আমজাদ হোসেনের জানাজা সম্পন্ন, লাখো মানুষের ঢল
নীলফামারী-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান,সৈয়দপুর পৌরসভার চার বারের মেয়র আমজাদ হোসেন সরকারের জানাজা নামাজ সম্পন্ন হয়েছে। এতে ইমামতি করেছেন সৈয়দপুর দারুল উলুম মাদরাসার পরিচালক মাওলানা হারুন রিয়াজী।
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) জু'মার নামাজ শেষে পৌর এলাকার পাটোয়ারী পাড়া মাঠে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
জুমা'র নামাজের আগে থেকেই লোকে লোকারণ্য হয়ে গেছে সৈয়দপুর পৌর এলাকাসহ পাটোয়ারী পাড়া এলাকা। জানাজায় অংশ নিতে মানুষের ঢল নেমেছে। ধারণা করা হচ্ছে, সৈয়দপুরে স্মরণকালের বৃহৎ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রেখেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) আসাদুল হাবিব দুলু, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেল, নীলফামারী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, বাংলাদেশ পৌরসভা সমিতির সভাপতি ও নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোকসেদুল মমিন, সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল গফুর, নীলফামারী জেলা বিএনপির সভাপতি আলমগীর ইসলাম, বিএনপি নেতা শাহ্ ওবায়দুর রহমান প্রমুখ।
তারা স্মৃতিচারণ করে আমজাদ হোসেন সরকারের কর্মবহুল জীবনের নানাদিক নিয়ে কথা বলেন।
আমজাদ হোসেন সরকার গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকে ডায়াবেটিস, কিডনি ও ফুসফুসজনিত রোগে ভুগছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ছেলেসহ বহু আত্মীয়-স্বজন, ভক্ত ও ছাত্র রেখে গেছেন। তিনি ১৯৫৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন নীলফামারী মহকুমার সৈয়দপুরে জন্মগ্রহণ করেন।
তার মৃত্যুতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র, সংরক্ষিত আসনে কাউন্সিলর, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ভোট স্থগিত ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।