সড়ক আবর্জনামুক্ত রাখতে মসিকের পাইলট প্রকল্প ফেব্রুয়ারিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
শম্ভুগঞ্জ ডাম্পিং স্টেশন পরিদর্শনে মসিক মেয়র ইকরামুল হক টিটু

শম্ভুগঞ্জ ডাম্পিং স্টেশন পরিদর্শনে মসিক মেয়র ইকরামুল হক টিটু

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মেয়র (মসিক) ইকরামুল হক টিটু বলেছেন, নগরীর প্রধান প্রধান সড়কগুলোকে আবর্জনামুক্ত রাখতে পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তা কার্যকর করা হবে।

তিনি বলেন, অন্যান্য জায়গায় যেভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা হয় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনেও সেভাবে করা হবে। তার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ময়মনসিংহকে বর্জ্যশূন্য করার জন্য বর্জ্য থেকে বিদ্যুতের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রেও আমরা সফল হব ইনশাল্লাহ।

বুধবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের শম্ভুগঞ্জ ডাম্পিং স্টেশন পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন সিটি মেয়র। এসময় সেখানকার সুষ্ঠু আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় আবর্জনাবাহী যানবাহনের জন্য স্টেশনের অভ্যন্তরে সড়ক ও ভেহিকল সেড নির্মাণ এবং ডাম্পিং স্টেশনের পরিবেশ উন্নয়নে গৃহিত কার্যক্রমের পরিদর্শন করেন মো. ইকরামুল হক টিটু।

মেয়র টিটু বলেন, এই ল্যান্ডফিল স্টেশনটি দীর্ঘদিন ধরেই আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে মোকাবিলা করে আসছিলাম। আমাদের যানবাহনের সংকট ছিলো, আমাদের জায়গা সংকট ছিলো এবং অনেক সময় এ কাজে যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের শতভাগ আন্তরিকতার অভাবে সমস্যার সমাধান করা যায়নি। তবে আমরা ইতিমধ্যে ল্যান্ডফিলের পার্শ্ববর্তী জায়গা অধিগ্রহণ করেছি এবং ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য পৃথক বিভাগ খোলা হয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটছে।

এসময় প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মিঞা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ড. উম্মে আফসারী জোহরা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া, জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ মহাবুল হোসেন রাজীব, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এইচ কে দেবনাথ, রাজীব, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল হক, মো. জিল্লুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী মো. আজাহারুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

   

চবির হলে মাদক কারবারি, সূর্য ডুবতেই শুরু হয় কেনাবেচা



মুহাম্মাদ মুনতাজ আলী, চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চবির হলে মাদক কারবারি, সূর্য ডুবতেই শুরু হয় কেনাবেচা

চবির হলে মাদক কারবারি, সূর্য ডুবতেই শুরু হয় কেনাবেচা

  • Font increase
  • Font Decrease

 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। যেখানে প্রতি বছর আকাশসম স্বপ্ন  বাস্তবে রূপদান করতে হাজারো শিক্ষার্থী প্রবেশ করে। কিন্তু মুক্ত ক্যাম্পাসে অবাধ বিচরণ ও অসৎসঙ্গ পেয়ে কিছু বুঝে উঠতে না উঠতেই যুক্ত হয় মাদক সাম্রাজ্যের গহীন অন্ধকারে। যেখান থেকে বের হতে না পেরে ঝরে যায় সহস্র মেধাবী শিক্ষার্থী, ভেস্তে যায় হাজারো পিতা-মাতার আশা-আকাঙ্ক্ষা।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মাদক সাম্রাজ্যের গহীন অন্ধকারে নিমজ্জিত শিক্ষার্থীরা অবস্থান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে। এদের মধ্যে অধিকাংশই অছাত্র ও বহিষ্কৃত। সন্ধ্যা নামতেই মদ, গাঁজা ও ইয়াবার আসর বসে তাদের। শুরু হয় মাদকাসক্তদের আনাগোনা। যে করিডরে পাওয়ার কথা ছিল শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার চাপা গুঞ্জন, সেখানে মেলে গাঁজার উৎকট গন্ধ। এদের মধ্যে কেউ আবার নিয়মিত বিভিন্ন স্থান থেকে মাদকের চালান নিয়ে এসে করেন ব্যবসাও। সাপ্লাই দেন পুরো ক্যাম্পাসে।

