যত প্রতিকূলতা আসুক লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হব না: তাপস



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস

  • Font increase
  • Font Decrease

যত প্রতিকূলতায় আসুক, সমস্যা আসুক না কেন, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত না হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত করপোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের ৫ম বোর্ড সভায় ডিএসসিসি মেয়র এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এ সময় শেখ তাপস বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী যে লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছেন, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সে লক্ষ্য পূরণে তিনি এ করোনা মহামারির মাঝেও মানব উন্নয়ন সমীক্ষা-২০২০ এ দুই ধাপ এগিয়েছি। জনগণের কাছে এসব ইতিবাচক অগ্রগতি আপনাদেরকে তুলে ধরতে হবে। এসব অগ্রগতিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বের প্রতিফলন। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে চলেছি। সুতরাং আমরা সেই লক্ষ্য থেকে কোনোভাবে বিচ্যুত হবো না। যত প্রতিকূলতা আসুক, যত সমস্যা আসুক ইনশাল্লাহ আমরা ঐক্যবদ্ধ থেকে প্রতিহত করব এবং উন্নত বাংলাদেশের উন্নত রাজধানী হিসেবে ঢাকাকে আমরা গড়ে তুলব।

ডিএসসিসি মেয়র কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা যে লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছি সে লক্ষ্যে আপনাদেরকে গতিশীল হতে হবে। আমরা এখনও সে গতি সঞ্চার করতে পারিনি। আমি আশা করি সেই গতি সঞ্চারে আপনারা আরও বেশি উদ্যোমী হবেন, উদ্যোগী হবেন।

অবকাঠামো রাস্তা সংস্কার ফুটপাত নর্দমা নির্মাণের যে কার্যক্রমগুলো রয়েছে সেগুলো সময় মতো সম্পন্ন হয়নি বরং অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস প্রকৌশল বিভাগকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা সূচি নির্ধারণ করে কাজগুলো সম্পন্ন করুন। আর কোনো সময় বৃদ্ধি করা হবে না। নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ঠিকাদাররা কাজ সম্পন্ন করে তারপরে বিল পাবে। সে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। যাতে করে আমরা নতুন কাজগুলো যথাসময়ে শুরু করতে পারি।

এ সময় তিনি কাউন্সিলরবৃন্দসহ উপস্থিত সকলকে ইংরেজি নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা জানান।

পরে বোর্ড সভার আলোচ্য সূচি অনুযায়ী ৯ সদস্য বিশিষ্ট বাজার মূল্য পর্যবেক্ষণ, মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়। এ সময় মেয়র শেখ তাপস এক এক ৯ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির সদস্যদের নাম প্রস্তাব করলে উপস্থিত সকলে একযোগে তা অনুমোদন করেন।

৪৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শহীদ উল্লাহকে সভাপতি করে গঠিত বাজার মূল্য পর্যবেক্ষণ, মনিটরিং ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন সাধারণ আসনের ৬৪নং ওয়ার্ডের মো. মাসুদুর রহমান মোল্লা, ৬৮ নং ওয়ার্ডের মাহমুদুল হাসান, ৫০নং ওয়ার্ডের মাসুদ মোল্লা, ২২নং ওয়ার্ডের জিন্নাত আলী, ৬১নং ওয়ার্ডের মো. জুম্মন মিয়া এবং সংরক্ষিত আসনের ১৫নং ওয়ার্ডের নাজমা বেগম, ২১নং সংরক্ষিত আসনের সেলিনা খান ও ২ নং সংরক্ষিত আসনের মাকসুদা শমসের।

সভায় ডিএসসিসির কাউন্সিলরবৃন্দের পদমর্যাদা যুগ্ম সচিব সমমানে উন্নীত করতে স্থানীয় সরকার বিভাগে পত্র প্রেরণের বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়াও কাউন্সিলরদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ আলোচ্যসূচি অনুযায়ী অন্যান্য বিষয়েও আলোচনা হয়।

   

উপজেলা নির্বাচন: নওগাঁয় ৪ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২৫ মনোনয়ন জমা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

 

প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে নওগাঁর চারটি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে শেষদিন পর্যন্ত মনোনয়ন দাখিল করেছেন ২৫ জন প্রার্থী।

এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে বদলগাছী, মহাদেবপুর, ধামইরহাট, পত্নীতলা উপজেলার প্রার্থীরা এসব মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটানিং অফিসার মো. তারিফুজ্জামান।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মহাদেবপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- শহীদুল ইসলাম, ময়নূল ইসলাম, আহসান হাবিব, আনোয়ার হোসেন, মাসুদুর রহমান, আয়েসা বেগম, সাজ্জাদ হোসেন এবং ওবাইদুল্লাহ হক বাচ্চু।

