লক্ষ্মীপুরে ডাকাতির সময় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পুলিশ কর্মকর্তারা

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পুলিশ কর্মকর্তারা

লক্ষ্মীপুরে বাসায় ঢুকে ডাকাতিকালে মনির হোসেন নামে এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে ডাকাতদল। এ সময় তার স্ত্রী মিলন বেগমকে কুপিয়ে জখম করা হয়।

শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোররাতে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের আন্ধারমানিক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত মিলনকে সকালে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পরে ঢাকায় মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।

বিজ্ঞাপন

খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিমতানুর রহমান, সদর মডেল থানার (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া ও সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোসলেহ উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

নিহত মনির তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও আন্ধারমানিক গ্রামের আলি আহম্মদের ছেলে। পেশায় তিনি ইটভাটার মাটির সর্দার ছিলেন। ১৫ দিন আগে তিনি ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বলে জানা গেছে।  তার এক মেয়ে ও তিন ছেলে রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মনির মাটির ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি বিক্রি করতেন। বৃহস্পতিবার এক ইটভাটা মালিক মাটির জন্য তাকে দুই লাখ টাকা দেন। শুক্রবার ভোর রাতে মই দিয়ে ডাকাতদল তার বাসার ছাদে উঠে। ছাদের দরজা না থাকায় তারা বাসায় ঢুকে পরিবারের সদস্যদের বেধে ফেলে। একপর্যায়ে মনির ও তার স্ত্রী মিলনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে তাদেরকে আহত অবস্থায় ফেলে রেখে ডাকাতরা পালিয়ে যান। এসময় মনিরের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, দুই লাখ টাকা ও ঘরে থাকা স্বর্ণালংকার নিয়ে যায় ডাকাতদল।

পরে পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে স্থানীয়রা এসে আহতদেরকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে যাওয়ার পথে মনির মারা যান। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত মিলনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন।

তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ইবনে হুছাঈন বলেন, ডাকাতরা ঘরে ঢুকে মনিরকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তার স্ত্রীকেও গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, পুলিশ সুপারসহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।