মিরসরাইয়ে একদিনে ৯০ প্রকেল্পর উদ্বোধন



মোহাম্মদ ইউসুফ, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মিরসরাই, চট্টগ্রাম
মিরসরাইয়ে একদিনে ৯০ প্রকেল্পর উদ্বোধন

মিরসরাইয়ে একদিনে ৯০ প্রকেল্পর উদ্বোধন

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার ঘোপাল ইউনিয়নের আলোকদিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের নৌকাই ছিলো যোগাযোগের একমাত্র অবলম্বন। ফেনী নদীর ওপর তৈরি হতে যাচ্ছে নতুন একটি সেতু। ধুম সেতু নামের ওই সেতু নির্মাণের উদ্যোগের ফলে নদীর দু’পারের মানুষের যোগাযোগে এক নতুন মাত্রা সূচিত হতে যাচ্ছে। আজ বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে ২৫২ মিটার দৈর্ঘ্যরে এ সেতুর ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন করবেন মিরসরাইয়ের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

জানা গেছে, ফেনী নদীর ওপর সেতু ছাড়াও একই দিন মিরসরাইয়ের মোট ৯০টি জনগুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করবেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। যার ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২শ কোটি টাকা। ওইদিন সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথমে মিরসরাইয়ের ধুম ইউনিয়নের ফেনী নদী এলাকায় সেতুর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করবেন। পরে বারইয়ারহাট পৌরসভার ৩৫টি প্রকল্পের, মিরসরাই পৌরসভার ১০টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর ও উদ্বোধন করবেন। বেলা ১২টার দিকে উপজেলা সদরে এসে ৪৫টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করবেন।

মিরসরাই উপজেলা প্রকৌশল অফিস জানায়, ফেনী নদীর ওপর জনগরুত্বপূর্ণ এ সেতু নির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। এতে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে। এটি বাস্তবায়নে যৌথভাবে কাজ করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সুরমা এন্টার প্রাইজ ও হক ট্রেডার্স জেবি। কার্যাদেশ অনুযায়ী এটির কাজ শেষ হতে সময় লাগবে প্রায় ৩২ মাস। অর্থ্যাৎ আগামী ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে এটি যানবাহন ও সাধারণ মানুষের পারাপারের জন্য খুলে দেয়া হবে।

ধুম সেতু নামের ওই সেতু নির্মাণের উদ্যোগের ফলে নদীর দু’পারের মানুষের যোগাযোগে এক নতুন মাত্রা সূচিত হতে যাচ্ছে

ধুম সেতু বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে মিরসরাইয়ের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এটি সরকারের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের একটি ধারাবাহিক উন্নয়ন প্রকল্প।  প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টার বহিঃপ্রকাশ।’

নতুন এ সেতু মিরসরাই-ছাগলনাইয়া উপজেলা এলাকার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাবে উল্লেখ করে সরকারের সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ‘একসময় দেখতাম নদীর ওপারের আলকদিয়া গ্রামের মানুষ অনেক কষ্টে নদী পার হতো। আশা করছি মানুষের এতদিনের কষ্ট দূর হবে। তারা এ সেতুর মাধ্যমে মিরসরাইয়ে পার হয়ে এখানকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক সুবিধা ভোগ করতে পারবে।’ 

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার গোপাল ইউনিয়নের আলকদিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ফেনীর নদীর ওপর সেতু নির্মাণের খবরে স্থানীয়দের মধ্যে উচ্ছাসের কমতি নেই। এতদিন পর তাদের দীর্ঘদিনের আক্ষেপ ঘুঁজবে এমন খবরে তারা আনন্দে আত্মহারা। গ্রামের মাদরাসা শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, কৃষক, শিক্ষার্থী সকলেই উচ্ছ্বসিত।

