পটুয়াখালীতে আমন ধানের ভালো দামে খুশি কৃষক
ফলন কিছুটা কম হলেও আমন ধানের ভালো দাম পাওয়ায় খুশি পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় এলাকার কৃষকরা। গত বছরের থেকে এবার মন প্রতি আড়াইশ থেকে তিনশ টাকা বেশি দামে ধান বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা পাশাপাশি চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে এবারও এই জেলা থেকে ধান এবং চাল সংগ্রহ করছে সরকার। আর এ কারণেই ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ অঞ্চলের কৃষকদের প্রধান ফসল আমন ধান। একটা সময় ছিলো যখন কৃষকদের উৎপাদিত এই ধানের ন্যায্য মূল্য থেকে তারা বঞ্চিত হতো। নামমাত্র দামে বাধ্য হয়ে বেপারী কিংবা ফরিয়াদের কাছে ধান বিক্রি করতে হতো। তবে গত কয়েক বছর সরকারিভাবে ধান চাল সংগ্রহের পরিমাণ বাড়ানোর কারণে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেছে।
এবারও প্রতিকেজি ধান ২৬ টাকা দরে কৃষকরা সরকারি গোডাউনে সরবরাহ করতে পারছেন। ফলে গত বছর প্রতিমন ধান ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা মণে বিক্রি হলেও এবার সেই ধান হাজার টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। এ কারণে খুশি এই এলাকার কৃষকরা।
এদিকে ধান পরিবহন করতে গিয়ে অনেক ব্যসায়ীকে চাঁদার শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযাগ ট্রাক চালক ও মালিকদের। ধানের বাড়তি দামের পাশপাশি পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় তা চালের বাজারে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন তারা।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার খাদ্য কর্মকর্তা বিএম শফিকুল ইসলাম জানান, এবারও পটুয়াখালী জেলার সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে খাদ্য বিভাগ ৪ হাজার ৮৮৮ মেট্রিকটন আমন ধান সংগ্রহ করছে। এ ছাড়া মিলারদের কাছ থেকে ৪ হাজার ৫৩৩ মেট্রিকটন চাল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ধানের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে সরকার প্রথম ধাপে সফল হলেও আগামীতে চালের বাজার স্থীতিশীল রাখাকে এখন বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বাজার ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িতরা।