ভোট দিতে পারা নিয়ে ভয়-সংশয়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘গত পৌরসভা নির্বাচনে সকাল সকাল বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম ভোট দিতে। কেন্দ্রে যাবার সময় দেখি মোড়ে মোড়ে সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমাকে দেখে তারা বললো চাচা বাড়ি চলে যান, কষ্ট করে কেন্দ্রে যেতে হবে না। যাক এরপরও সকল বাধা ডিঙিয়ে সকাল ১০টার দিকে ভোট কেন্দ্রে পৌঁছালাম। গিয়ে দেখি আমার ভোট দেওয়া হয়ে গেছে। এরপর হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে আসি। শনিবার আবারও ভোটের তারিখ। এবার অন্তত নিজের ভোটটা নিজে দিতে চাই। শুনেছি এবার নাকি মেশিনে ভোট হবে। তারপরও সংশয়ে আছি নিজের ভোটটা নিজে দিতে পারবো কিনা’।

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভার বিশ্বাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্র এলাকায় কথাগুলো এভাবেই বলছিলেন ষাটোর্ধ্ব সামছুল হক।

শনিবার (১৬ জানুয়ারি) ওই পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সেখানে প্রথমবারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশিরভাগ ভোটারই এখন নিজের ভোট নিজে দিতে পারা নিয়ে ভয় ও সংশয়ে রয়েছেন। যদিও নির্বাচন কমিশনসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ভোটারদের আশ্বস্ত করেছেন একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে সাধারণ ভোটাররা আশ্বাস হয়, কথার বাস্তবতা দেখতে চান ভোটের দিন।

ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ নির্বাচনে মেয়র পদে মাঠে ৫ জন নির্বাচন করলেও মূল লড়াইটা হবে ত্রিমুখী। হেবিওয়েট ওই তিন প্রার্থী হলেন- আওয়ামী লীগের মনোনিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শওকত হোসেন ভূঁইয়া, জগ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী চান্দিনা বাজারের ব্যবসায়ী হাজী শামীম হোসেন ও ধানের শীষ প্রতীকের বিএনপির দলীয় প্রার্থী শাহ মোহাম্মদ আলমগীর খাঁন।

এদের মধ্যে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী প্রচার-প্রচারণায় কিছুটা নিরব থাকলেও ব্যাপকভাবে মাঠ চষে বেড়িয়েছেন নৌকা ও জগ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী। এ দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে প্রচার-প্রচারণা শুরুর পর থেকেই বেশ কয়েকটি হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুরু থেকেই একে অপরের বিরুদ্ধে তুলেছেন বিভিন্ন অভিযোগ। সেই হিসেবে বলা চলে নৌকার শক্ত প্রতিপক্ষ জগই। আবার অনেকের ধারণা সুষ্ঠু ভোট হলে জগের পানিতে ডুবতে পারে নৌকা!

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, প্রার্থীদের পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে গেছে পুরো নির্বাচনী এলাকা। মেয়র প্রার্থীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। তবে বিভিন্ন অভিযোগ থাকলেও পুরো নির্বাচনী এলাকাতেই প্রায় সকল মেয়র প্রার্থীদের পোস্টার দেখা গেছে।

পৌরসভার ছায়কোট এলাকার বাসিন্দা ফজলুল করিম বলেন, গত ৫ বছরে পৌর এলাকার উন্নয়নের কথা শুধু মুখে মুখেই শোনা গেছে। কিন্তু একটু ঘুরলেই দেখবেন প্রতিটি সড়ক ক্ষত-বিক্ষত। এসব সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। পৌরবাসী নূন্যতম নাগরিক সুবিধাও পায়নি। আমরা কথায় নয়, পৌরবাসীর জন্য বাস্তবে কাজ করবে এমন পৌর পিতা নির্বাচন করতে চাই। এজন্য একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করছি।

বড় গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা হুয়ামুন কবির বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি মানুষের জন্য কাজ করবে এটাই স্বাভাবিক। গত নির্বাচনে ভোট দিতে পারিনি। এবার নিজেরা ভোট দিয়ে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে চাই।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শওকত হোসেন ভূঁইয়া ব্যস্ততার কারণে কথা বলতে রাজি হননি। তবে পূর্বে তিনি বলেছেন, চারদিকে নৌকার গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে উন্নয়নের স্বার্থে মানুষ তাকে বেছে নেবে। তিনি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।
জগ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী শামীম হোসেন বলেন, মানুষ এখন উয়ন্নয় ও পরিবর্তন চায়। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমার বিজয় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। সবাই আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছে। তাই নির্বাচন কমিশনকে বলবো একটি অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠান করে মানুষকে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিন।

ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী শাহ আলমগীর খাঁন বলেন, গত নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে নিজের ভোটটাও নিজে দিতে পারিনি। চারদিকে এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মানুষ ভোট দিতে পারলে আমার বিজয় সুনিশ্চিত। তবে প্রশাসন আশ্বাস দিলেও এখন সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি।

এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো.জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আমাদের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ভোটগ্রহণের আগের দু’দিন মানুষকে ইভিএম সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। মানুষ নিজের ভোট নিজে দিবে। কোন অনিময় হলেই সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

   

বিশ্বে দূষিত বায়ুর শহরে ঢাকা ষষ্ঠ, শীর্ষে সিউল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ষষ্ঠ। এদিন সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৭২ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর' হয়ে পড়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে বায়ু মানের সূচক ৩৪৩ নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচেন, পাকিস্তানের লাহোর, ভিয়েতনামের চিয়াংমাই ও ভারতের দিল্লি যথাক্রমে ২১৭, ১৮৭, ১৭৯ ও ১৭৭ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয়, তৃতীয় চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান দখল করেছে।

১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়। আর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকা একিউআইকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' বলে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের ৩টি প্রধান কারণ হলো, ইটভাটা, যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া ও নির্মাণ কর্মযজ্ঞের সৃষ্ট ধুলো।

;

ঝোড়ো হাওয়াসহ ৫ বিভাগে বজ্রবৃষ্টির আভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকাসহ পাঁচ বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, শুক্রবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এর পরের ২৪ ঘণ্টা ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

আর শনিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা শুধু চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

এদিকে বাগেরহাটের মোংলায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দেশের সর্বোচ্চ ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এদিন দেশের সর্বনিম্ন ১৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় কিশোরগঞ্জের নিকলিতে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, সারা দেশে শুক্রবার দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে, যা শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

;

পাঁচ অঞ্চলের নদী বন্দরে সতর্কতা সংকেত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামসহ দেশের পাঁচ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সেইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে বলা হচ্ছে। এছাড়াও এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, বরিশাল, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বর্তমানে পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

;

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে মানবাধিকার সম্পর্কিত একটি নতুন শাখা চালু করার পরামর্শ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই পরামর্শ দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প কুতুপালং এবং ভাসানচর পরিদর্শনের জন্য বৈঠকে প্রস্তাব করা হয়।

কমিটির সভাপতি এ কে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, শাহরিয়ার আলম, নাহিম রাজ্জাক, নিজাম উদ্দিন জলিল, নুরুল ইসলাম নাহিদ, হাবিবুর রহমান, সাইমুম সারওয়ার, জারা জাবীন মাহবুব অংশ নেন।

 

;