সম্প্রতি পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুজ্জামান জয়ের মাদক কারবারির সাথে যুক্ত থাকার একাধিক প্রমাণ মেলে। বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, তার মাদক কেনাবেচা ও সরবরাহের জন্য রয়েছে বিশাল সিন্ডিকেট। এজন্য সে রাজনৈতিক প্রভাবকে পুঁজি করে চালায় মাদক ব্যাবসা। তার দাবি- সে শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের একাংশের অনুসারী, থাকেন এ এফ রহমান হলের ৪৪০ নং কক্ষে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলের একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই হলে সম্প্রতি মাদক সেবনকারীদের সংখ্যা বেড়েছে। মদ, গাঁজা ও ইয়াবা তাদের নিত্য সঙ্গী। এর ফলে প্রকাশ্যে মাতলামি করতেও দেখা যায় অনেককে।

ঘটনার অনুসন্ধানে এ এফ রহমান হলের ৪৪০ নং কক্ষে প্রকাশ্যে কয়েকটি মদের বোতল পাওয়ায় কক্ষটি গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) সিলগালা করে দেয় হল কর্তৃপক্ষ।

এর আগে গত সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টায় এ. এফ রহমান হলে মদপান, মাতলামি ও মাদক সরবরাহের অভিযোগে আশিকুজ্জামান জয় নামের ওই শিক্ষার্থীকে হল থেকে পিটিয়ে বের করে দেয় শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের বেশ কয়েকজন কর্মী।

এ ব্যাপারে এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শাকিল আহমেদ জানান, চবির এ এফ রহমান হলে সাম্প্রতিক সময়ে মাদক সেবনকারীদের সংখ্যা বেড়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিলে দেখা যাবে সবচেয়ে বেশি মদ, গাজা ও ইয়াবা খায় এই হলের ছেলেরা। আমাদের ব্যাচেরই এক শিক্ষার্থী আশিকুজ্জামান জয় ঈদের পরপরই হলে ৭ থেকে ৮ কেজি মাদকদ্রব্য নিয়ে আসে এবং খেয়ে মাতলামি করে। এজন্য তাকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হলেও সে শুনেনি। ফলে তার সাথে আমাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার কাছে জয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ এফ রহমান হলের সকলেই জানে জয় সম্পূর্ণ মাদকাসক্ত। সে দীর্ঘদিন থেকে মদ ইয়াবা সেবনের সাথে জড়িত থাকার পাশাপাশি হলে মাদক বিক্রিও করতো। আমরা তাকে নিষেধ করা সত্বেও সে এগুলো না ছাড়াই তার সাথে আমাদের একটু ধাক্কা-ধাক্কি হয়েছে।

আশিকুজ্জামান জয়কে মারধরের পর সরেজমিনে এ এফ রহমান হলের ৪৪০ নং কক্ষ পর্যবেক্ষণ করলে কয়েকটি মদের বোতল পাওয়া যায়। সেগুলোতে মদ না থাকলেও মদের টাটকা গন্ধ মেলে।

তবে, আশিকুজ্জামান জয় নিজ গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াসের সাথে সম্পর্ক খারাপ কেন- এই জের ধরে মারধরের কথা স্বীকার করলেও মদ পানের বিষয়টি অস্বীকার করেন। যদিও আশিকুজ্জামান জয়ের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেখা যায়, একটি দেশি মদের বোতল নিয়ে বসে আছেন। পাশে রাখা আছে আরও দুইটি মদের বোতল।

এসব ব্যাপারে এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আলী আরশাদ চৌধুরী জানান, আমরা গতকাল (বুধবার) হাউজ টিউটরাসহ কক্ষটিতে গিয়েছিলাম। আমরা আপাতত কক্ষটি সিলগালা করে দিয়েছি। রুমে যে থাকতো তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি। আমরা পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিব।