স্থানীয় আলকদিয়া নূরানী তালিমুল কোরআন মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আলকদিয়া গ্রামের ছেলে মেয়েরা এতদিন নৌকাযোগে নদী পার হয়ে স্কুল-মাদরাসায় যেতো। এখানে উন্নত চিকিৎসাতো দূরে থাক, সাধারণ চিকিৎসা ব্যবস্থাও নেই। ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এ সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ায় আমরা বেশ খুশি। আল্লাহর কাছে তাঁর জন্য আমরা দোয়া করছি।’

ওইদিন সরেজমিনে আলকদিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলার সময় তারা তাদের বক্তব্যে বারবার একটি দাবি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। তা হল ফেনী নদীর ওপর নির্মাণাধীন এ সেতুর নাম ‘ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সেতু’ হিসেবে যেন নামকরণ করা হয়।

আলকদিয়া গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘সেতু হবে শোনার পর আমরা খুব খুশি হয়েছি। এখন থেকে আমাদের ছেলে মেয়েরা স্কুল কলেজে পড়তে পারবে। আমরা চাই আমাদের এ সেতুর নাম ‘ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সেতু’ হিসেবে নামকরণ করা হোক।’

এদিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মিরসরাই উপজেলা প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান জানান, মিরসরাইয়ের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জনগুরুত্বপূর্ণ এ সেতু নির্মিত হচ্ছে। ফেনী নদীর ওপর নির্মাণাধীন এ সেতুর কাজ শেষ হবে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে। ওইসময় যান চলাচল ও সাধারণ জনগণের পারাপারের জন্য এটি উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

এ সময় উপজেলা প্রকৌশলী কামরুজ্জামান আরও জানান, বুধবার সকালে মিরসরাইয়ের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন মোট ৯০টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থরের ফলক উন্মোচন করবেন। এসব প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে প্রায় ২শ কোটি টাকা।

   

সিরাজগঞ্জে দুই মাথা ৪ চোখ নিয়ে বাছুরের জন্ম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই মাথা ও চার চোখ নিয়ে জন্ম নিয়েছে একটি গরুর বাছুর। এ খবর শুনে উৎসুক জনতা এক নজর দেখতে খামারির বাড়িতে ভিড় করছে।

এই অদ্ভুত বাছুরটি জন্ম হয়েছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের পালাশী গ্রামের খয়বার আলীর বাড়িতে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল ) বিকালে খামারির বাড়িতে জন্ম নেওয়া পর থেকে বাছুরটি দেখতে ভিড় করছে এলাকাবাসী।

খয়বার হোসেন বলেন, গাভীটি আমার গৃহপালিত। চার বছর আগে বিদেশি ষাড়ের মাধ্যমে প্রজনন দিয়ে প্রসূতি গাভীটির জন্ম হয়। পরবর্তীতে গাভীটি বড় হলে প্রজননের জন্য ইনজেকশন ব্যবহার করে গর্ভধারণ করা হয়। দীর্ঘ আট মাস ২৩ দিন পর গাভীটি দুই মাথা ও চার চোখ বিশিষ্ট একটি বকনা বাছুর প্রসব করে। বকনা বাছুরটি এখনো নড়াচড়া করছে। উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও দুই মাথার কারণে উঠে দাঁড়াতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, বাছুরটি অস্বাভাবিক, দুই মাথা ও চার চোখ বিশিষ্ট। অস্বাভাবিক প্রকৃতির এই বাছুরটিকে দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় করছে।

তাড়াশ উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়ালিউল্লাহ বলেন, হরমোনাল ইমব্যালান্সের কারণে এরকম বাছুর প্রসব করার সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়াও প্রজনন গত কারণেও এ রকম অস্বাভাবিক বাছুর প্রসব হতে পারে। তবে এমন বাছুর প্রসব খুব একটা পরিলক্ষিত হয় না।

;

