এক নজরে পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শেষ হলো পৌরসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ।

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) ২৪টি পৌরসভায় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে টানা ভোটগ্রহণ। ২৪টি পৌরসভাতেই ভোটগ্রহণ হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে)।

নির্বাচনে ২৪টি পৌরসভার মধ্যে ২৩টির ফলাফল পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ১৮টিতে আওয়ামী লীগ, তিনটিতে স্বতন্ত্র এবং দুইটিতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া ভোটগ্রহণ চলাকালে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের খানের মৃত্যুর কারণে খুলনার চালনা পৌরসভা নির্বাচনের মেয়র পদের ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়েছে।

ঢাকা: ঢাকার ধামরাই পৌরসভা নির্বাচনে ২১ হাজার ৬০৭ ভোটের ব্যবধানে বিএনপিকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের গোলাম কবির মোল্লা।

নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ২৩ হাজার ১১০ ভোট পেয়েছেন গোলাম কবির। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু পেয়েছেন ১ হাজার ৫০৩ ভোট।

বরগুনা: বেতাগী পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর থেকে ১১ গুণ বেশি ভোট পেয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এবিএম গোলাম কবির।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী পেয়েছেন ৬১০২ ভোট আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হুমায়ুন কবীর মল্লিক ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৫০৯ ভোট।

নেত্রকোনা: মদন পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম সাইফকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি পেয়েছেন ৩১৪১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দেওয়ান মোদাচ্ছের হোসেন শফিক পেয়েছেন ১৮৬৯ ভোট। 

চুয়াডাঙ্গা: মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন নৌকা প্রতীকে (৩৩ টা কেন্দ্রের মধ্যে ৩২ টার ফলাফল) ২১৬৩৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মজিবুল হক মালিক মজু মোবাইল ফোন প্রতীকে পেয়েছেন ৭৬০৭ ভোট।

মানিকগঞ্জ: মানিকগঞ্জে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. রমজান আলী ৩১ হাজার ৫৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আতাউর রহমান আতা ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন দুই হাজার ৩৩৪টি।

কুয়াকাটা: কুয়াকাটায় স্বতন্ত্র প্রার্থী জগ প্রতীকে মো.আনোয়ার হাওলাদার তিন হাজার ৩৩৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের আ. বারেক মোল্লা পেয়েছেন দুই হাজার ৬৮৪ ভোট।

কুড়িগ্রাম: আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা প্রতীক নিয়ে কাজিউল ইসলাম ১৯৭৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তার চেয়ে ১৪ হাজার ভোট কম পেয়েছেন।

ঠাকুরগাঁও: পীরগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল হক বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির রেজাউল করিম রাজা।

ময়মনসিংহ: গফরগাঁওয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থী এস এম ইকবাল হোসেন সুমন ১২৪১১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের প্রার্থী পেয়েছেন ১৯০ ভোট।

মৌলভীবাজার: বড়লেখায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী পাঁচ হাজার ৯৮৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইদুল ইসলাম মোবাইল ফোন প্রতীকে পেয়েছেন দুই হাজার চারশ ৮৪ ভোট। এছাড়া বিএনপির প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন মাত্র ৬২৪ ভোট।

কুষ্টিয়া: খোকসায় মেয়র পদে দ্বিতীয়বারের মতো ৯৩২৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকা প্রতীকের তারিকুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী নাফিজ আহমেদ পেয়েছেন ১৫৮৩ ভোট।

দিনাজপুর: ফুলবাড়ীতে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মাহামুদ আলম লিটন ৭৭৪৭ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান মেয়র মো. মুরতুজা সরকার মানিক জগ প্রতীকে পেয়েছেন ৭০৪০ ভোট। এছাড়া নৌকার প্রার্থী ৩৪৬০ এবং ধানের শীষ পেয়েছে ৩০৪২ ভোট।

হবিগঞ্জ: শায়েস্তাগঞ্জে বিএনপি প্রার্থী মো. ফরিদ আহমেদ অলি তিন হাজার ৮৪০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাসুদউজ্জামান মাসুক পেয়েছেন তিন হাজার ১৩৯ ভোট।

