দলের কোন প্রয়োজনে খোকনকে পাওয়া যায়নি: তাপস



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন সম্পর্কে বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আমি আসলে ব্যক্তিগতভাবে কাউকে আক্রমণ করতে চাই না। তবে এটা সত্য, উনার (সাঈদ খোকনের) রাজনৈতিক জীবনে দলীয় সংগঠনের প্রয়োজনে কোন সময় উনাকে পাওয়া যায়নি, জাতির ক্রান্তিলগ্নেও উনাকে পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে সাকরাইন উৎসব উপলক্ষে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

মেয়র তাপস বলেন, আমি অবাক হয়েছি তিনি একটি সভা করলেন, সেই সভায় যে বক্তব্য দিয়েছে সেটা পুরোপুরি বোঝা গেছে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করার জন্য সেই বক্তব্য। বক্তব্যের কারণ ছিল আমাকে কিভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা যায়, মানুষের কাছে ছোট করা যায় এবং আমাকে কিভাবে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা যায়। সেটাই ছিল উদ্দেশ্য।

মধুমতি ব্যাংকে টাকা হস্তান্তরের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উনি মধুমতি ব্যাংকে টাকা হস্তান্তর বিষয়ে যেটা বলেছেন এটা খুবই বিভ্রান্তিকর বক্তব্য। মধুমতি ব্যাংক ২০১৩ সালে স্থাপিত চতুর্থ প্রজন্মের একটি ব্যাংক। মধুমতি ব্যাংক গত সাত বছর যাবত অত্যন্ত সুনামের সাথে পরিচালিত একটি ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য সকল সংস্থার কাছে একটি সমাদ্রিত ব্যাংক। বেসরকারি ব্যাংক হিসেবে সকল সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করে থাকে। আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করার আগেও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাথে মধুমতি ব্যাংকের ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। তখনো আমানত হিসেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অর্থ মধুমতি ব্যাংকে ছিল, এখনো আছে। শুধু আমানত না সেবামূলক যে ব্যবস্থাগুলো আছে যেমন হোল্ডিং ট্যাক্স, অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে টাকা আদায় করা এগুলো অন্যান্য বেসরকারি ব্যাংক বা সরকারি ব্যাংক যেভাবে পরিচালনা করে থাকে মধুমতি ব্যাংকেও তাই করেছে। সুতরাং মধুমতি ব্যাংকে আমি একজন শেয়ারহোল্ডার হিসেবে বা পরিচালক পদে সেখানে কোন অযাচিত বা দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কিছু করা হয়েছে এরকম না, কথাটি সত্যি না। আর সেটা মোটেই সাংঘর্ষিক না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মনীতি প্রতিপালন করে সরকারি বিধিমালা পরিপালন করে যেভাবে আমানত নিয়ে থাকে মধুমতি ব্যাংকও তাই করেছে। এমন কোনো কিছু কেউ দেখাতে পারবে না, যেখানে ব্যত্যয় করে আইন বহির্ভূতভাবে অনৈতিকভাবে কোন কিছু করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা পালন করেই আমানত রাখা হয়েছে।

মেয়র আরও বলেন, আগে নীতিমালা ছিল সরকারি সকল অর্থের ৭৫ ভাগ সরকারি ব্যাংকে এবং ২৫ ভাগ বেসরকারি ব্যাংকে রাখার। এটা এখন আর একটু উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এখন ৫০ ভাগ সরকারি ব্যাংকে এবং ৫০ ভাগ বেসরকারি ব্যাংকে রাখা যায়। সকল বেসরকারি ব্যাংকই এসকল অর্থ আমানত হিসেবে রাখে। আমানত হিসেবে একটি সুনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রাখা হয় এবং সেই সময় পার হলে সেই অর্থ আবার সেই সংস্থা বা সেই প্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসা হয়।

মেয়র বলেন, আমরা যখন দায়িত্বভার গ্রহণ করেছি তখন কিন্তু ঘাটতি ছিল। প্রায় আড়াইশো কোটি টাকার মতো ঘাটতি নিয়ে আমরা যাত্রা শুরু করি। আজকে কিন্তু ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আমানত রাখার মত অবস্থায় গিয়েছে। গত ছয় মাসে ৩৩৫ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করেছি। সুতরাং আমরা এই পর্যায়ে এসেছি যে আমার হাত রাখার মত অবস্থায় গিয়েছে। উনি যদি মন্তব্যটা আগে করতেন তাহলে এক রকম। যখন আমরা অভিযান পরিচালনা করলাম, মামলা হলো তখন তিনি সেটাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য আমার ওপর ব্যক্তিগত আক্রোশে তিনি এ বক্তব্য দিয়েছেন। আক্রোশে করা কোন মন্তব্যের কোন জবাব দিতে চাইনি। আমাদের অভিযান অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে। অভিযান কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়। এ ব্যাপারে আর কেউ প্রশ্ন করবেন না আর কোন প্রশ্নের দরকার নেই, আর এ ব্যাপারে আমি কোনো উত্তর দেবো না।