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবান-রাঙ্গামাটির সীমান্তের দুর্গম এলাকায় তীব্র গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। সেখানে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবানের রুমার প্রাংসা-পাইন্দু ও রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ির বড়থলি ইউনিয়নে সীমান্তের দুর্গম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রুমায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় গত ৬ এপ্রিল থেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে যৌথ বাহিনী, যা এখনও চলমান রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুমা খাল, প্রাংসা, পাইন্দু ও রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি সীমান্ত এলাকায় তীব্র গোলাগুলির চলছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লা চিং মারমা জানান, কয়েকদিন ধরে রুমা উপজেলায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। এলাকাবাসীরা তাকে আজ বিকেলে জানিয়েছেন পাইন্দু- রুমা সদর ইউপি ও বিলাইছড়ি উপজেলা বড়থলি ইউনিয়নের সীমান্তে দুর্গম এলাকার ভিতরে প্রচণ্ড গুলি বোমার আওয়াজ শুনেছেন। এলাকাবাসীর ধারণা, গোলাগুলি হচ্ছে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান জানান, গোলাগুলির সংবাদ পেয়েছি। তবে বিস্তারিত জানা যায়নি।

গত ৮ এপ্রিল যৌথবাহিনী বিশেষ অভিযান চালিয়ে রুমা উপজেলার বেথেলপাড়া থেকে ১৮ নারীসহ ৪৯ জনকে গ্রেফতার করে। অন্যদের বিভিন্ন সময়ে মোট ৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে ৫২ জনের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে পাঠানো ৫২ জনের মধ্যে ১৭ জন নারী রয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

;

সাভারে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং, আতঙ্কে নগরবাসী



মো. কামরুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সাভারে দিনদিন বেড়েই চলছে কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ংকর তাণ্ডব। ফলে সাভার এখন পরিণত হয়েছে আতঙ্কের নগরীতে। পৌর এলাকাতেই মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ৪ খুন। এছাড়া প্রতিনিয়ত ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তার ও মাদকের অন্যতম কারণ এই গ্যাং কালচার। কোনোভাবেই যেন লাগাম টানতে পারছে না আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

প্রকাশ্যে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা পাল্টা হামলা সাভার পৌরসভার নিত্যদিনের ঘটনা। রক্তাক্ত শরীর নিয়ে কেউ হেঁটে যায়, আনার কেউ হাসপাতালে বিছানায় করে বাঁচার আর্তনাদ। কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যে সম্প্রতি সাভার পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১২ এপ্রিল সাভারের আড়াপাড়ায় খুন হলেন রং মিস্ত্রী সাজ্জাদ। গত ৩১ মার্চ সাভারের রেডিও কলোনীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে মৃত্যু সাথে লড়াই করেছেন কলেজ ছাত্র রবিউল।

ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র রবিউল ইসলাম বার্ত২৪.কম-কে বলেন, 'সকালে আমি ডিউটির উদ্দেশ্যে যাইতেছি। তখন দেখি দুইটা ছেলে বসা তখন আমার হাতে মোবাইল ছিল ওরা আমাকে ডাক দিছে। ডাক দিয়েই বলে কি আছে দে। আমি সাথে সাথে মোবাইল দিয়ে দিছি। তারপরেও ওরা আমাকে ছুরি মারছে। আমার পেটে পিঠে চাকু মারছে। তখন আমি চিৎকার দিলে আশপাশে থেকে লোকজন এসে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমার পায়েও সমস্যা, ১৮ দিন ধরে ব্যথায় আমি একটুও ঘুমাতে পারি না।

ছেলেকে বাঁচাতে রবিউলের কৃষক বাবা ধার-দেনা করে প্রায় নিঃস্ব এখন। তাদের দাবি এ ধরনের ঘটনা যেন কোনো পরিবারের সাথে না হয়। এই পরিবারের মত এমন ঘটনার ভুক্তভোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই।

