ক্র্যাবের রিপোর্টাররা পুলিশের আয়না: অতিরিক্ত ডিআইজি
ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ) আসাদুজ্জামান বলেছেন, ক্র্যাবের রিপোর্টারা হলেন পুলিশের আয়না। এই আয়নার মাধ্যমে অপরাধ জগৎ দৃশ্যমান। পুলিশ আর ক্র্যাবের রিপোর্টারা মিলেই এই অপরাধীদের জন সম্মুখে নিয়ে আসে।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) ডিআরইউ মিলনায়তনে ক্র্যাব সেরা প্রতিবেদন পুরস্কার-২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, ক্র্যাব রিপোর্টারদের মাধ্যেমে আমরা অপরাধ জগৎকে দেখতে পাই। তাদের মাধ্যমে আমরা আমাদের সকল কার্যক্রম তুলে ধরতে পারি। যেখানেই অপরাধ সেখানেই ক্র্যাবের সদস্য আর পুলিশ।
এ সময় ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান বলেন, এই ক্রইম রির্পোটারদের সব থেকে বেশি কাজ করতে হয় আমাদের (পুলিশ) সাথে। আমরা যে কাজ করি তা আপনাদের মাধ্যমে জনগণের কাছে তুলে ধরতে পারি। প্রিন্ট, অনলাইন ও টেলিভিশনের মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে অপরাধকে জনস্মুখে পৌছে দিতে পারি।
তিনি আরো বলেন, সব কাজে ভালো-মন্দ আছে। আপনাদের মাধ্যমে আমরা তুলে ধরতে চাই। তবে কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লেখার আগে একটু চিন্তা করা উচিত। কারণ আমরা জানি সাংবাদিকরা হলো রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ।
ক্র্যবের সভাপতি আবুল খায়ের বলেন, করোনার কারণে আমরা জাকজমকভাবে এই অনুষ্ঠান করতে পারলাম না। তবে এই করোনা মহামারিতে যথাসম্ভব আপনাদের পাশে ২৪ ঘণ্টা থাকার চেষ্ঠা করেছি। এই ক্র্যাব একটি শক্তিশালী সংঘঠন। এই সংঘঠন আপনাদের পাশে আছে থাকবে।
পুলিশদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, ক্র্যাব পুলিশের সংগঠন। এই মহামারিতে যেসকল পুলিশ সদস্য শহীদ হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
ক্র্যাব সেরা প্রতিবেদন পুরস্কার-২০১৯ এর বিজয়ীরা হলো- হুজায়ফা মুহাম্মাদ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন (প্রিন্ট), খান মুহাম্মাদ রুমেল ও সফিক শাহীন অনুসন্ধানী প্রতিবেদন (টেলিভিশন) পুরস্কার, জামিল খান পেলেন মাদক বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন (প্রিন্ট) এবং নারী ও শিশু নির্যাতন বিষয়ক প্রতিবেদন (প্রিন্ট) দুইটি পুরস্কার, আসিফ জামান সুমিত পেয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন বিষয়ক প্রতিবেদন (টেলিভিশন) পুরস্কার, দিপন দেওয়ান পেয়েছেন মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিবেদক (টেলিভিশন) পুরস্কার, আমানুর রহমান রনি পেয়েছেন মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিবেদন পুরস্কার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্র্যাব সভাপতি আবুল খায়ের। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্র্যাবের অন্যান্য সদস্যরা।