বদলগাছী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- শামসুল আলম, ইমামুল আল হাসান, আবু খালেদ বুলু, বাবর আলী, হিরক তালুকদার, শহীদুল ইসলাম, মিঠু মন্ডল, জবির উদ্দিন, এসএম সাইদুর রহমান।

এছাড়া ধামইরহাট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন ও ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- ওসমান আলী, শহীদুল ইসলাম, আবু নাসের মো. আফজাল হোসেন, আজহার আলী, আয়েন উদ্দিন ও মো. আতাউর রহমান।

আর পত্নীতলা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন মনোনয়ন দাখিল করেছেন। চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- আ.লীগ নেতা মো. খালেক চৌধুরি ও আব্দুল গাফ্ফার। দুজনই আ.লীগের শক্তিশালী নেতা বলে জানা গেছে। খালেক চোধুরি উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও আব্দুল গাফ্ফার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।

জানা গেছে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার আগে থেকেই প্রার্থীরা সরব ছিলেন মাঠে। অনেকে ফেসবুক, পাড়া-মহল্লায় ও নানা মাধ্যমে প্রার্থিতার জানান দিয়েছেন আগেভাগেই। প্রার্থীদের বেশিরভাগই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের দায়িত্বশীল নেতা, কর্মী বা সর্মথক।

;

মেহেরপুরে ‘মুজিবনগর সরকার দিবস’ পালনের প্রস্তুতি সম্পন্ন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের গৌরবময় তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা প্রবাহের সাথে যে দিনটি ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে তা হল মুজিবনগর সরকার বা প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণ দিবস। দীর্ঘ নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের নেতৃত্বে ছিল এই সরকার। একাত্তরের ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের ঐতিহাসিক বৈদ্যনাথতলা তথা মুজিবনগরের আমবাগানে এ সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়েছিল। এর মাধ্যমেই পাল্টে গিয়েছিল যুদ্ধের গতি-প্রকৃতি। সেই দিনটি স্মরণীয় করে রাখতে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে বড় আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে। 

মুজিবনগরকে বলা হয় স্বাধীনতার সূর্যোদয় ভূমি। যে সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়েছিল সাত কোটি বাঙালির হৃদয়ে। তাই মুজিবনগর আর স্বাধীনতা এক সুতোয় গাঁথা রয়েছে বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে জানালেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

সরেজমিন মুজিবনগর কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, বৈদ্যনাথতলার আমবাগানে যেখানে একাত্তরে প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করেছিলেন সেখানে শেখ হাসিনা মঞ্চে চলছে সাজসজ্জার কাজ। এ মঞ্চে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নিবেন কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। দর্শনার্থীদের কাছে মুজিবনগরকে তুলে ধরতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্বলিত স্থাপনাগুলো ধুয়ে মুছে করা হচ্ছে পরিস্কার। প্রবেশ পথগুলোতে রংয়ের আঁচড় দিয়ে ফুটিয়ে তোলার কাজও শেষ পর্যায়ে। মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ, আমবাগান এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি কমপ্লেক্স পেয়েছে এক নতুন রুপ। 

মূলত জেলা প্রশাসন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দিবসটি ঘিরে বড় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে থাকছে- সকাল ৯ টায় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন। জাকজমকপূর্ণ কুজকাওয়াজ। এতে অংশ নেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিজিবি, পুলিশ, আনছার ও ভিডিপি, বিএনসিসি, স্কাউট, গালর্স গাইড এবং ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।

সকাল ১০ টায় গীতিনাট্য সোনালি স্বপ্রের দেশ উপস্থাপন করবে আনছার ও ভিডিপি অর্কেস্ট্রা দল। একাত্তরের শপথের পর গার্ড অব অনার প্রদানকারী হিসেবে ইতিহাসের সাক্ষি হয়ে আছে ১২ আনছার সদস্যা। স্বাধীনতা যুদ্ধে আনসার সদস্যদের আত্মত্যাগের স্মৃতি সমুন্নত রাখতে মুজিবনগর দিবসে আনসার-ভিডিপির এই কর্মসূচি থাকে প্রতিবছরই।

এদিকে সন্ধ্যা ৬ টায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকেন্দ্রের সামনে আয়োজন করা হয়েছে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। দেশ বরেণ্য ও প্রশিদ্ধ শিল্পিরা সঙ্গীত পরিবেশেন করবেন এ মঞ্চে। এছাড়াও আতশবাজি উৎসব আর রঙ্গিন আলোর ঝলকানি থাকছে সন্ধ্যার পর থেকে।