ভুক্তভোগী রবিউল ইসলামের বাবা মো. আশরাফুল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের টোটাল বিল আসছিল ৭ লাখ টাকা। পেমেন্ট দিয়েছি প্রায় চার লাখ টাকা। আমি কৃষি কাজ করি ও মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করি। হাসপাতালের এই ৪ লাখ টাকা মানুষের কাছে তো ধার ও সুদের উপর এনে দিয়েছি। আর্থিকভাবে মনে হয় দশ বছরেরও আমি এই জিনিসটা পূরণ করতে পারব না। আমি সুদে যে টাকাটা নিছি প্রতিমাসে এই সুদ টানতেই আমার কষ্ট হয়ে যাবে এখন।

ভুক্তভোগী রবিউলের মা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা যদি আর্থিক দিকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা না পাই, তাও কোনো দুঃখ নাই। আমার ছেলেটা ১৮ দিন ধরে হসপিটালের বিছানায়। আমার ছেলের মত এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে এটাই আমার দাবি।

তথ্য বলছে, সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের মূল দৌরাত্ম্য পৌরসভাজুড়ে। পিনিক রাব্বি, হৃদয় গ্রুপ, ভাই-ব্রাদার গ্রুপ বেশ সক্রিয়। নিজেদের দ্বন্দ্ব থেকে ভাগ হয়ে তৈরি হচ্ছে আরো গ্রুপ। গত দুই মাসে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাই ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অন্তত ৪ খুনের ঘটনা ঘটেছে। খরচ মেটাতে ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, জমি দখল, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত এই কিশোর গ্যাং।

সাভার পৌর সভার বাসিন্দা রিফত বার্তা২৪.কম-কে বলেন, অপরাধীরা বেশিরভাগই মাদক সেবন করেন। তার জন্য তো টাকা দরকার তাদের। তারা কোনো কাজকর্ম করে না। আর এই টাকার জন্যই তারা ছিনতাই করে। কাছে কিছু না পেলে বা দিতে না চাইলেই তাকে আঘাত করে। কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে এমন। মারাও গেছেন কয়েকজন। সরকারের কাছে আমাদের একটাই অনুরোধ, এই মাদক ও কিশোর গ্যাং নিয়ে যেন কঠোর একটা ব্যবস্থা নেয়। এদের যেন শাস্তি হয়, এগুলো যেন একবারে নির্মূল করে দেয়।

গত মার্চ মাসে র‍্যাব ও পুলিশের আলাদা অভিযানে হৃদয় গ্রুপের প্রধান গিয়ার হৃদয়সহ ৮ জন ও ভাই-ব্রাদার গ্রুপের ৪ জনসহ মোট ১২ জন গ্রেফতার করা হয়।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহ জামান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কখনো যদি কোনো লোক এরকম ছিনতাইয়ের শিকার হন বা ডাকাতির শিকার হন, তাহলে তাৎক্ষণিক আমাদের কাছে রিপোর্ট করবেন। যাতে করে আমরা এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারি। যদি এরকম কোনো ঘটনায় আপনারা রিপোর্ট না করেন, ওই অপরাধীদেরকে আমরা যদি গ্রেফতার করতে না পারি, সেক্ষেত্রে কন্টিনিউয়াস একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়ে যাবে। সুতরাং যে কোনো ঘটনাই ঘটুক, অবশ্যই পুলিশকে রিপোর্ট করতে হবে। পুলিশ যাতে সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে পারে।

;

পটিয়ায় বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পটিয়াতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাটা নাকম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী এলাকার আবু বক্কর তাসরিফ (১৫) ও কক্সবাজারের রামুর নুরুল আলম (২৮)। তিনি চন্দনাইশের এলেহাবাদ এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন পটিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামমূখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকী একজনের নাম জানা যায়নি। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।

ওই অটোরিকশায় চালকসহ মোট ৪ আরোহী ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার সাথে সাথে এক যাত্রী লাফ দিয়ে সরে পড়ে। তাই তিনি তেমন আঘাত পাইনি বলে যোগ করেন ওসি। 

;