বেনাপোল বন্দরের এনজিও কর্মীর লাশ উদ্ধার
বেনাপোল স্থলবন্দরের ৩৭ নাম্বার পণ্যগারের এনজিও কর্মী হিসাবে পরিচিত আলামিন ইসলাম নয়ন নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুর্বৃত্তরা গলায় তার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। ঘটনা স্থল থেকে পুলিশ তার ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন জব্দ করেছে। পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বেনাপোল পৌরসভার দূর্গাপুর গ্রামের একটি বাগান থেকে পোর্টথানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
আলামিন ইসলাম নয়ন বেনাপোল পৌরসভার দূর্গাপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে। সে বন্দরের পণ্যগারে এনজিও কর্মীর পাশাপাশি মাঝে মধ্যে আমদানিকারকদের কাছ থেকে মালামাল ক্রয় করে বেঁচা-কেনা করতো।
নিহতর মামা সামসুর রহমান জানায়, তার ভাগ্নে বন্দরের একটি পণ্যগারে অস্থায়ীভাবে এনজিও কর্মীর কাজ করতো। গভীর রাত্রে কে বা কারা তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বাইরে যায়। তারপর বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর সকালে বিছানায় তাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ করা হয় । হঠাৎ দেখা যায় বাড়ির পাশে একটি গাছের নিচে তার মরদেহ পড়ে আছে। গলায় তার জাতীয় কিছু পেঁচিয়ে মখে কাপড় ঢুকিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। দ্রুত হত্যাকারীদের শনাক্ত করে সাজার দাবি জানান তিনি।
বেনাপোল বন্দরের ৩৭ নাম্বার পণ্যগারের সহকারী ট্রাফিক পরিদর্শক সন্দিপ ভৌমিক জানান, নয়ন তার পণ্যগারে মাঝে মধ্যে কাজে সহযোগিতা করতো। তবে এ হত্যার বিষয়ে তার কোন তথ্য জানা নেই।
যশোর গোয়েন্দা পুলিশের উপরিদর্শক(এসআই) শামিম হোসেন জানান, হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য তারা তার পরিচিত জনের সাথে কথা বলছেন। এছাড়া বিভিন্ন ভাবে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। আশা করছি খুব দ্রুত হত্যার রহস্য উদঘাটন হবে।
বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কারা তাকে হত্যা করতে পারে অনুসন্ধ্যান চলছে।