মাদক কারবারির ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, সংশ্লিষ্ট হলের প্রভোস্টের সাথে বিষয়টা নিয়ে কথা বলব। তার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে হল প্রভোস্টসহ আমরা তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যাবস্থা নিব।

;

কোরবানি ঈদে ব্রা‌জিল‌ থেকে গরু আনা সম্ভব: রাষ্ট্রদূত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন কোরবানি ঈদে ব্রা‌জিল‌ থেকে জীবন্ত গরু আনা কঠিন ও জটিল হলেও অসম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশ‌টির রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস।

বুধবার (৬ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত অনুষ্ঠা‌নে এসব কথা জানান ব্রা‌জি‌লের রাষ্ট্রদূত।

ব্রা‌জি‌লের রাষ্ট্রদূত ব‌লেন, বাংলাদেশে মাংস খাতের বিশাল সম্ভাবনা আছে ব্রাজিলের। ব্রাজিল গরুর মাংস রপ্তানি করে থাকে। এটা বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ভালো বাণিজ্য হতে পারে। এর মধ্যে দিয়ে উভয় পক্ষই লাভবান হবে। ব্রাজিল থেকে বাংলাদেশের ভৌগলিক দূরত্ব অনেক বেশি। সেখান থেকে জীবন্ত গরু আনা কঠিন ও জটিল হলেও অসম্ভব নয়।

গত ৭-৮ এপ্রিল ঢাকা সফর ক‌রেন ব্রা‌জি‌লের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউ‌রো ভি‌য়েরা। সে সময় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ব্রা‌জি‌লের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স‌ঙ্গে বৈঠক ক‌রে আগামী কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে গরু পাঠানোর ব্যবস্থা করা যায় কি না সে বিষয়টি বি‌বেচনার জন্য অনুরোধ করেন।

চলতি বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল সফ‌রের আমন্ত্রণ জা‌নি‌য়ে‌ছেন দেশ‌টির প্রেসিডেন্ট লুলা।

প্রধানমন্ত্রীর ব্রাজিল সফর প্রস‌ঙ্গে রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো ব‌লেন, জুলাই‌য়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিল যা‌বেন। তি‌নি জি-২০ সম্মেলনের আগে ব্রাজিল সফর কর‌বেন। যদি তিনি ব্রাজিল যান তাহলে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে যে চুক্তিগুলো সম্ভব হয়নি তা হয়ত স্বাক্ষর হতে পারে।

বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে বাণিজ্যের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে পাওলো ফার্নান্দো ব‌লেন, দুই দেশের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য বিদ্যমান। আমরা বাণিজ্য ভারসাম্য ও বৈচিত্র্য আনতে চাই।

ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ব‌লেন, ব্রাজিল বাংলাদেশি আরএমজি পণ্যের একটি বড় বাজার হতে পারে। ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক পণ্য শুল্ক বেশি দিতে হয়। এই শুল্ক কীভাবে কমানো যায়, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। তবে এই কাজটি খুব সহজ নয়। এটা ধাপে ধাপে হবে বলে আশা করি।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্রাজিল বাংলাদেশের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী। তবে এটা শুধু বাণিজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এতে কারিগরি সহযোগিতা থাকবে। এটা হলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও বাড়বে। দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে, বাণিজ্য ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার বিশাল সুযোগ রয়েছে।

রো‌হিঙ্গা ইস্যুতে ব্রা‌জি‌লের রাষ্ট্রদূত ব‌লেন, রো‌হিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান প্রত্যাবাস‌ন। এটাই সবচেয়ে উত্তম সমাধান।

ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জানান, ব্রাজিল ভ্রমণে বাংলাদেশিদের সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসে ২৫০-৩০০ ভিসার আবেদন হয়। তবে আমরা প্রতি মাসে ১০০টি ভিসা ইস্যু করতে পারি। সেজন্য ঢাকায় একটি ভিসা সেন্টার খোলার উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই আমরা একটি ভিসা সেন্টার খুলতে পারব।

