মহাসড়ক ও ফুটপাত দখল করে রমরমা ব্যবসা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মহাসড়ক ও ফুটপাত দখল করে রমরমা ব্যবসা

মহাসড়ক ও ফুটপাত দখল করে রমরমা ব্যবসা

  • Font increase
  • Font Decrease

পুঁজিহীন জীবনে মহাসড়কের অব্যবহৃত এক খণ্ড ভূমিতে স্বপ্ন বোনা বেঁচে থাকার। ধুলাবালি, প্রশাসনের চোখ রাঙানো, রোদ- বৃষ্টি-ঝড় এর মাঝে ফুটপাতের অস্থায়ী ঘর। বিক্রি হলেই ঘরে খাবার জোটে, না হলে অনাহার। এটাই যেন কিছু গরিবের ভাগ্যের পরিহাস। এসব পাড়ি দিয়ে ফুটপাতে সাজিয়ে বসেছেন কেউ সবজি, কেউ জামা কাপড় আবার রকমারি জিনিস পত্রের পসরা। আর ফুটপাত সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন অজুহাতে নিয়ে যায় কষ্টের রোজগারের সিংহভাগ টাকা।

ঘনবসতিপূর্ণ ও শ্রমিক অধ্যুষিত আশুলিয়ার প্রায় সব মহাসড়কের পাশেই এরকম ব্যবসা করে হাজার হাজার ব্যবসায়ীর চলে সংসার। তবে এতে ফুটপাত ব্যবসায়ীর সংসার চললেও জীবন শঙ্কায় গার্মেন্টস কর্মীসহ ক্রেতারা। পথচারী ও গার্মেন্টস কর্মীর সংসার চালাতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় হয়তো চলে যায় আরেক সংসারের বাতি। সাভার ও আশুলিয়ার প্রায় সব মহাসড়কের ফুটপাত দখল করে ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে নানা ব্যবসা।

মৃত্যুর মিছিলকে পুঁজি করে ফুটপাত থেকে চাঁদাবাজি করে একটি শ্রেণি পাহাড় গড়ছে কালো টাকার

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল, আশুলিয়া থানা সংলগ্ন এলাকা, নতুন ডিইপিজেড সংলগ্ন, পুরাতন ডিইপিজেডের পাশে, বলিভদ্রবাজার, শ্রীপুর, নবী টেক্সটাইল সংলগ্ন এলাকা, জিরানিবাজার এলাকা, টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড মহাসড়কর ইউনিক জামগড়া, ছয়তলা ও জিরাবো ঘুরে দেখায় যায় এমন দৃশ্য।

মহাসড়কের জায়গা, কোথাও মহাসড়ক দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে। ফলে মহাসড়কের ফুটপাত দিয়ে অফিস কিংবা কাজে যেতে সাধারণ  শ্রমিকরা পোহায় ভোগান্তি। সড়ক দুর্ঘটনায় অনেকেরই নিভে যায় জীবন প্রদীপ। তবে এই মৃত্যুর মিছিলকে পুঁজি করে ফুটপাত থেকে চাঁদাবাজি করে একটি শ্রেণি পাহাড় গড়ছে কালো টাকার। অনেকেই এই ফুটপাতের ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে চাইলেও তাদের পুঁজিসহ মালামাল জিম্মি করে এই চাঁদাবাজরাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফুটপাত ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের পুঁজি কম, তাই ফুটপাতে ব্যবসা করছি। কম খরচে ও পুঁজিতে ব্যবসা করার আশায় নেমেছিলাম ফুটপাতে। ব্যবসা মোটামুটি হচ্ছে, তবে চলতে হয় কষ্টে। প্রতিদিন টাকা দিতে হয়। চাঁদার টাকা আয় করে পরে পরিবারের কথা ভাবতে হয়।

মহাসড়কের জায়গা, কোথাও মহাসড়ক দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে।

ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়া পোশাক শ্রমিক নাজিমের সাথে কথা হলে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা সকালে অফিস যাই। এ সময় ফুটপাত ফাঁকা থাকে। যাতায়াতে কোন সমস্যাও হয় না। তবে দুপুরে ১ ঘণ্টার লাঞ্চ টাইম। ফুটপাতে দোকান বসার জন্য যাতায়াতে সময় বেশি লাগে। কোন সময় কারখানায় যেতে দেড়ি হলে অনুপস্থিত হিসাবে গণ্য করে।

