তারা মিয়ার অটোরিকশায় চড়লেই বই পড়ার সুযোগ!
তারা মিয়ার অটোরিকশায় চড়লেই যাত্রীরা পাবেন বই পড়ার সুযোগ। ব্যাটারিচালিত তার এই রিকশাটিতে বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে বিভিন্ন বই। যারাই এতে চড়বেন- মন চাইলে রাস্তায় যেতে যেতে পড়তে পারবেন এসব বই।
ভ্রাম্যমাণ এ রিকশা পাঠাগারের দেখা মিলবে নেত্রকোনার পর্যটন এলাকা দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায়।
রোববার (১০ জানুয়ারি) বিকালে দুর্গাপুর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এ পথ পাঠাগারের ভ্রাম্যমাণ শাখার উদ্বোধন করা হয়। এ পথ পাঠাগারের উদ্বোধন করেন দুর্গাপুর উপজেলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রবীণ ব্যক্তি সুরৎ চন্দ্র দে।
এ সময় দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক সাহাদাত হোসেন কাজল, সিনিয়র সাংবাদিক মোহন মিয়া, সাংবাদিক জামাল মিয়া, রাখী দ্রং, পথ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি নাজমুল হুদা সারোয়ার, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজেশ গৌড়, পলাশ সাহাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে অটোরিকশা চালক তারা মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় অর্থের অভাবে পড়াশোনা করতে পারিনি। তবে আমার স্বপ্ন হলো আমার মতো আর কেউ যেন নিরক্ষর হয়ে রিকশা না চালাতে হয়। তাই আমি চাই সবাই বই পড়ুক এবং ভালো মানুষ হোক। মূলত বইবিমুখ মানুষকে বই পড়তে আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যেই আমার অটোরিকশায় পথ পাঠাগারের শাখা স্থাপন করেছি। এতে আমি খুবই গর্বিত।
এ নিয়ে পথ পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি কবি নাজমুল হুদা সারোয়ারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পাঠের অভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে পথ পাঠাগার। আমাদের লক্ষ্য হল দেশের বিভিন্ন স্থানে পথে পথে পাঠাগার সৃষ্টি করা। এরই মধ্যে আমরা ভাসমান পাঠাগার শাখা, সেলুন পাঠাগার শাখাসহ ১২টি শাখা স্থাপন করেছি। এবার আমরা রিকশায় পাঠাগার শাখা উদ্বোধন করেছি এবং তা অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর উপজেলার কবি লোকান্ত শাওনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, দুর্গাপুর একটি পর্যটন এলাকা। এখানে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসে ভ্রমণপিপাসু মানুষ। রিকশা পাঠাগার স্থাপন পথ পাঠাগারের একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। মানুষের মধ্যে পাঠ অভ্যাস গড়ে তোলার চমৎকার একটি আয়োজন এটি। এমন উদ্যোগের জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান তিনি।