পঞ্চগড়: আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাকিয়া খাতুন ১২ হাজার ৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি তৌহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৯ হাজার ৪৭৫ ভোট।

রংপুর: বদরগঞ্জে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আহসানুল হক চৌধুরী টুটুল ৯৭৩৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্রপ্রার্থী আজিজুল হক পেয়েছেন ৪৪৭৮ ভোট। এছাড়া বিএনপির প্রার্থী ফিরোজ শাহ পেয়েছেন ২৯৮ ভোট।

বরিশাল: বাকেরগঞ্জ আওয়ামী লীগ প্রার্থী লোকমান হোসেন ডাকুয়া সাত হাজার ৪১ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে হাতপাখা প্রতীকের মাওলানা খলিলুর রহমান পেয়েছেন দুই হাজার ৪১১ ভোট। এছাড়া বিএনপির প্রার্থী পেয়েছেন ৯১৪ ভোট।

অপরদিকে, উজিরপুরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী গিয়াস উদ্দিন পাঁচ হাজার ৭০৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মো. শহিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৮৩৫ ভোট। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী কাজী মো. শহিদুল ইসলাম হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬৭৭ ভোট।

সিরাজগঞ্জ: শাহজাদপুরে নৌকার প্রার্থী মনির আক্তার খান তরু লোদী ২৯ হাজার ৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী মাহমুদুল হাসান সজল পেয়েছেন ১৮৬৭ ভোট।

সুনামগঞ্জ: দিরাইয়ে আওয়ামী লীগের বিশ্বজিৎ ৫৯১০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র মোশারফ মিয়া জগ প্রতীকে পেয়েছেন ৫৭৫৭ ভোট। এছাড়া বিএনপির প্রার্থী অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন চৌধুরী পেয়েছেন ১৯৬০ ভোট।

রাজশাহী: কাটাখালি পৌরসভার বর্তমান মেয়র আব্বাস আলী ১৬ হাজার ১৬৫ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জগ প্রতীকে জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক মাজিদুর রহমান পেয়েছেন ৮৫৬ ভোট।

অপরদিকে, পুঠিয়ায় ধানের শীষের প্রার্থী আল মামুন পাঁচ হাজার ৯২০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রবিউল ইসলাম পেয়েছেন পাঁচ হাজার ১৬০ ভোট।

পাবনা: চাটমোহরে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন সাখো (নৌকা) ছয় হাজার ৮১২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নান পেয়েছেন আটশ ৪২ ভোট।

চট্টগ্রাম: সীতাকুন্ডে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বদিউল আলম ১০ হাজার ৮২৯ ভোট পেয়েছেন নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আবুল মনছুর পেয়েছেন তিন হাজার ৭২ ভোট।

   

বগুড়ার নিউ মার্কেটে স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় নিউ মার্কেটের একটি স্বর্ণের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি হয়েছে। শহরের নিউ মার্কেটে আল তৌফিক জুয়েলার্সে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতের কোন এক সময়ে এই চুরির ঘটনা ঘটে। দোকানটি থেকে প্রায় ১২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি করেছে বলে জুয়েলার্সের মালিকপক্ষ দাবি করেছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

জুয়েলার্সের মালিক কামরুল হোসেন জানান, শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে দোকানের ম্যানেজার তাকে ফোন দিয়ে জানায় যে দোকানের তালা ভাঙা এবং দোকান খোলা। এছাড়াও মেঝেতে স্বর্ণের কিছু জিনিসও পড়ে আছে। খবর পেয়ে তিনি দোকানে যান। মার্কেটের ব্যবসায়ী ও মালিক সমিতির নেতারাও তখন তার দোকানে পৌঁছান। তারা বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরেদর্শন করে।

তিনি বলেন, ‘দোকানে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও রাতে বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে দেওয়ায় সেটি সচল ছিলনা। দোকানের প্রায় ১২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য দেড় কোটি টাকা।’