অপর পথচারী নাসিমা বলেন, আসলে ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা কিছু কিছু সড়কের অর্ধেকটা পর্যন্ত দখল করে নিয়েছে। এসব সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করতে হয়। আমরা বর্তমানে যদি ফুটপাত দিয়ে হাঁটি তাহলে রাস্তার মাঝামাঝি দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। এর কারণে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিক শাহিন জানান, আমি জিরানী বাজার হামীম  কারখানায় কাজ করে ছুটির পর হেঁটে হেঁটে বাসায় যাচ্ছিলাম। ফুটপাতের জন্য হাঁটাই যাচ্ছিলো না। এসময় পিছন থেকে একটি ডিম বোঝাই পিকআপ এসে আমাকে চাপা দেয়। আমার ডান পা কেটে ফেলতে হয়েছে। আজ আমি পঙ্গু,  ফুটপাতের সঠিক ব্যবহার থাকলে আজও আমি দুই পায়েই হাঁটতে পারতাম।

এ ব্যাপারে নিরাপদ সড়ক চাই, ধামরাই এর সভাপতি নাহিদ বলেন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে ফুটপাত দখলমুক্ত করার বিকল্প নেই। অন্যান্য সমস্যার মত এটিও একটি বড় সমস্যা। ফুটপাত ব্যবসায়ীদের ব্যবসার স্থান করে দিয়ে ফুটপাত দখল মুক্ত করা হলে পথচারীদের ঝুঁকি মুক্ত যাতায়াত নিশ্চিত হবে।

মানিকগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. নাইমুল ইসলাম জানান,, আমরা ফুটপাতে নানা সময় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে থাকি। এর পরেও ফুটপাত ব্যবসায়ীরা আবার ব্যবসা শুরু করে। এবার স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

এত সব পরিকল্পনা আর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হলেও চাঁদার বিনিময়ে কিভাবে বসানো হচ্ছে এসব অস্থায়ী দোকান, আর কে বা নিচ্ছে এই চাঁদা, তা নিয়ে প্রশ্নের জট জনমনে।

   

সিরাজগঞ্জে দুই মাথা ৪ চোখ নিয়ে বাছুরের জন্ম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিরাজগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই মাথা ও চার চোখ নিয়ে জন্ম নিয়েছে একটি গরুর বাছুর। এ খবর শুনে উৎসুক জনতা এক নজর দেখতে খামারির বাড়িতে ভিড় করছে।

এই অদ্ভুত বাছুরটি জন্ম হয়েছে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের পালাশী গ্রামের খয়বার আলীর বাড়িতে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল ) বিকালে খামারির বাড়িতে জন্ম নেওয়া পর থেকে বাছুরটি দেখতে ভিড় করছে এলাকাবাসী।

খয়বার হোসেন বলেন, গাভীটি আমার গৃহপালিত। চার বছর আগে বিদেশি ষাড়ের মাধ্যমে প্রজনন দিয়ে প্রসূতি গাভীটির জন্ম হয়। পরবর্তীতে গাভীটি বড় হলে প্রজননের জন্য ইনজেকশন ব্যবহার করে গর্ভধারণ করা হয়। দীর্ঘ আট মাস ২৩ দিন পর গাভীটি দুই মাথা ও চার চোখ বিশিষ্ট একটি বকনা বাছুর প্রসব করে। বকনা বাছুরটি এখনো নড়াচড়া করছে। উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও দুই মাথার কারণে উঠে দাঁড়াতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, বাছুরটি অস্বাভাবিক, দুই মাথা ও চার চোখ বিশিষ্ট। অস্বাভাবিক প্রকৃতির এই বাছুরটিকে দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় করছে।

তাড়াশ উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়ালিউল্লাহ বলেন, হরমোনাল ইমব্যালান্সের কারণে এরকম বাছুর প্রসব করার সম্ভাবনা থাকে। এ ছাড়াও প্রজনন গত কারণেও এ রকম অস্বাভাবিক বাছুর প্রসব হতে পারে। তবে এমন বাছুর প্রসব খুব একটা পরিলক্ষিত হয় না।