এদিকে সকাল দশটায় শেখ হাসিনা মঞ্চে আলোচনার সভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করবেন। সঞ্চালনায় থাকবেন আওয়ামেী লীগের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক। জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রী এবং প্রথম সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দীআহম্মেদের কন্যা রিমিন হোসেন সিমি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজ্জামেল হকসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এ আলোচনা সভায় অংশ নেবেন

আয়োজন সম্পর্কে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ইতিহাসের অত্যান্ত গৌরবময় ঘটনার দিন মুজিবনগর দিবস পালনে এবারও নানা আয়োজন করা হয়েছে। করোনা মহামারীর কারণে দুই বছর অনুষ্ঠান আয়োজনে ছেদ পড়লেও এবার বড় আয়োজনের মাধ্যমে পালিত হবে মুজিবনগর সরকার। দিবসটির জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন মেহেরপুরসহ আশেপাশের জেলার মানুষ। অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

দিবসটি আয়োজনের সকল প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত জানিয়ে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসান বলেন, গরমে মানুষ যাতে কষ্ট না পান তার জন্য পানি পানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়া অস্থায়ী টয়লেট, মেডিকেল টিমসহ নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। জাতীয় এ অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে অনুষ্ঠান ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে জেলা পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে মেহেরপুর পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক বলেন, মেটাল ডিটেকটিভ দিয়ে তল্লাশি এবং আর্চওয়ে গেট স্থাপন করা হয়েছে। পুরো এলাকাকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। বাইরের জেলা থেকেও আনা হয়েছে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ফোর্স। এছাড়াও থাকছে র‌্যাবের কয়েকটি দলের টহল। 

স্থানীয়রা জানান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর বাঙালির বিজয়ের গৌরবগাঁথা বীরত্ব মিশে রয়েছে একাত্তরের ১৭ এপ্রিল শপথের মধ্যে। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আরও সমুন্নত হবে এমনটাই প্রত্যাশা মেহেরপুরবাসীর।

;

ঢাকাসহ ৪ বিভাগে বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এতে সারা দেশেই অনুভূত হচ্ছে তীব্র গরম। এ পরিস্থিতিতে আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী,মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

১৭ এপ্রিলের আবহাওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি দেশের কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে। উত্তরপূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

১৮ এপ্রিলের আবহাওয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এছাড়া বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

;

উদীচীর কর্মকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিব্রত: ডিএমপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উদীচীর কর্মকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিব্রত: ডিএমপি

উদীচীর কর্মকাণ্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিব্রত: ডিএমপি

  • Font increase
  • Font Decrease

জননিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের জারি করা নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও নেতিবাচক বিবৃতি- আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর বলে উল্লেখ করেছে ডিএমপি।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে ডিএমপির মিডিয়া শাখার পাঠানো বার্তায় এ কথা বলা হয়।

উদীচীর এমন কর্মকাণ্ড অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক উল্লেখ করে ডিএমপি বলেছে, 'বাংলা নববর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার যে নির্দেশনা জারি করেছে সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান করার বিষয়টি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দৃষ্টিগোচর হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠান না শেষ করা সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিষয়টি অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও বিব্রতকর।

পহেলা বৈশাখ বাংলা ও বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব। সব ধর্মের মানুষের কাছে এটি একটি সর্বজনীন উৎসব। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবারই উৎসব উদযাপনে থাকে বিশেষ প্রস্তুতি। বাংলা সংস্কৃতির অন্যতম ধারক ও বাহক যেন এই দিনটি। বিশেষত দিনটি রঙিন হয়ে ওঠে বাঙালি পোশাকে-আশাকে, আয়োজনে এবং আপ্যায়নে। কিন্তু ইতোপূর্বে বিভিন্ন সময়ে বাংলা সংস্কৃতির ধারক এই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের উপর উগ্রবাদী আঘাত এসেছে। বার বার চেষ্টা করা হয়েছে সংস্কৃতি যাত্রাকে ব্যাহত করার। উগ্রবাদের এই ভয়াল থাবা দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে বিভিন্ন সময়ে আক্রমণ করেছে, আঘাত করেছে সৃজনশীল ও সংস্কৃতমনা মানুষদের। উগ্রবাদীদের এই নৃশংসতায় প্রাণ দিয়েছেন অনেক কবি, সাহিত্যিক, অধ্যাপক, ব্লগারসহ মুক্তমনা এবং রুচিশীল ব্যক্তিত্ব। সর্বোপরি, জঙ্গি সংগঠনগুলোর টার্গেট হলো বাঙালি সংস্কৃতির অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করে দেশের মধ্যে একটি অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যা তাদের কার্যক্রমে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয়।

