ফরিদপুরে বিকাশ প্রতারক চক্রের তিন সদস্য আটক

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিকাশ প্রতারক চক্রের তিন সদস্য আটক।

বিকাশ প্রতারক চক্রের তিন সদস্য আটক।

ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে বিকাশ প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-৮, সিপিসি-২ ফরিদপুর ক্যাম্প। এসময় তাদের কাছ থেকে বিকাশ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৬টি মোবাইল সেট ও ১১টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়।

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৮, সিপিসি-২ ফরিদপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মো. খালেদ মাহমুদ।

বিজ্ঞাপন

আটককৃতরা হলো- ভাঙ্গা উপজেলার আটরা ভাসড়া গ্রামের মতিয়ার খানের ছেলে মো. মফিজুল খান (২৫), মিয়া পাড়ার মজিদ শেখের ছেলে ঠান্ডু শেখ (২৬) ও জাঙ্গালপাশা গ্রামের আলী মাতুব্বরের ছেলে মো. মিলন মাতুব্বর (২২)।

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, র‌্যাব-৮, সিপিসি-২ ফরিদপুর র‌্যাব ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানাধীন মিয়াপাড়া গ্রাম এলাকায় কিছু ব্যক্তি বিকাশ প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের নিকট হতে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এ বিষয়ে ফরিদপুর র‌্যাব ক্যাম্প গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গভীর অনুসন্ধান করে।

বিজ্ঞাপন

ঘটনা সত্যতা সম্পর্কে তথ্য প্রাপ্তির পর র‌্যাব-৮, সিপিসি-২ ফরিদপুর ক্যাম্পের একটি বিশেষ আভিযানিক দল কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মো. খালেদ মাহমুদ এর নেতৃত্বে ১৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিকাশ প্রতারক চক্রের এই তিন সদস্যকে আটক করা হয়।

এসময় আটককৃত প্রতারক চক্রের সদস্যেদের হেফাজত হতে বিকাশ প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৬টি মোবাইল ফোন ও ১১টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তিগণ বিকাশ প্রতারণার মাধ্যমে জনসাধারনের নিকট হতে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে স্বীকার করেছে।

ঘটনার বিবরণে আরো জানা যায়, বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন দুর্নীতি পরায়ণ মোবাইল সিম বিক্রেতার সাথে পরস্পর যোগসাজস করে ভুয়া নামে সিমকার্ড রেজিস্ট্রেশন ও উক্ত সিমকার্ড ব্যবহার করে অসাধু ডিএসআর (বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বিকাশ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিয়োগকৃত এজেন্ট) গণের মাধ্যমে ভুয়া বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলে।

প্রতারক চক্রের সদস্যরা দুর্নীতিপরায়ণ ডিএসআর গণের নিকট থেকে অর্থের বিনিময়ে বিকাশ এজেন্টদের লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করে ওই সব ভুয়া রেজিস্ট্রেশনকৃত মোবাইল সিমকার্ড ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সহজ সরল সাধারণ জনগণের নিকট নিজেকে বিকাশ হেড অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ফোন করে কৌশলে তাদের বিকাশ পিন কোড জেনে নেয় এবং স্মার্ট ফোনে বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে উক্ত সাধারণ লোকজনের বিকাশ অ্যাকাউন্ট হতে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেয়।

আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভাঙ্গা থানায় সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলমান আছে।