;

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি

বান্দরবান-রাঙ্গামাটি সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবান-রাঙ্গামাটির সীমান্তের দুর্গম এলাকায় তীব্র গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। সেখানে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবানের রুমার প্রাংসা-পাইন্দু ও রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ির বড়থলি ইউনিয়নে সীমান্তের দুর্গম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রুমায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় গত ৬ এপ্রিল থেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে যৌথ বাহিনী, যা এখনও চলমান রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুমা খাল, প্রাংসা, পাইন্দু ও রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি সীমান্ত এলাকায় তীব্র গোলাগুলির চলছে। এ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লা চিং মারমা জানান, কয়েকদিন ধরে রুমা উপজেলায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে। এলাকাবাসীরা তাকে আজ বিকেলে জানিয়েছেন পাইন্দু- রুমা সদর ইউপি ও বিলাইছড়ি উপজেলা বড়থলি ইউনিয়নের সীমান্তে দুর্গম এলাকার ভিতরে প্রচণ্ড গুলি বোমার আওয়াজ শুনেছেন। এলাকাবাসীর ধারণা, গোলাগুলি হচ্ছে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান জানান, গোলাগুলির সংবাদ পেয়েছি। তবে বিস্তারিত জানা যায়নি।

গত ৮ এপ্রিল যৌথবাহিনী বিশেষ অভিযান চালিয়ে রুমা উপজেলার বেথেলপাড়া থেকে ১৮ নারীসহ ৪৯ জনকে গ্রেফতার করে। অন্যদের বিভিন্ন সময়ে মোট ৬৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে ৫২ জনের চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে পাঠানো ৫২ জনের মধ্যে ১৭ জন নারী রয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

;

সাভারে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং, আতঙ্কে নগরবাসী



মো. কামরুজ্জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সাভারে দিনদিন বেড়েই চলছে কিশোর গ্যাংয়ের ভয়ংকর তাণ্ডব। ফলে সাভার এখন পরিণত হয়েছে আতঙ্কের নগরীতে। পৌর এলাকাতেই মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ৪ খুন। এছাড়া প্রতিনিয়ত ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তার ও মাদকের অন্যতম কারণ এই গ্যাং কালচার। কোনোভাবেই যেন লাগাম টানতে পারছে না আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

প্রকাশ্যে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা পাল্টা হামলা সাভার পৌরসভার নিত্যদিনের ঘটনা। রক্তাক্ত শরীর নিয়ে কেউ হেঁটে যায়, আনার কেউ হাসপাতালে বিছানায় করে বাঁচার আর্তনাদ। কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যে সম্প্রতি সাভার পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদ করতে গিয়ে ১২ এপ্রিল সাভারের আড়াপাড়ায় খুন হলেন রং মিস্ত্রী সাজ্জাদ। গত ৩১ মার্চ সাভারের রেডিও কলোনীতে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে মৃত্যু সাথে লড়াই করেছেন কলেজ ছাত্র রবিউল।

ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্র রবিউল ইসলাম বার্ত২৪.কম-কে বলেন, 'সকালে আমি ডিউটির উদ্দেশ্যে যাইতেছি। তখন দেখি দুইটা ছেলে বসা তখন আমার হাতে মোবাইল ছিল ওরা আমাকে ডাক দিছে। ডাক দিয়েই বলে কি আছে দে। আমি সাথে সাথে মোবাইল দিয়ে দিছি। তারপরেও ওরা আমাকে ছুরি মারছে। আমার পেটে পিঠে চাকু মারছে। তখন আমি চিৎকার দিলে আশপাশে থেকে লোকজন এসে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আমার পায়েও সমস্যা, ১৮ দিন ধরে ব্যথায় আমি একটুও ঘুমাতে পারি না।

ছেলেকে বাঁচাতে রবিউলের কৃষক বাবা ধার-দেনা করে প্রায় নিঃস্ব এখন। তাদের দাবি এ ধরনের ঘটনা যেন কোনো পরিবারের সাথে না হয়। এই পরিবারের মত এমন ঘটনার ভুক্তভোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই।

