বেনাপোল চেকপোস্ট শূন্য রেখায় ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বৈঠক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বৈঠক। ছবি: বার্তা২৪.কম

ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য বৈঠক। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে দুই দেশের কাস্টমস, বন্দর ও ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত বেনাপোল-পেট্রাপোল শূন্য রেখায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনায় দুই দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা বলেন, সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনা আর অবকাঠামোগত সমস্যার কারনে নানানভাবে এপথে বাণিজ্য ব্যহত হচ্ছে। দিন দিন আমদানি-রফতানির চাহিদা বাড়লেও এসব সমস্যার কারণে বাণিজ্য প্রসার হচ্ছে না। এতে ব্যবসায়ীরা যেমন লোকসানের কবলে পড়ছেন তেমনি সরকারও হারাচ্ছে রাজস্ব। আলোচনায় দুই দেশের কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তারা বাণিজ্য সহজীকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোকে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশের পক্ষে বেনাপোল কাস্টমস হাউজের ডেপুটি কমিশনার অনুপম চাকমা, ডেপুটি কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক আতিকুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক সঞ্জয় বাড়ৈ, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন, সহ-সভাপতি শিমুল হোসেন, কাস্টমস স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান ও ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সেক্রেটারী আজিম উদ্দীন গাজী প্রমুখ ।

ভারতের পক্ষে ছিলেন- পেট্রাপোল কাস্টমসের রফতানি বিভাগের পরিচালক রাজস্ব কর্মকর্তা মিস্টার মিশ্র, পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র, বঁনগা গুডস ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি অরুণ সাহা প্রমুখ।

জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের ব্যবসায়ীদের প্রথম থেকে বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি। দেশে স্থলপথে যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য হয় তার ৬০ শতাংশ হয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। প্রতিবছর এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি এবং রফতানি হয় প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার পণ্য। আমদানি পণ্য থেকে সরকারের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আসে। তবে সুষ্ঠভাবে বাণিজ্য পরিচালনা স্বার্থে বেনাপোল বন্দরে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো না থাকায় এপথে বাণিজ্যে আগ্রহ হারাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। পেট্রাপোল বন্দরেও রয়েছে নানান অভিযোগ। ফলে আমদানি কমে যাওয়ায় গত ৫ বছর ধরে এপথে লক্ষ্য মাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আসছেনা। এতে যেমন সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব তেমনি ব্যবসায়ীরাও নানান ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। গত তিন বছর আগে ভারত-বাংলাদেশ-নেপাল-ভুটান (বিবিআইএন) চার দেশের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি শেষে পরীক্ষামূলক একটি চালান এপথে আমদানি হলেও কেবল অবকাঠামোগত উন্নয়ন সমস্যার কারণে এপথে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু হচ্ছেনা।

চলতি অর্থ বছরে (২০২০-২১) বেনাপোল বন্দর থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ২৪৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। এ বছরের গত ৫ মাসে জুলায় থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মাত্র আদায় হয়েছে মাত্র ১ হাজার ৫০৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

এপথে ভারতীয় আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে- শিল্পকারখানার কাাঁচামাল, তৈরি পোশাক, মেশিনারিজ,গর্মেন্টস,কেমিক্যাল পণ্য, কাগজ, মাছ ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য। বাংলাদেশি রফতানি পণ্যের মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য পাট ও পাটজাত পণ্য, তৈরি পোশাক, কাঁচা লোহা, বসুন্ধারা টিস্যু, মেলামাইন, রাইস ডাস্ট, মেহগনি ফল, গরুর শিং, মশারি , টুকরো কাপড় (জুট) ও মাছ রয়েছে।

   

উপজেলা ভোট: প্রশাসনের উচ্চপদস্থদের সঙ্গে বসবে ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সারাদেশের প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার সব বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার (সংশ্লিষ্ট), রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারদের উপস্থিতিতে বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে দিক নির্দেশনা দেবে ইসি। ওদিন বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অডিটরিয়ামে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে বৈঠকটিতে নির্বাচন কমিশনাররা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