জুয়েলার্সের ম্যানেজার ধলু মিয়া বলেন, ‘রাতে দোকানের ডিসপ্লেতে যে সোনার জিনিসপত্র ছিলো, দোকানে এসে সেগুলোর একটাও পাওয়া যায়নি। দোকানের সিন্দুকে (লকার) থাকা সোনা ও গহনা চোরেরা নিতে পারেনি।’

বগুড়া নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম সরকার বলেন, ‘মার্কেটের নিরাপত্তা (সিকিউরিটি) আরও বাড়ানো দরকার। দোকানীরা দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তা প্রহরীর টাকা বাঁকি রাখে, এরফলে প্রহরীর সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব হয়না। মার্কেটে সকল দোকানীকে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কথাও বলা হয়েছে। এবার নিরাপত্তার বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক ফইম উদ্দিন বলেন, নিউ মার্কেটে জুয়েলারি দোকানে চুরির খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত শুরু করা হয়েছে।’ ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

 

;

তীব্র গরমে জীবন ওষ্ঠাগত চিড়িয়াখানার প্রাণীদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তীব্র গরমে জীবন ওষ্ঠাগত চিড়িয়াখানার প্রাণীদের

তীব্র গরমে জীবন ওষ্ঠাগত চিড়িয়াখানার প্রাণীদের

  • Font increase
  • Font Decrease

শুধু মানুষ নয়, অসহনীয় গরমে স্বস্তিতে নেই মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানার প্রাণিকুল। প্রচণ্ড দাবদাহে জীবন ওষ্ঠাগত খাঁচার প্রাণীদের। গত কয়েকদিন ধরে ৩৪-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠা নামা করছে তাপমাত্রা। তবে শরীরে অনুভূত হচ্ছে আরও বেশি এমন তথ্য আবহাওয়া অফিসের।

এমন পরিস্থিতি আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য বলছে, চৈত্র মাসের শেষের দিন থেকেই শুরু হয়েছে দাবদাহ। যা আগামী কয়েকদিন চলমান থাকবে। ফলে অসহনী তাপমাত্রার কারণে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। গরমে প্রভাব পড়ছে প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যে।

মঙ্গলবার ( ১৬ এপ্রিল) সরজমিন জাতীয় চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখা গেছে, দাবদাহের কারণে পরিবেশের উপর যেমন বিরূপ প্রভাব পড়েছে। প্রচণ্ড গরমে মানুষ দুর্বিষহ জীবন পার করছে, তেমনি, হাঁসফাঁস অবস্থা প্রাণী কুলেরও। বিশেষ করে চিড়িয়াখানার বন্দি প্রাণীদের অবস্থা নাজুক। গরম থেকে বাঁচতে ছায়া স্থানে আশ্রয় ও পানিতে নেমে প্রশান্তি পেতে নেওয়ার চেষ্টা করছে পশুপাখিরা। গরমে প্রভাবে অনেক পশুপাখির মধ্যে খাবার গ্রহণে অনীহা দেখা দিয়েছে ।

প্রচণ্ড গরমে পানিতে বসে আছে বাঘ

একটু ঠান্ডা প্রশান্তির পেতে খাঁচার ছায়া যুক্ত স্থানে বসে থাকতে দেখা গেছে বক, ময়ূর, কুমির ও অন্যান্য প্রাণীকে।

বাঘের খাঁচায় ব্যস্ততা নেই খাবার সংগ্রহে। গরম থেকে বাঁচতে ছায়া বসে খুনশুটি করছে বাঘ গুলো নিজেদের মধ্যে। প্রশান্তি পেতে নমনীয় হয়ে পানিতে বসে বিশ্রাম নিচ্ছে বাঘ।

এছাড়া তীব্র গরম থেকে বাঁচতে চিত্রা হরিণের পাল নেড়ছেন না গাছের নিচ থেকে। নিজেদের বিচরণের জন্য বিশাল জায়গা থাকলেও বসে আছেন গাছে ছায়ায়। এছাড়া ব্যস্ততা নেই বানরের। নাকাল অবস্থা কুমিরেরও। কুমির খাঁচায় অল্প পানি রোদের তাপে গরম হওয়ায় বাধ্য হয়ে খাঁচার মধ্যেকার কৃত্রিম ডাঙ্গায় হাঁসফাঁস করছে কুমির।

