চুয়াডাঙ্গার প্রবীণ শিক্ষাবিদ ফাতেমা-তুজ-জোহরা’র ইন্তেকাল
মাত্র চার দিন আগে জ্যেষ্ঠ পুত্র বিয়োগের শোক কাটিয়ে উঠতে পারলেন না মা। চুয়াডাঙ্গার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ফাতেমা-তুজ-জোহরা (১৯৩২-২০২১) শনিবার (৯ জানুয়ারি) ভোরে নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেউন।
চারদিন আগে, ৫ জানুয়ারি, তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্রের মৃত্যুতে তিনি শোকাহত ছিলেন। বার্ধক্য জনিত নানা রোগে ভুগছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।
প্রয়াত ফাতেমা-তুজ-জোহরা দীর্ঘকাল শিক্ষকতার পর চুয়াডাঙ্গা শহরের রাহেলা খাতুন গার্লস একাডেমীর প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
মেহেরপুরের খ্যাতনামা চিকিৎসক ও সমাজসেবী মরহুম ডাঃ জাফর আলী ও সাহার বানুর জ্যেষ্ঠা কন্যা ফাতেমা-তুজ-জোহরা, তের ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয়।
তাঁর জন্ম ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার চৌগাছা গ্রামে মাতুলালয়ে।
অধ্যবসায়ী ফাতেমা-তুজ-জোহরা বিয়ের পর মেহেরপুর বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং চুয়াডাঙ্গা থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। পরে রাজশাহী থেকে তিনি বিএড পাশ করেন।
তিনি এক ভাই, চার বোন, দুই কন্যা বিশিষ্ট শিক্ষিকা রওশন আরা সামাদ (লুলু) ও চিকিৎসক ডাঃ ফেরদৌস আরা হেদায়েত (বুলু), নাতি-নাতনী, আত্মীয়-স্বজন ও ছাত্র-ছাত্রী রেখে গেছেন।
বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্য জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন তাঁর প্রয়াত সেজ বোনের ছেলে। কানাডা প্রবাসী সাংবাদিক সৈকত রুশদী তাঁর বড় ভাইয়ের ছেলে।
১৯৭১ সালে তিনি স্বামী মোহাম্মদ শমসের আলীকে হারান। ১৯৮৬ সালে হারান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কনিষ্ঠ পুত্র রফিকুল আলম (তুষার)-কে। জ্যেষ্ঠ পুত্র সাজেদুর রহমান (সাজ্জাদ) ফাতেমা-তুজ-জোহরা চুয়াডাঙ্গায় নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন গত ৫ জানুয়ারী।
জানাজা ও দাফন
শনিবার চুয়াডাঙ্গা কবরস্থান সংলগ্ন মসজিদে জোহরের নামাজের পর মরহুমা ফাতেমা-তুজ-জোহরা'র নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মরহুমার আত্মীয়, প্রতিবেশী, ছাত্র-ছাত্রী ও শুভানুধ্যায়ীরা জানাজার নামাজে শরীক হন।
জানাজার পর চুয়াডাঙ্গা কবরস্থানে তাঁর সদ্যপ্রয়াত পুত্রের কবরের পাশেই দাফন করা হয়।