হ্যান্ডকাপসহ পালানো যুবককে ধরে আনল চেয়ারম্যান!

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মো. রায়হান ওরফে সাইমুন গাজী

মো. রায়হান ওরফে সাইমুন গাজী

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থানা পুলিশের এক সোর্সকে কামড়ে মো. রায়হান ওরফে সাইমুন গাজী নামের এক যুবক পালিয়ে গেছে। উপজেলার ১০ নম্বর রায়পুর ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামে বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করে। মধ্যরাতে পুলিশকে টেনশনমুক্ত করে ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আজম চৌধুরী সুমন। তিনি হ্যান্ডকাপসহ রায়হানকে নিয়ে থানায় হাজির হয়।

স্থানীয় সূত্র ও থানা পুলিশ জানায়, উপজেলার দেবীপুর ও আশপাশ এলাকায় রায়হান ওরফে সাইমুন গাজী নিষিদ্ধ ইয়াবা ট্যাবলেট বেচাকেনা করে আসছে। রায়হান দেবীপুর গ্রামের মো. ইব্রাহিমের ছেলে। তাকে আটক করতে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোনায়েম হোসেন ও আবুল কালাম আজাদ কয়েকজন সোর্স নিয়োগ করেন। বুধবার রাত ৮টার দিকে দেবীপুর গ্রামে পুলিশের সোর্স মানিক ইয়াবা কেনার কথা বলে রায়হানের কাছে যায়। সেখানে হাজির হয় ওই পুলিশ কর্মকর্তারা। একপর্যায়ে তাকে (রায়হান) আটক করা হয়। পুলিশ ও সোর্স আগে পরে ছিল। একপর্যায়ে সোর্স মানিকের শরীরের বিভিন্ন অংশে কামড়ে রায়হান হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শিপন বড়ুয়া ঘটনাস্থলে যায়। আশপাশের কয়েকটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিল্লাল হোসেন ও মনোয়ার নামে দুইজনকে আটক করা হয়।

বিজ্ঞাপন

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুইজন ইউপি সদস্য (মেম্বার) জানায়, পুলিশের সোর্স মানিক গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছে। ঘটনার পর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। এতে নারীসহ কয়েকজন আহত হয়। এনিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

রায়পুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবুল কালাম আজাদ বলেন, মাদক ব্যবসায়ী রায়হান সোর্সের হাত কামড়িয়ে পালিয়ে গেলেও পরে তাকে ধরা হয়। পুলিশকে দেখলে তারা পালিয়ে যায়, এজন্য সোর্সের সহায়তা নেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

ইউপি চেয়ারম্যান শফিউল আজম চৌধুরী সুমন বলেন, হ্যান্ডকাপসহ রায়হানকে হাজির করতে পরিবারকে আমি চাপ দিয়েছি। পরে তাকে নিয়ে মধ্যরাতে থানায় সোর্পদ করেছি। ঘটনার পর এলাকা থেকে আটক নিরপরাধ দুজনকে ছাড়িয়ে আনা হয়। এসব ঘটনায় পুলিশকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে বলে তিনি জানান।

জানতে চাইলে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল বলেন, রায়হান মাদক ব্যবসায়ী। তার কাছে ১৫ পিস ইয়াবা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় মাদক-দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে। সাদা পোশাকে থাকা পুলিশকেই মানুষ সোর্স মনে করেছে বলে দাবি করেন তিনি।

এ ব্যাপারে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুর সার্কেল) স্পীনা রানী প্রামাণিক বলেন, দেবীপুরের ঘটনাটি আমি অবগত নই। রাতে রামগঞ্জে ছিলাম, বিস্তারিত না জানায় আমি কোনো মন্তব্য করতে রাজি নয়।