মা-মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে ধর্ষকের যাবজ্জীবন
জুসের সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে মা-মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে আওলাদ হোসেন (৪২) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক। ২০১১ সালের ২৭ জুন রাতে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উত্তর খানপুর গ্রামে ধর্ষণের এই ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন আসামির অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আওলাদ হোসেন শিবালয় উপজেলার উত্তর খানপুর গ্রামের আকালী মিয়ার ছেলে।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৭ জুন রাতে উত্তর খানপুর গ্রামের এক দিন মজুরের স্ত্রী ও মেয়েকে কৌশলে জুস পান করায় আসামি আওলাদ হোসেন। আসামির দেওয়া ওই জুস পান করার পর মা-মেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর রাতভর মা-মেয়েকে ধর্ষণ করে ঘরে থাকা দেড় ভরি স্বর্ণ ও নগদ ১০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় আসামি আওলাদ।
পরদিন সকালে বিবস্ত্র অবস্থায় মা-মেয়েকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় জ্ঞান ফেরার পর স্বামীর নিকট পুরো ঘটনা বর্ণনা করেন তার স্ত্রী। পরে আওলাদ হোসেন এবং তার দুই সহযোগী আয়নাল ও আমজাদ হোসেনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন দিনমজুর স্বামী।
মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি আয়নাল ও আমজাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস দেন এবং আসামি আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করে রায় ঘোষণা করেন আদালতের বিচারক। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন- স্পেশাল পিপি অ্যাড. একেএম নূরুল হুদা রুবেল এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন- অ্যাড. ফারুক হাসান।