অনুষ্ঠা‌নে ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু বক্তব্য রাখেন।

;

তাপদাহে বিপর্যস্ত চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ৪২.২ 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় টানা কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহের পর আবারও শুরু হয়েছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। আজ এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা তিনটায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এসময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১৪ শতাংশ।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী কয়েকদিন এমন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এদিকে, কাঠফাটা রোদ ও তীব্র গরমে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় নেমে এসেছে বিপর্যয়।


চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (২০ এপ্রিল) এ জেলায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরপর রোববার (২১ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, সোমবার (২২ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও বুধবার (২৪ এপ্রিল) ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ১৮ শতাংশ। বেলা তিনটায় তাপমাত্রা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৪ শতাংশ।


চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, তীব্র তাপদাহের পর এবার চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এপ্রিল মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। এসময় জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে গরমে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা চলে গিয়েছে, তাই এ জেলায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে সবসময় বেশি থাকে।

এদিকে, টানা তাপপ্রবাহে কাহিল হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় নেমে এসেছে স্থবিরতা। সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে, তীব্র রোদ ও গরম থেকে বাঁচতে অনেকে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন। কেউ বা আবার নির্জন পরিবেশ খুঁজে বাতাসের জন্য প্রকৃতির দিকে চেয়ে আছেন। তবে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ তীব্র গরম উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েছেন।


জীবননগর উপজেলার শিয়ালমারি সাপ্তাহিক পশুহাটে গরু বিক্রি করতে আসা আব্দুল জলিল মন্ডল নামের এক কৃষক জানান, ‘গরু বিক্রি করতে হাটে এসে পড়েছি বিপাকে। একে তো খোলা মাঠে হাট, মাথার ওপর সূর্য দাউদাউ করে জ্বলছে। রোদ আর গরমে মনে হচ্ছে শরীর একেবারে পুড়ে যাচ্ছে।’

চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের হোটেল ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম জানান, এই গরমে সকালে রান্না করা খাবার দুপুর গড়াতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই অল্প অল্প করে বারবার রান্না করতে হচ্ছে। এতে সময় ও খরচ দুটোই বাড়ছে। তবে এই গরমে অন্য সময়ের তুলনায় মানুষ খুব কম খাবার খেতে আসছে।

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা মাঠে ধানকাটার কাজ করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। এদের মধ্যে সলেমান কাজী বলেন, এই রোদ-গরম উপেক্ষা করে ধান কাটার কাজ করতে হচ্ছে। বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ নেই। বসে থাকলে ৬ সদস্যের পরিবারে সবাইকে না খেয়ে থাকতে হবে।

;

প্রীতি উরাংয়ের হত্যার ঘটনায় বিচার চায় সচেতন নাগরিক সমাজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী শিশু প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছে সচেতন নাগরিক সমাজ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তারা।

‘নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী অ্যাড. খুশী কবির বলেন, প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। আপনাদের (সাংবাদিকদের) মাধ্যমে আমরা সবাই সোচ্চার হয়ে প্রীতি উরাংয়ের সুষ্ঠু বিচার ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। সেইসঙ্গে আমরা সরকারকে স্পষ্টভাবে বলতে চাই সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।

লিখিত বক্তব্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ফারহা তানজীম তিতিল বলেন, “গৃহকর্মীদের সুরক্ষা এবং কল্যাণের জন্য বারবার সরকারের কাছে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে দাবি ও অনুরোধ জনানো হলেও বাস্তবে আমরা এর কোনো প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি না। সাম্প্রতিক সময়ে গৃহকর্মীদের নির্যাতনের অসংখ্য ঘটনা আমাদেরকে এর প্রয়োজনীয়তার কথা বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে। এই বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মোহাম্মদপুরে সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী এই শিশুটির অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছে। ঘটনার সময় সৈয়দ আশফাকুল হক ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য ডেইলি স্টার’ পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ৪ এপ্রিল তিনি চাকরিচ্যুত হন।