ভুক্তভোগী রবিউল ইসলামের বাবা মো. আশরাফুল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের টোটাল বিল আসছিল ৭ লাখ টাকা। পেমেন্ট দিয়েছি প্রায় চার লাখ টাকা। আমি কৃষি কাজ করি ও মানুষের বাড়িতে বাড়িতে কাজ করি। হাসপাতালের এই ৪ লাখ টাকা মানুষের কাছে তো ধার ও সুদের উপর এনে দিয়েছি। আর্থিকভাবে মনে হয় দশ বছরেরও আমি এই জিনিসটা পূরণ করতে পারব না। আমি সুদে যে টাকাটা নিছি প্রতিমাসে এই সুদ টানতেই আমার কষ্ট হয়ে যাবে এখন।

ভুক্তভোগী রবিউলের মা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা যদি আর্থিক দিকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা না পাই, তাও কোনো দুঃখ নাই। আমার ছেলেটা ১৮ দিন ধরে হসপিটালের বিছানায়। আমার ছেলের মত এরকম ঘটনা যেন আর না ঘটে এটাই আমার দাবি।

তথ্য বলছে, সাভারে কিশোর গ্যাংয়ের মূল দৌরাত্ম্য পৌরসভাজুড়ে। পিনিক রাব্বি, হৃদয় গ্রুপ, ভাই-ব্রাদার গ্রুপ বেশ সক্রিয়। নিজেদের দ্বন্দ্ব থেকে ভাগ হয়ে তৈরি হচ্ছে আরো গ্রুপ। গত দুই মাসে কিশোর গ্যাংয়ের ছিনতাই ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অন্তত ৪ খুনের ঘটনা ঘটেছে। খরচ মেটাতে ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, জমি দখল, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সাথে জড়িত এই কিশোর গ্যাং।

সাভার পৌর সভার বাসিন্দা রিফত বার্তা২৪.কম-কে বলেন, অপরাধীরা বেশিরভাগই মাদক সেবন করেন। তার জন্য তো টাকা দরকার তাদের। তারা কোনো কাজকর্ম করে না। আর এই টাকার জন্যই তারা ছিনতাই করে। কাছে কিছু না পেলে বা দিতে না চাইলেই তাকে আঘাত করে। কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে এমন। মারাও গেছেন কয়েকজন। সরকারের কাছে আমাদের একটাই অনুরোধ, এই মাদক ও কিশোর গ্যাং নিয়ে যেন কঠোর একটা ব্যবস্থা নেয়। এদের যেন শাস্তি হয়, এগুলো যেন একবারে নির্মূল করে দেয়।

গত মার্চ মাসে র‍্যাব ও পুলিশের আলাদা অভিযানে হৃদয় গ্রুপের প্রধান গিয়ার হৃদয়সহ ৮ জন ও ভাই-ব্রাদার গ্রুপের ৪ জনসহ মোট ১২ জন গ্রেফতার করা হয়।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহ জামান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কখনো যদি কোনো লোক এরকম ছিনতাইয়ের শিকার হন বা ডাকাতির শিকার হন, তাহলে তাৎক্ষণিক আমাদের কাছে রিপোর্ট করবেন। যাতে করে আমরা এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারি। যদি এরকম কোনো ঘটনায় আপনারা রিপোর্ট না করেন, ওই অপরাধীদেরকে আমরা যদি গ্রেফতার করতে না পারি, সেক্ষেত্রে কন্টিনিউয়াস একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়ে যাবে। সুতরাং যে কোনো ঘটনাই ঘটুক, অবশ্যই পুলিশকে রিপোর্ট করতে হবে। পুলিশ যাতে সংশ্লিষ্ট অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে পারে।

;

পটিয়ায় বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পটিয়াতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও একজন।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাটা নাকম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী এলাকার আবু বক্কর তাসরিফ (১৫) ও কক্সবাজারের রামুর নুরুল আলম (২৮)। তিনি চন্দনাইশের এলেহাবাদ এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন পটিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামমূখী মারসা পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বাকী একজনের নাম জানা যায়নি। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।

ওই অটোরিকশায় চালকসহ মোট ৪ আরোহী ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার সাথে সাথে এক যাত্রী লাফ দিয়ে সরে পড়ে। তাই তিনি তেমন আঘাত পাইনি বলে যোগ করেন ওসি। 

;