এর আগে, গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করার বিষয় নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন।

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন চার ধাপে শেষ করতে চায় নির্বাচন কমিশন। এ লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণা করেছে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি।

;

তীব্র গরমে উচ্চ ঝুঁকিতে শিশুরা: ইউনিসেফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। অসহনীয় এই তামপাত্রায় শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিয়ে ইউনিসেফ গভীর উদ্বিগ্ন। ইউনিসেফের ২০২১ সালের শিশুদের জন্য জলবায়ু ঝুঁকি সূচক (সিসিআরআই) অনুযায়ী, বাংলাদেশে শিশুরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে।

অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে, বিশেষ করে নবজাতক, সদ্যোজাত ও অল্পবয়সী শিশুদের জন্য। হিটস্ট্রোক ও পানিশূন্যতাজনিত ডায়রিয়ার মতো, উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে সৃষ্ট অসুস্থতায় এই বয়সী শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে বলে জানিয়েছে আর্ন্তজাতিক এই সংস্থাটি।

শিশুদের ওপর তাপমাত্রা বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সারা দেশে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে ইউনিসেফ বাবা-মায়েদের প্রতি তাদের সন্তানদের পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা ও নিরাপদ রাখার জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানাচ্ছে।

চলমান এই তাপপ্রবাহসহ জলবায়ু পরিবর্তনের আরও ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশুদের রক্ষা করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেবার এখনই সময়।অস্বাভাবিকভাবে তাপমাত্রা বাড়তে থাকায়, আমাদেরকে আগে শিশু ও সবচেয়ে অসহায় জনগোষ্ঠীকে নিরাপদে রাখার প্রতি নজর দিতে হবে।

তাপপ্রবাহ থেকে শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের সুরক্ষার জন্য ইউনিসেফ সম্মুখসারির কর্মী, বাবা-মা, পরিবার, পরিচর্যাকারী ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের প্রতি নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে।

>> প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা: শিশুরা যেখানেই থাকুক না কেন তাদের বসা ও খেলার জন্য ঠাণ্ডা জায়গার ব্যবস্থা করুন। তপ্ত দুপুর ও বিকেলের কয়েক ঘণ্টা তাদের বাড়ির বাইরে বেরোনো থেকে বিরত রাখুন। শিশুরা যেন হালকা ও বাতাস চলাচলের উপযোগী পোশাক পরে, তা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে সারা দিন তারা যেন প্রচুর পানি পান করে, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।

>> প্রাথমিক চিকিৎসা: যদি কোনো শিশু বা অন্তঃসত্ত্বা নারীর মধ্যে ‘হিট স্ট্রেস’ বা তাপমাত্রাজনিত সমস্যার উপসর্গ দেখা দেয় (যেমন, মাথা ঘোরা, অতিরিক্ত ঘাম হওয়া, বমি বমি ভাব, হালকা জ্বর, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, মাংসপেশীতে টান, ডায়াপার পরার জায়গাগুলোতে ফুসকুড়ি) তাহলে তাকে একটি ঠাণ্ডা জায়গায় নিয়ে যান যেখানে ছায়া এবং পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের সুযোগ আছে। এরপর ভেজা তোয়ালে দিয়ে তার শরীর মুছিয়ে দিন বা গায়ে ঠাণ্ডা পানি দিন। তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি বা খাবার স্যালাইন (ওআরএস) পান করতে দিন। তবে হিট স্ট্রেসের (তাপমাত্রাজনিত অসুস্থতার) উপসর্গ তীব্র হলে (যেমন কোন কিছুতে সাড়া না দিলে, অজ্ঞান হয়ে পড়লে, তীব্র জ্বর, হৃদস্পন্দন বেড়ে গেলে, খিঁচুনি দেখা দিলে এবং অচেতন হয়ে পড়লে) সাথে সাথে হাসপাতালে নিতে হবে।