তিনি বলেন, প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে তাকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার সুষ্ঠু, স্বাধীন, নিরপেক্ষ, প্রভাবমুক্ত, পক্ষপাতহীন ও স্বচ্ছ তদন্ত এবং দ্রুত বিচারের মাধ্যমে দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই আমরা। ওই বাসায় আরো কয়েকজন শিশু গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছে, সেইসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও পক্ষপাতহীন তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে আমরা সোচ্চার।

লিখিত বক্তব্যে তিতিল আরও বলেন, “সৈয়দ আশফাকুল হকের মোহাম্মদপুরের ওই ফ্ল্যাট থেকে গত বছর আগস্টে ৭ বছরের আরো একজন গৃহকর্মী পড়ে গিয়েছিল বা লাফ দিয়েছিল। সে বেঁচে আছে। পরপর ঘটে যাওয়া একই রকমের দুটি ঘটনা আমাদেরকে উদ্বিগ্ন করে। গণমাধ্যমে এই সংক্রান্ত তেমন অনুসন্ধানী কিছু পাচ্ছিলাম না। ফলে আমরা সরেজমিনে এই সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। আমাদের মধ্য থেকে কয়েকজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, মোহাম্মদপুর, স্থানীয় থানা এবং সংশ্লিষ্ট হসপিটালে গিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করেছেন।

তিতিল বলেন, আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যথাযথ তদন্ত হলে অভিযোগের সত্যতা মিলবে। তাই সরকারের কাছে বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ঘটনার নিরপেক্ষ, দ্রুত, সুষ্ঠু, পক্ষপাতহীন, প্রভাবমুক্ত ও স্বচ্ছ তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের বিচার সম্পন্ন করার দাবি জানাচ্ছি আজকের সংবাদ সম্মেলনে। হুবহু এক ঘটনার পুনরাবৃত্তি দুর্ঘটনা হতে পারে না। ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর’ মামলা দিয়ে হত্যা অপরাধকে আড়াল বা লঘু করা হচ্ছে, আমরা এমন আশঙ্কা করছি। আমাদের অনুসন্ধানে জেনেছি মৃত্যুর সময় প্রীতির বয়স ছিল ১৩ বছর (২০১৮ সালে ৭ বছর বয়সে প্রাক- প্রাথমিক স্কুল ছাড়ার বিবেচনায়)। তার স্কুলের নথি হারিয়ে গেছে বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, অভিযোগ রয়েছে সৈয়দ আশফাকুল হকের স্ত্রী তানিয়া খন্দকার প্রায়ই তার বাসায় কর্মরত গৃহকর্মীদের মারধর করতেন। একটি টিভি চ্যনেলে প্রীতিকে পরীক্ষাকারী একজন ডাক্তার বলেছেন, প্রীতির গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পায়ুপথের আকৃতি অস্বাভাবিকভাবে বড়। দুর্গামণি বাউরি নামে ওই বাড়ির আরেকজন শিশু গৃহকর্মী জানিয়েছে, সৈয়দ আশফাকুল হক তাকে বেল্ট দিয়ে মেরেছে। তার মাথায় রক্ত জমে গিয়েছিল। প্রীতিকে আট তলা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। প্রীতির বাবা অভিযোগ করেছেন, ওই গৃহে কাজ করার সময় সৈয়দ আশফাকুল হকের পরিবার প্রীতিকে মা-বাবার সঙ্গে কথা বলতে দিত না। তারা পারিশ্রমিকও পেয়েছেন সামান্য।

তিনি বলেন, প্রীতি উরাং নামের শিশুটি পড়ে যাবার আগে মতান্তরে ১২/১৩ মিনিট ঝুলে ছিল। সে বাঁচার আকুতি জানিয়েছিল। কিন্তু আশফাকুল হকের বাসা থেকে কেউ তাকে সাহায্য করেনি। এলাকার বহু মানুষ এই ঘটনার সাক্ষী। আশপাশের মানুষজন সাহায্যের জন্য এগিয়ে যেতে চাইলেও ওই বাড়ির নিরাপত্তারক্ষীরা তাদেরকে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। এজাহারে প্রীতির বয়স ১৩ বছরের বদলে ১৫ বছর বলে উল্লেখ করা উদ্দেশ্যমূলক বলে আমাদের মনে করার সঙ্গত কারণ আছে। কোন প্রভাবশালী মহলের চাপে তদন্তকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হলে আমরা তা মেনে নেব না।

সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন সচেতন নাগরিক সমাজ। এগুলো হলো—

প্রীতি উরাংয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু বা হত্যার সুষ্ঠু স্বাধীন নিরেপক্ষ, পক্ষপাতহীন, প্রভাবমুক্ত ও স্বচ্ছ তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুকে অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড বিবেচনা করা হলে তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে হালকা করা হবে। এ মামলা অবিলম্বে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় এনে নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে। এর জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কিংবা প্রয়োজনে উচ্চ বিচার বিভাগীয় নির্দেশনা দেবার জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি।

প্রীতির পরিবারকে যথোপযুক্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। সেইসাথে তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আশফাকুল হকের বাসায় নির্যাতিত অন্য যে শিশুটি বেঁচে আছে তার চিকিৎসা ও শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করাসহ উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

শিশুটির শরীরের বিশেষ ক্ষতটি পরীক্ষা করে প্রকৃত ঘটনার তদন্ত করতে হবে। প্রয়োজনে আইনি প্রক্রিয়ায় দোষীদের চিহ্নিত করে যথাযথ শাস্তি দিতে হবে।

সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় ৩ জন শিশু গৃহসহকারী ছিল। তারা ৭, ৮ এবং ১১ বছর বয়সে কাজে যোগ দেয়। বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী ১৪ বছর পূর্ণ হয়নি এমন ব্যক্তি শিশু। শ্রম আইনের ৩৪ ধারা অনুয়ায়ী, কোন শিশুকে কোন পেশায় বা প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করা যায় না। সৈয়দ আশফাকুল হক কিংবা তার পরিবারের অন্য কোন সদস্যের বিরুদ্ধে শিশুদের ওপর কোনো নির্যাতেনের যে দৃষ্টান্ত রয়েছে সেগুলোর বিষয়ে বস্তুনিষ্ঠ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি আমরা। সেই সাথে আইনি প্রক্রিয়ায় তার বিচার ও শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

যে দারোয়ানরা বাড়ির মালিকের ইশারায় বা নির্দেশে প্রীতিকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে দেয়নি, তাদেরকেও নিরপেক্ষ বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এই সঙ্গে ডেইলি স্টারের মৌলভীবাজার প্রতিনিধি মিন্টু দেশোয়ারা এবং প্রীতির মামা ফুলসাই ওঁরাংকে তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

চা বাগান থেকে আনা শিশুদেরকে পাচার করা এবং যৌনদাস করার জন্য কোনো চক্র কাজ করেছে কিনা, সেটাও আলাদাভাবে তদন্ত করে দেখার দাবি জানাচ্ছি।

শিশুশ্রম বিষয়ক নীতিমালাকে আইনে পরিণত করার জোর দাবি করছি। শ্রমে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিশুর বয়স ১৪ বছরের পরিবর্তে ১৬ বছর করার দাবি করছি সরকারের কাছে। সেই সাথে গৃহকর্মীদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতিমালায় গৃহে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিশুর বয়স ১৪ বছরের পরিবর্তে ১৬ বছর করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

২০১৭ সালে আদালেতের নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রম মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নিযে গৃহকর্মীদের অধিকার রক্ষায় সারাদেশে মনিটরিং সেল গঠনের যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল তা অবিলম্বে কার্যকরের জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে গৃহ শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষায় প্রতিটি বাড়ি পরিদর্শনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে লেখক প্রিসিলা রাজ, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা অ্যাড. রাণা দাশগুপ্ত, অ্যাড. তবারক হোসেন, লেখক রেহনুমা আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, অধ্যাপক জোবাইদা নাসরিন, কণ্ঠশিল্পী ফারজানা ওয়াহিদ শায়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;