এদিকে জলহস্তিদের দেখা মিলছে না পানির উপরিভাগে। গভীর পানিতে ডুবে থাকছে জলহস্তী। বেশ কয়েকটি জলহস্তীকে দেখা গেছে পুকুরের পাড়ের ছায়ায় ঠাঁই নিতে। এমন অবস্থায় প্রাণীদের বাঁচাতে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার। স্যালাইন ও পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে। তীব্র গরমের যেন হৃদ্‌রোগ না হয় সে লক্ষ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলছেন বিশেষজ্ঞরা।


ভেটেরিনারি সার্জন মো. ওয়ালিউর রহমান বলেন, প্রাণীদের ডি হাইড্রেশন থেকে বাঁচাতে এ সময় প্রচুর পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে। ভিটামিন সি জাতীয় খানার ও স্যালাইন খাওয়াতে হবে। এতে হার্ট অ্যাটাক বা অন্য উপসর্গ থেকে বাঁচানো যাবে।

এদিকে প্রাণীদের গরম থেকে বাঁচাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিড়িয়াখানা কিউরেটর মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, গরমের জন্য আমরা নানা ধরনের ব্যবস্থা আগে থেকেই নিয়ে রেখেছি। খাঁচার হাউসের পাশাপাশি গামলায় পানি রাখা হয়েছে। যাতে প্রাণীরা সেখানে গা ভেজাতে পারে। কিছুক্ষণ পরপর সাধারণ তাপমাত্রার পানি দেওয়া হচ্ছে। ভিটামিন সি ও স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত চিড়িয়াখানা কোনো পশুপাখি অসুস্থ হয়নি।

;

লেজুড়বৃত্তির ছাত্র রাজনীতি গ্রহণযোগ্য নয়: আইনুন নিশাত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ছাত্ররা লেজুড়ভিত্তিক রাজনীতি করবে এটা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকার এফডিসিতে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ড. আইনুন নিশাত বলেন, এখন ছাত্র রাজনীতির কথা শুনলে ভয় হয়। ছাত্র রাজনীতিতে র‌্যাগিং, চাঁদাবাজি, ক্ষমতার অপব্যাবহার কাম্য নয়।

ছাত্র রাজনীতি লাভজনক পেশায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বুয়েটের শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলের জন্য ব্যাপক পড়াশোনা করতে হয়। তাই লেজুড়ভিত্তিক অপরাজনীতি বুয়েটের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সহায়ক পরিবেশ বিঘ্নিত করে। বুয়েট অ্যালামনাই সদস্যদের মতেও সেখানে ছাত্র সংসদ থাকতে পারে কিন্তু লেজুড়ভিত্তিক রাজনীতি নয়।

তিনি আরও বলেন, আদালত ছাত্র রাজনীতির পরিধি নির্ধারণ করে নির্দেশনা প্রদান করলে বিশ্ববিদ্যালয়সমুহ সে আলোকে আচরণবিধি প্রণয়ন করতে পারে। বিইউপি, এমআইএসটি ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি নেই। তবে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের মতামত ও দাবি-দাওয়া শোনার ব্যবস্থা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক রাজনীতির সাথে ছাত্র রাজনীতির সম্পর্ক দৃশ্যমান হওয়ায় প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে ছাত্রদের হস্তক্ষেপ বাড়ছে।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বুয়েটের ছাত্র রাজনীতি নিয়ে চলমান যে পরিস্থিতি চলছে তা ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক ও অ্যালামনাইসহ সকল পক্ষের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে বুয়েট কর্তৃপক্ষ আদালতের মাধ্যমে সমাধান করা উচিৎ। বুয়েটের ছাত্র সংসদের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। বুয়েট যেহেতু একটি বিশেষায়িত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাই বুয়েটের ছাত্র রাজনীতি ও ছাত্র সংসদ তাদের মতো করেই হওয়া উত্তম।

;