>> আপনার প্রতিবেশীদের খেয়াল রাখুন: তাপপ্রবাহ চলাকালে অসহায় পরিবার, প্রতিবন্ধী শিশু, অন্তঃসত্ত্বা নারী ও প্রবীণ ব্যক্তিরাই সবার আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন, এমনকি মৃত্যুর উচ্চ ঝুঁকিতেও তারাই বেশি থাকেন। আপনার প্রতিবেশী, বিশেষ করে যারা একা থাকেন, তাদের খোঁজ নিন ও খেয়াল রাখুন।

;

তাপদাহে স্কুল খোলা, সরকারি নির্দেশনা মানছেন না প্রধান শিক্ষক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তাপদাহে স্কুল খোলা, সরকারি নির্দেশনা মানছেন না প্রধান শিক্ষক

তাপদাহে স্কুল খোলা, সরকারি নির্দেশনা মানছেন না প্রধান শিক্ষক

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীসহ দেশজুড়ে চলছে তীব্র তাপদাহ। এই সময়ে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ঝুঁকি নিয়ে স্কুল খোলা রেখেছেন শাহ আলী থানার এডভান্স চাইল্ড কেয়ার একাডেমির প্রধান শিক্ষক সিকদার মিরাজুল। তিনি প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে নিয়মিত ক্লাস পরিচালনা করছেন।

তীব্র গরমের মধ্যেও প্রতিষ্ঠান খোলা রাখায় অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে গেলে এই প্রতিবেদকের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে দেন প্রধান শিক্ষক মিরাজুল।

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের তৃতীয় সপ্তাহে অনেকটা জোর করে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আসতে বাধ্য করছেন প্রধান শিক্ষক।

এমনকি শিক্ষার্থীদের কেউ স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে তাদের স্কুল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। এই হুমকির মুখে তারা স্কুলে আসতে বাধ্য হচ্ছেন।

স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, শাহ আলী থানার রাইন খোলা শাখার সকল শিক্ষক উপস্থিত। প্রধান শিক্ষক কাজে ব্যস্ত। প্রতিষ্ঠানের সামনে জাতীয় পতাকা উড়ছে। কয়েকজন শিক্ষক জানান তারা প্রতিবাদও জানিয়েছেন। কিন্ত প্রধান শিক্ষক কিছুতেই সরকারি নির্দেশনা মানছেন না।

বরং প্রধান শিক্ষক বলছেন, সকল সরকারি নিয়ম মেনে চললে প্রতিষ্ঠান চালানো যাবে না। তীব্র তাপদাহ সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক সাধারণ শিক্ষকদের আশ্বস্ত করতে বলেন, এটা সরকারের একটা পলিসি।

সাংবাদিক পরিচয়ে প্রধান শিক্ষক মিরাজুল ইসলামকে স্কুল খোলা রাখার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা এত খারাপ কেন। আমার প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখি আর খোলা রাখি সেটা আমার ব্যাপার । সরকারের সব সিদ্ধান্ত মেনে আমার স্কুল চালাতে পারবো না।

এ বিষয়ে শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা রাবেয়া বলেন, তার বিরুদ্ধে ইতিপুর্বে অনেক অভিযোগ এসেছে।

;

লালমনিরহাটে ট্রেনের ধাক্কায় এক নারীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ধবলসুতী হরিসভা খানপাড়া এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মমতা বেগম (৪০) নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় পাটগ্রাম উপজেলার খানপাড়া হরিসভা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধবলসুতী বাসিন্দার মৃত বদির উদ্দিনের মেয়ে নিহত মমতা বেগম দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। কানে না শোনার কারণে রেল লাইনে হাঁটার সময় পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা বুড়িমারীগামী লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় রেল লাইনের পাশে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পাশে থাকা স্থানীয় লোকজন গিয়ে মমতার নিথর দেহ দেখতে পেয়ে তার পরিবারের সদস্যদের ও পাটগ্রাম থানায় খবর দেন।

স্থানীয়রা জানান, মমতা ২০ থেকে ২৫ বছর ধরে তার বড় ভগ্নিপতির বাড়িতে থাকতেন।

পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বার্তা২৪.কম-কে জানান, ট্রেনে কাটা পড়ে মমতা বেগম নামে একজনের মৃত্যু খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

;