বেনাপোল বন্দরে বাণিজ্য সচল
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের জীবন-জীবিকা বাঁচাও কমিটির ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়ায় একদিন পর পুনরায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সচল হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুই দেশের মধ্যে পণ্য পরিবহন খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এর আগে বাণিজ্য পরিচালনায় নিরাপত্তার নামে সীমান্তরক্ষী বিএসএফ কর্তৃক ব্যবসায়ীদের হয়রানি বন্ধসহ পণ্য খালাসের জটিলতা নিরসনে ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নে সংগঠনটি গতকাল (সোমবার) দুপুুর থেকে ধর্মঘট ডাক দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেয়। এতে দুই বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় সহস্রাধিক ট্রাক আমদানি-রফতানি পণ্য নিয়ে আটকা পড়েছিল।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বার্তা২৪.কম’কে জানান, তারা বাণিজ্য সচলের জন্য গতকাল দিনভর আহবান জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় এদিন কোন ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করতে পারেনি। আজ সকালে সন্তোষ জনক একটি সমাধানের আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হলে সকাল থেকে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক(ট্রাফিক) আব্দুল জলিল বার্তা২৪.কম’কে জানান, সকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি শুরু হয়েছে। আটকে থাকা পণ্য যাতে ব্যবসায়ীরা দ্রুত খালাস নিতে পারেন তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় ৫ শতাধিক ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি ও দেড় শতাধিক ট্রাকে বিভিন্ন পণ্য ভারতে রফতানি হয়ে থাকে। বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্পাদনে ভারতীয় সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ সদস্যরা বেনাপোল বন্দরে আসা-যাওয়া করতেন। কিন্তু সীমান্তরক্ষী বিএসএফ সাম্প্রতি নিরাপত্তা জনিত কারণ দেখিয়ে তাদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয়। এছাড়া বিএসএফ সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া পণ্যবাহী ট্রাক তল্লাশিতে দীর্ঘ সময় ক্ষেপন হচ্ছিল। এসব সমস্যা সমাধানে আন্তরিক হতে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বার বার অবহিত করা হয়। কিন্তু কোন সমাধান না আসায় বাধ্য হয়ে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর জীবন-জীবিকা বাঁচাও কমিটি ধর্মঘট ডাক দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেয়। এ সংগঠনটির সাথে একত্বতা ঘোষণা করে ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন, আমদানি-রফতানি সমিতি, ট্রাক ট্রান্সপোর্টসহ সংশিষ্ট বাণিজ্যিক সংগঠনগুলো।