার-প্রসারে বিভিন্ন উৎসব, পালাপার্বণ ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এসব পণ্যকে আমরা উপহার হিসেবে প্রদান করতে পারি। তাছাড়া এসব পণ্য সম্পর্কে টিভিসি, ডকুমেন্টারি তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবস্থা প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।

অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল শাড়িসহ বাংলাদেশের মোট ১৪টি ঐতিহ্যবাহী পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সনদ প্রদান করা হয়। সেগুলো হলো যথাক্রমে গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর, মুক্তাগাছার মণ্ডা, যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান এবং জামালপুরের নকশিকাঁথা। এ নিয়ে ডিপিডিটি কর্তৃক জিআই সনদপ্রাপ্ত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩১টিতে।

;

পার্বত্য এলাকায় কৃষকদের তিল চাষে আগ্রহী করতে সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

পার্বত্য এলাকায় কৃষকদের তিল চাষে আগ্রহী করতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটি'র দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বীর বাহাদুর উ শৈ সিং। কমিটির সদস্য পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, দীপংকর তালুকদার, শেখ আফিল উদ্দিন, মো. মঈন উদ্দিন এবং বেগম জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যাঁ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে তিন পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে একটি রিপোর্ট উপস্থাপন, তিন পার্বত্য জেলায় প্রাথমিক শিক্ষার সর্বশেষ অগ্রগতি ও তিন পার্বত্য জেলার পর্যটন শিল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে একটি রিপোর্ট উপস্থাপন এবং বিবিধ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

কমিটি তিন পার্বত্য জেলায় এনজিওগুলোর যে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করে, সেগুলোর উদ্দেশ্য ও বাজেট সংক্রান্ত তথ্য অবশ্যই জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদকে অবহিত করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। বৈঠকে পার্বত্য এলাকায় কৃষকদের তিল চাষে আগ্রহী করতে বিনামূল্যে তিলের বীজ সরবরাহের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে পার্বত্য অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানির সংকট নিরসনে বৃষ্টির পানি ধরে রেখে সারা বছর ব্যবহারের ব্যবস্থা করার একটি প্রকল্প প্রণয়নের জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব; বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানগণ; পার্বত্য চট্রগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য; চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান; প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;

দুই সেরা বলীই খেলছেন না জব্বারের বলীখেলায়



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
দুই সেরা বলীই খেলছেন না জব্বারের বলীখেলায়

দুই সেরা বলীই খেলছেন না জব্বারের বলীখেলায়

  • Font increase
  • Font Decrease

আবদুল জব্বারের বলীখেলা মানেই একটা সময় ছিল দিদার বলীর দাপট। বছরের পর বছর ধরে রামুর এই বলী এই ঐতিহাসিক বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। তবে তিনি এখন অতীতের পাতায়। এরপর থেকে তাঁর জায়গাটা নেন চকরিয়ার তরিকুল ইসলাম ওরফে জীবন বলী ও কুমিল্লার শাহজালাল বলী। টানা তিন বছর ধরে এই দুজন শিরোপা ভাগাভাগি করে আসছেন। কিন্তু এই দুই সেরা বলীই কিনা এবার খেলছেন না।

অথচ জীবন ও শাহজালাল-দুজনেই বলীখেলায় অংশ নিতে নিবন্ধনও করেছিলেন। শুরু থেকে ছিলেন লালদীঘি মাঠেও। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দুজনেই কিনা নাম প্রত্যাহার করে নিলেন।

কেন দুই বলীর এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে পাওয়া গেল ক্ষোভের গন্ধ।

জানতে চাইলে জীবন বলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি একটু অসুস্থ। ইনজুরড হওয়ায় আমার বদলে কুমিল্লার হোমনার বিখ্যাত বলী বাঘা শরীফের নাম প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু কমিটি সেটা মেনে নেয়নি। সেটি মানতে পারিনি। পরে ক্ষোভে নামই বাদ দেন।
শাহজালাল বলীও একই কারণে নাম প্রত্যাহার করেন।

পরে অবশ্য দুই বলী সরে যাওয়ায় সুযোগ পান বাঘা শরীফ। সুযোগ পেয়েও কাজে লাগান এই বলী। চ্যালেঞ্জ ও সেমিফাইনাল রাউন্ড জিতে ফাইনালে ওঠেন বাঘা শরীফ। আর এতে জীবন ও শাহাজালাল- দুই বলীর সমর্থনই যায় বাঘা শরীফের কোর্টে।

;

ফেনীতে তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর ফুলগাজীতে তিনতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে ১০ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত মিনহাজ মুন্সীরহাট ইউনিয়নের কমুয়া চৌধুরী বাড়ির আবদুল মতিন চৌধুরীর দ্বিতীয় ছেলে। সে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার মুন্সীরহাট এলাকার ভাই ভাই অটো রাইস মিল সংলগ্ন একটি ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মিনহাজের বাবা প্রবাসে থাকায় সে মায়ের সঙ্গে ওই এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। বুধবার বাসার ছাদের রেলিংয়ে উঠে পাশের আরেকটি ভবনের রেলিংয়ে পা দেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে অসতর্কতাবশত নিচে পড়ে যায়।

পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পথিমধ্যে চট্টগ্রাম সিটি গেইট এলাকায় পৌঁছালে তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিজুল হক মজুমদার টিপু বলেন, সকালে খেলতে গিয়ে মিনহাজ ছাদ থেকে পড়ে যায়। তার বাবা ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে দুবাই থেকে বাড়ি চলে এসেছেন। তিনি আসার পর উপজেলার পূর্ব দরবারপুরে পারিবারিক কবরস্থানে মিনহাজকে দাফন করা হয়।

ফুলগাজী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রামে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

;