জামুকার যাচাই-বাছাইয়ের তালিকায় নাম থাকায় বিব্রত মুক্তিযোদ্ধারা!
যাচাই-বাছাইয়ের নামে প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মানের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী দুই মুক্তিযোদ্ধা ।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় নগরীর ফকিরবাড়ী রোডস্থ বাসদ জেলা কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন অ্যাডভোকেট তপন কুমার চক্রবর্তী ও খান আলতাফ হেসেন ভুলু।
লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) যৌথভাবে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু করে।
এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যে সকল গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম লাল বই, মুক্তিবার্তা, ভারতীয় তালিকা বা মন্ত্রণালয় ঘোষিত ৩৩টি প্রমাণকের একটিতেও থাকবে তারা এই যাচাই-বাছাই কার্যক্রমের অর্ন্তভুক্ত হবে না। অথচ ঘোষিত প্রমাণকে নাম থাকা সত্ত্বেও বরিশালের অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের মূল তালিকা থেকে বাদ দিয়ে জামুকা কর্তৃক প্রকাশিত যাচাই-বাছাই তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। যা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অত্যন্ত অপমানজনক ও বিব্রতকর।
তারা আরও বলেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম প্রকাশ করে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়। তাতেই প্রমাণ হয় যে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় অমনোযোগী আর অবহেলায় এই তালিকা প্রকাশ করে। একই ধারাবাহিকতায় চক্রান্ত ও পরিকল্পিতভাবে জামুকার যাচাই-বাছাই তালিকায় ৫ নম্বরে অ্যাডভোকেট তপন কুমার চক্রবর্তী, ২৬ নম্বরে খান আলতাফ হোসেনের নাম প্রকাশ করা হয়। অথচ তাদের মুক্তিযোদ্ধা তথ্য সংবলিত লাল বইতে তপন কুমার চক্রবর্তী (ক্রমিক নং ০৬০১০১০১০৮ ও মুক্তিবার্তায় খান আলতাফ হোসেনের ক্রমিক নং ০৬০১০১১০৭৫) নাম রয়েছে। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধার বেসামরিক গেজেটে নাম ও তাদের সাময়িক সনদ রয়েছে ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা বাসদের আহ্বায়ক প্রকৌশলী ইমরান হাবিব রুমন রুম্মন ও সদস্য সচিব মনিষা চক্রবর্তীসহ বাসদ নেতৃবৃন্দ।