গাইবান্ধায় বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার সাঘাটায় অনলাইনে জুয়া খেলতে গিয়ে ক্যামেরা বন্ধকের জেরে বন্ধুর হাতে খুন হয়েছে আরেক বন্ধু। ঘুমের ট্যাবলেট মিশ্রিত কোমলপানীয় পান করে অজ্ঞান হলে বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে ফেলে হত্যা করা হয় কিশোরকে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার উপজেলার পশ্চিত বাড়ী গ্রামের এক পুলিশ সদস্যের বসত বাড়ীর পিছনের সেফটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে সাঘাটা থানা পুলিশ। এর আগে গত ১৭ এপ্রিল বন্ধু রিফাতের বাড়িতে ক্যামেরা আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয় কিশোর।

খুন হওয়া কিশোরের নাম সম্রাট মিয়া (১৭)। সম্রাট ওই উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের আফজাল হোসেনের ছেলে। এছাড়া অভিযুক্ত রিফাত (১৭) সাঘাটা উপজেলার পশ্চিম বাটি গ্রামের মিলন হাজারীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত সম্রাট এবং অভিযুক্ত রিফাত একে অপরের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তারা দুজনে একই বিদ্যালয়ের একই ক্লাসের শিক্ষার্থীও। সম্প্রতি অনলাইন জুয়া খেলে টাকা খোয়ান (হারেন) সম্রাট। টাকা হেরে সম্রাট তার ক্যামেরা বন্ধু রিফাতের কাছে দশ হাজার টাকায় বন্ধক রাখেন। তার কয়েকদিন পরে বন্ধু রিফাতের কাছে ক্যামেরা ফেরত নিতে যান সম্রাট।

কিন্তু এ সময় সম্রাট জানতে পারেন রিফাত অনলাইন জুয়ায় টাকা হেরে বন্ধক নেওয়া ক্যামেরা বগুড়ায় ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। পরে বন্ধক নেওয়া ক্যামেরা বিক্রি করা নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়।

এর জেরেই গত ১৭ এপ্রিল পরিকল্পিতভাবে সম্রাটকে ক্যামেরা নিতে নিজ বাড়িতে ডাকেন রিফাত। একইদিন বিকেলে সম্রাট বন্ধু রিফাতের বাড়িতে ক্যামেরা নিতে এসে এদিন থেকেই নিখোঁজ হয়।

পরে অনেক খোঁজাখুঁজির করে সন্তানকে না পেয়ে পর দিন (১৮ এপ্রিল) নিখোঁজ সন্তানের সন্ধান চেয়ে সাঘাটা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে সম্রাটের পরিবার।

যেখানে (জিডি) তারা রিফাতের ডাকে সম্রাট বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি বলে উল্লেখ করেন। পরে ওই জিডি মূলে গতকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে জিজ্ঞাসাবাদের রিফাতকে আটক করে সাঘাটা থানা পুলিশ। আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বন্ধু সম্রাটকে খুন করে সেপটিক ট্যাংকে গুম করে রাখার কথা স্বীকার করে অভিযুক্ত রিফাত। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একই দিন রাত ১টার দিকে পশ্চিত বাড়ী গ্রামের এক পুলিশ সদস্যের বসত বাড়ীর পিছনের সেফটিক ট্যাংক থেকে নিহত সম্রাটের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন গাইবান্ধার সহকারি পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) আব্দুল্লাহ আল মামুন। এসময় তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, বন্ধক রাখা ক্যামেরা বিক্রি করা নিয়ে দুই বন্ধুর দ্বন্দ্বের জেরে এক বন্ধু অপর বন্ধুকে হত্যা করে। অভিযুক্ত রিফাত পরিকল্পিতভাবে তার বন্ধু সম্রাটকে কোমলপানীয়র সাথে ৭/৮ টি ঘুমের ট্যাবলেট মিশ্রিত পানি পান করান। যা খেয়ে খুব দ্রুত ঘুমিয়ে পরে সম্রাট। পরে ঘুমন্ত সম্রাটকে সেপটিক ট্যাংকেকে ফেলে হত্যা করা হয়। যা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত রিফাতকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ঘটনার সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

 

;