অস্ত্র মামলায় নূর হোসেনের যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি নূর হোসেনকে অস্ত্র আইনের আরও একটি মামলায় যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ( ৬ জানুয়ারি) দুপুরে নূর হোসেনের উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন।
এর আগে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর নুর হোসেন ও তার ৫ সহযোগীকে এক ব্যবসায়ীর দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলার রায়ে খালাস দেন আদালত।
একই আদালতে নূর হোসেনের বিরুদ্ধে আরও ৬টি মামলার শুনানি হয়।
উল্লেখ্য, ৬টি মামলার মধ্যে ২০১৪ সালে ৭ খুনের পর নূর হোসেনের সিদ্ধিরগঞ্জের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নূর হোসেনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে ৩টি মামলা করে পুলিশ। ২০১৪ সালের ১২ জুন ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে অটোরিকশাচালক সাইদুল ইসলামের মামলায় নূর হোসেন, তার ভাই নূর উদ্দিন, তাদের ভাতিজা শাহজালাল বাদল, লোকমানসহ ৪ জনকে আসামি করা হয়।
সাত খুনের পর নূর হোসেনের বৈধ অস্ত্রটির লাইসেন্স বাতিল করে জেলা প্রশাসন। সেটি জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু সেটি জমা না দিয়ে নূর হোসেন দেশের বাইরে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে ঢাকার ফেরার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ফতুল্লার লামাপাড়া থেকে অপহরণ করা হয় সিটি করপোরেশনের তৎকালীন প্যানেল মেয়র ও ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু সিরাজুল ইসলাম লিটন, সহযোগী মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, স্বপনের গাড়ি চালক জাহাঙ্গীরকে।
ওই ঘটনা দেখে ফেলায় নজরুলের গাড়ির পেছনে থাকা আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিমও অপহৃত হন।
তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে মেলে ছয়জনের মরদেহ। ১ মে নজরুলের বন্ধু সিরাজুল ইসলাম লিটনের মরদেহও নদীতে ভেসে ওঠে।