ডিএমপি বিবৃতিতে আরও বলেছে, এদেশে প্রথম জঙ্গি হামলা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে, যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে। পরবর্তীতে ২০০১ সালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানে বোমা হামলা, একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা, যাত্রা প্যান্ডেলে বোমা হামলা, সিনেমা হলে বোমা হামলা, ১৭ আগস্টের সিরিজ বোমা হামলার পর দেশে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলা হয় গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয়। এসব হামলায় অনেক মানুষের মূল্যবান জীবনহানি হয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছেন। হামলা প্রতিরোধ করতে ও জনগণের জীবন বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের অনেক সদস্য জীবন দিয়েছেন, আহত হয়েছেন বহুজন।

বিগত সময়ে ১৯৯৩ সালে (১৪০০ বঙ্গাব্দ) বাংলা শতবর্ষ উদযাপনে সরকার বাঙ্গালির এই আয়োজনে বাধা দিয়েছিল। কিন্তু উগ্রবাদ দমনে বর্তমান সরকারের গৃহীত 'জিরো টলারেন্স' নীতির ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করায় সারাবিশ্বে বাংলাদেশ আজ 'রোল মডেল' হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দেশে জঙ্গি তৎপরতা রোধে পুলিশ সবসময়ই তৎপর। প্রতিটি অনুষ্ঠানে জনগণের জান মালের নিরাপত্তা দিতে সদা সতর্ক থাকায় পরবর্তী সময়ে দেশে কোনো জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারে নাই। বর্তমান সরকার সবসময়ে অসাম্প্রদায়িক বাঙালি সংস্কৃতিকে তার নিজস্ব আমেজে উদযাপন করার ক্ষেত্রে আন্তরিক ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে। উদীচীর মতো বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠনগুলো সারা বছর যে অনুষ্ঠানগুলো আয়োজন করে থাকে তার নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ তথা সরকার নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ও পেশাদারিত্বের সাথে সেগুলো বিবেচনা করে থাকে। পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য 'বাংলা নববর্ষ ভাতার' ব্যবস্থাও করা হয়েছে যাতে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে মিলিত হয়ে আনন্দের সাথে এই অনুষ্ঠান উদযাপন করতে পারে।

ডিএমপি বলছে, খুব স্বাভাবিকভাবেই নববর্ষ উদযাপনে নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশের কর্তব্য। পুলিশের এই নিরাপত্তা কার্যক্রমে সকল জনগণ সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবেন এটাই কাম্য, তেমনি আনন্দের এই অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়। নিরাপত্তা বিধানে প্রদত্ত প্রয়োজনীয় নির্দেশনা না মেনে তার বিরোধীতা করে অনুষ্ঠান করা খুবই দুঃখজনক এবং উদীচীর মত প্রগতিশীল একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের নিকট থেকে যা কখনো কাম্য নয়।

উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে অনুষ্ঠান আয়োজন ও সেখানে প্রদত্ত বক্তব্য খুবই হতাশাজনক। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে তাদের এহেন কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই প্রত্যাশিত নয়। অতীতেও উদীচীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সময়ে উগ্রবাদী হামলার ইতিহাস রয়েছে বিধায় উদীচী তাদের নিজেদের ও জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে ভবিষ্যতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রদত্ত বিভিন্ন নিরাপত্তামূলক নির্দেশনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে বলে প্রত্যাশা। 

এদিকে বর্ষবরণের জন্য সরকারের বেধে দেয়া সময় মানেনি বাংলাদেশ উদীচী শিল্পী-গোষ্ঠী। বেধে দেয়া সময়ের পরও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে সংগঠনটি। পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সময় সংকোচনের প্রতিবাদে রোববার সন্ধ্যা ছয়টার পর রাজধানীর শাহবাগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উদীচী। তবে দ্রুত শেষ করার তাগাদা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের পর অনুষ্ঠান করায় প্রশাসনের বাধার মুখে পড়তে হয়নি তাদের।

এর আগে পয়লা বৈশাখকে কেন্দ্র করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, রাজধানীর রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ বর্ষবরণের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে শেষ করতে হবে। অন্যদিকে, শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্ষবরণের সব আয়োজন বিকাল পাঁচটার মধ্যে শেষ করা হবে। সময় সংকোচনের নির্দেশনার মধ্যেই রোববার ‘বর্ষবরণ মানে না শৃঙ্খলা’ শিরোনামে সন্ধ্যায় শাহবাগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উদীচী শিল্পী-গোষ্ঠী। সন্ধ্যা ছয়টায় শুরু হওয়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ হয় সন্ধ্যা সাতটার দিকে।

;