তিনি বলেন, আমাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, চলবে। 

   

রাঙামাটিতে মাথা বিচ্ছিন্ন মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটি শহরের অদূরে সদর উপজেলাধীন জীবতলীর আগরবাগান এলাকায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রাঙামাটি কোতয়ালী থানার পুলিশ স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে সদর উপজেলার জীবতলী ইউনিয়নের এক নম্বর আগরবাগান এলাকার জঙ্গল থেকে এ মরদেহটি উদ্ধার করে।

এসময় নিহতের মাথা একটি গাছের সাথে রশিতে ঝুলে থাকলেও মরদেহের বিচ্ছিন্ন দেহটি মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধারকারী পুলিশ সদস্যরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এক অজ্ঞাত ব্যক্তির বিচ্ছিন্ন মাথা রশিতে ঝুলছে এবং মরদেহটি নিচে পড়ে আছে।

তিনি জানান, মরদেহটি ২০-২৫ দিন আগের হতে পারে।

এদিকে, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডাঃ শওকত আকবর খান জানিয়েছেন, মরদেহটি সন্ধ্যার পরে হাসপাতালে আনা হয়েছে। মরদেহের শরীরে মাংস নেই বললেই চলে আর এটি বেশ কিছুদিন আগের। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

;

নওগাঁয় চুরি হওয়া স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার, গ্রেফতার ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
নওগাঁয় চুরি হওয়া স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার, গ্রেফতার ৩

নওগাঁয় চুরি হওয়া স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার, গ্রেফতার ৩

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁ সদর উপজেলার পুরাতন কাঠহাটি এলাকা থেকে জানালার লোহার গ্রিল কেটে চুরি হয়ে যাওয়া স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করেছে নওগাঁ সদর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এর আগে, এদিন সকালে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সদর উপজেলার সরল শিকারপুর গ্রামের মৃত খোকা মন্ডলের ছেলে শামীম হৃদয় (২৪), নিরব সাজেদুর (২৭) ও আরজি নওগাঁ মধ্যপাড়ার কালু বাবুর ছেলে সরল হোসেন (২০)।

জানা যায়, গত ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় পুরাতন কাঠহাটি এলাকায় মাহবুবুর রহমানের বাড়িতে জানালার লোহার গ্রিল কেটে চোরের দল ঘরে ঢুকে এক জোড়া স্বর্ণের ঝুমকা, একটি স্বর্ণের কণ্ঠমালা, এক জোড়া স্বর্ণের পাশা এবং এক জোড়া ব্রোঞ্জ ও স্বর্ণের সমন্বয়ে নক্সা মুখবালা চুরি করে নিয়ে যায়। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। ঘটনার পর পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এরপর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হকের দিক নির্দেশনায় নওগাঁ সদর থানা-পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত শুরু করে। এক পর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত থাকায় শামীম, সাজেদুর ও সরল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া সকল স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়।

;

সূর্যের প্রখরতায় জনজীবনে অস্বস্তি, ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশাখের শুরু থেকেই সারাদেশে সূর্যের প্রখরতা বাড়ছে। সূর্য উদয় থেকেই তেজদীপ্ততা শুরু হয়, সেই থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত তীব্র তাপদাহে নাভিশ্বাস হয়ে উঠছে জনজীবন। শুধু তাই নয় রাতেও ভ্যাপসা গরমে হাঁপিয়ে উঠছে মানুষ। এতে জনজীবনে বাড়ছে অস্বস্তি। দেশের এমন পরিস্থিতি আগামী তিন দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এ সতর্কবার্তা জানিয়েছেন।

তিনি জানান, দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপ প্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল) থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বাড়লেও রাতে অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়তে পারে।

এদিকে আজ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। বেলা তিনটায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৭ শতাংশ। বৃষ্টি না হওয়ায় এ তাপপ্রবাহ চলছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।

 

;

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বিজিপির আরও ১১ সদস্য বাংলাদেশে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

২৪ ঘণ্টা না পেরোতে আবারো ১১ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় তারা। এ নিয়ে বর্তমানে ২৮৫ জন মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং সীমান্তরক্ষী বিজিবি সদস্য আশ্রয় গ্রহণ করে বাংলাদেশে অবস্থান গ্রহণ করছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) নতুন করে টেকনাফের জীম্বংখালী সীমান্ত দিয়ে ৩ জন এবং হাতিমারাঝিরি ৮ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয় গ্রহণ করেন। 

এর আগে গতকাল রাতে টেকনাফের নাফ নদী পার হয়ে কোস্ট গার্ডের কাছে ১৩ জন বিজিপি সদস্য আত্মসমর্পণ করে। পরে কোস্টগার্ড বিজিপি সদস্যদেরকে বিজিবি'র নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নে (১১ বিজিবি) হস্তান্তর করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, গতকাল ১৩ জন এবং আজকে ১১ জন বিজিপি সদস্য টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২৮৫ জন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। তারা সবাই বিজিবি হেফাজতে আছে।   

;