‘রাজনীতিবিদদের ক্ষমতার চেয়ার আর কারাগার পাশাপাশি থাকে’
যারা আমরা রাজনীতি করি, আমাদের ক্ষমতার চেয়ার আর কারাগার খুব পাশাপাশি থাকে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, তবে ২০০৭ সালে ক্ষমতা ছাড়াও কিন্তু সবার আগে আমাকেই গ্রেফতার করা হয়েছিলো।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে সদ্য যুক্ত হওয়া সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত সম্পূর্ণ নতুন ১ম ড্যাশ ৮-৪০০ ‘ধ্রুবতারা’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পরযটন মন্ত্রী মাহাবুব আলীসহ সংশ্লিষ্ট অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।
এর উদ্বোধন ঘোষণার পর একই অনুষ্ঠান থেকে প্রধানমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন স্থানে নবনির্মিত ২০টি ফায়ার স্টেশন, জেলা সদরে নবনির্মিত ৬টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, কেরানীগঞ্জে মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার এবং একটি এলপিজি স্টেশন’র উদ্বোধন ঘোষণা করেন। গণভবন প্রান্তসহ ভিআইপি লাউঞ্জ, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর, কাজী আলাউদ্দীন রোড যুক্ত ছিল। এই প্রান্তে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এখন একটু আমাদের হোম মিনিস্ট্রিতে যাই। যেটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যারা আমরা রাজনীতি করি, আমাদের ক্ষমতার চেয়ার আর কারাগার খুব পাশাপাশি থাকে। এটা খুবই স্বাভাবিক। আবার ২০০৭-এ যেটা হয়েছে; ক্ষমতা ছাড়াও কিন্তু সবার আগে আমাকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। কাজেই সেটা আমরা জানি, রাজনীতি করতে গেলে এটা করতেই হবে। সেইজন্য আমরা কারাগারগুলো উন্নত করে যাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে যে বিমানটা আমরা উদ্বোধন করতে যাচ্ছি, সেটা যেমন আমাদের আভ্যন্তরীণ যোগাযোগটা বাড়াবে, পাশাপাশি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সাথে একটা যোগাযোগ স্থাপন আমরা করতে পারব। কারণ আমরা এই উপমহাদেশে বাস করি, আমাদের ভৌগলিক অবস্থানটা এত চমৎকার। আমরা যদি শুধু আমাদের আশপাশের দেশগুলোর সাথে একটা ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করতে পারি, তাহলে আমাদের ব্যবসা বাণিজ্য থেকে শুরু করে সবদিক থেকে অনেক উন্নতি হতে পারে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে বিমানের নতুন উড়োজাহাজগুলোর নামকরণ বাংলাদেশের ‘প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে’ করা হচ্ছে।ইতোমধ্যে আমরা পালকি, অরুণ আলো, আকাশ প্রদীপ, রাঙা প্রভাত, মেঘদূত, ময়ূরপঙ্খী, আকাশ বীণা, হংস বলাকা, গাঙচিল, রাজহংস, অচিন পাখি, সোনারতরী নাম দিয়েছি। আর আজকে যেটা করতে যাচ্ছি, ওর নাম ধ্রুবতারা।