‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বাস্তবায়নে গুচ্ছভিত্তিক কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সভা

আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

শেখ হাসিনার দর্শন ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে গুচ্ছভিত্তিক কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ দেশের প্রতিটি গ্রামে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে গঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটির দ্বিতীয় সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি দর্শন। এ দর্শন বাস্তবায়নের জন্য যে সকল মন্ত্রণালয়ের কাজের ধরনের মিল আছে সেগুলোর জন্য ভিন্ন ভিন্ন প্রকল্প প্রয়োজন। এই কমিটিগুলো ঘনঘন সভা করে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে প্রকল্প গ্রহণ ও পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে এবং সিদ্ধান্তসমূহ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতির কাছে উপস্থাপন করবেন।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, গ্রামে শহরের সুযোগ-সুবিধা দিতে হলে সকলকে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে গ্রামে উন্নত নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছে। আমার গ্রাম আমার শহর বাস্তবায়নে সব মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্পের পাশাপাশি আর কি কি প্রকল্প নিতে হবে গুচ্ছ কমিটি তা নির্ধারণ করবে। এর ফলে আমার গ্রাম আমার শহর বাস্তবায়নে কাজে গতি আসবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

‘আমার গ্রাম আমার শহর’ প্রকল্প কবে নাগাদ শেষ হবে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আমার গ্রাম আমার শহর একক কোনো প্রকল্প নয়। গ্রামকে শহর করার লক্ষ্যে সকল মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব প্রকল্প রয়েছে। সবগুলো প্রকল্পের সমন্বয় হচ্ছে আমার গ্রাম আমার শহর প্রকল্প। যেহেতু দেশের প্রতিটি গ্রাম এই প্রকল্পের অধীন তাই সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এটি চলমান থাকবে।

এসময় মন্ত্রী জানান, ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৫টি গ্রামকে পাইলটিং হিসেবে নিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে একটি কারিগরি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে এবং তা অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেন, বর্তমান সরকার সবসময়ই গ্রামীণ উন্নয়নকে প্রাধান‍্য দিয়ে আসছে। তারই বাস্তব দর্শন হল আমার গ্রাম আমার শহর। বিভিন্ন উপকমিটি বিভিন্ন স্তরে দায়িত্ব পালনের মাধ‍্যমে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করবে। আমাদের ইতিমধ্যে দুই বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে বাকি সময়ের মধ‍্যে আশা করি আমার গ্রাম আমার শহর উদ্যোগটি দৃশ‍্যমান হবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, অতিরিক্ত সচিব, এলজিইডি ও ডিপিএইচই’র প্রধান প্রকৌশলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

   

উপজেলা পর্যায়ে জনগণদের স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে তীব্র দাবদাহে উপজেলা পর্যায়ে জনগণদের মাঝে খাবার স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। সেইসাথে প্রচণ্ড তাপদাহে নিয়মিত রাস্তায় পানি ছিটানোর সুপারিশও করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আ, স, ম, ফিরোজ এমপি। কমিটির সদস্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান, শাহীন আক্তার, মজিবুর রহমান চৌধুরী, সালাউদ্দিন মাহমুদ এবং আশ্রাফুন নেছা বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে বিগত সভার সিদ্ধান্ত সমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা; গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে ’হেরিং বোন বন্ড প্রকল্প’ সম্পর্কে আলোচনা এবং অগ্নিকান্ডের ঘটনা, বন্যা ঝুঁকি, বজ্রপাত ইত্যাদি মোকাবেলার বিষয়ে করণীয় সম্পর্কে বিশদ আলোচনা হয়।

বৈঠকে জরুরি ভিত্তিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার পূর্বাভাস এবং সার্বিক সহযোগিতায় স্বচ্ছতা আণয়নের লক্ষ্যে ”বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর” এবং ”বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরকে” দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে অন্তুর্ভুক্ত করার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়। এছাড়া, ইউনি ব্লক প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণ এবং আট মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় অবকাঠামো নির্মাণে বিল্ডিং কোড ব্যবহারের পরামর্শ দেয় কমিটি।

বৈঠকে টিআর কাবিখার মাধ্যমে গ্রামের মজা পুকুর খনন ও পরিষ্কার পরিচ্ছনতার মাধ্যমে মাছ চাষ বৃদ্ধি এবং বিশুদ্ধ পানি সরবাহের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। এছাড়া, তাপদাহে আবহাওয়া ঠান্ডা রাখার লক্ষ্যে রাস্তায় নিয়মিত পানি ছিটানো এবং উপজেলা পর্যায়ে জনগণের মাঝে স্যালাইন ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করার জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;

বরিশালে হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বরিশাল অশ্বিনী কুমার হল চত্বরে হকার সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন, বরিশাল হকার সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক বরুণ সাহা। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদ বরিশাল জেলা সমন্বায়ক ডা. মনীষা চক্রবর্তী, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি বরিশাল জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সেলিম, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ বরিশাল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কমরেড শাহ আজিজ খোকন, বরিশাল হকার্স সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সদস্য মামুন,সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের দফতর সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সদস্য শহিদুল শেখ প্রমুখ।


বক্তারা বলেন বরিশালের নাজিরের পোল থেকে সদর রোডের বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে তিন শতাধিক হকার সবজি ফল চটপটি ডিম কলাসহ বিভিন্ন পণ্য ফেরি করে তাদের সংসার চালাত। এদের মধ্যে অনেকেই ২৫-৩০ বছর ধরে এসকল ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্দেশে প্রশাসনের অভিযানে এইসকল ব্যবসায়ী সদর এলাকায় কোথাও দাঁড়াতে পারছেন না। পুনর্বাসন ছাড়া সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য এভাবে মানুষের পেটে লাথি মেরে কখনোই শান্তি-শৃঙ্খলা আনা সম্ভব নয়। বক্তারা অবিলম্বে পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবি জানান।

বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল শেষে একটি প্রতিনিধি দল বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র, বরিশাল জেলা প্রশাসক ও বরিশাল মেট্রোপলিটনের পুলিশ কমিশনার বরাবর পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি পেশ করে।

;

কুষ্টিয়ায় শ্রমজীবী মানুষের মাঝে ছাতা-পানি ও স্যালাইন বিতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
শ্রমজীবী মানুষের মাঝে ছাতা-পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ

শ্রমজীবী মানুষের মাঝে ছাতা-পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র দাবদাহে কুষ্টিয়ার মানুষের জীবন বিপর্যস্ত। মৌসুমের বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় সর্বত্রে ভ্যাপসা গরম বিরাজ করছে। রোদের তীব্রতা বেশি হওয়ায় খুব অল্পতেই মানুষ হয়রানি হচ্ছে। ফলে শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে কুষ্টিয়ায় শ্রমজীবী ও রিকশা-ভ্যান চালকদের মাঝে মাথার ছাতা ও হাতে বিনামূল্যে পানির বোতল এবং খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া শহরের থানা ট্রাফিক মোড়ে দুই শতাধিক শ্রমজীবী ও রিকশা-ভ্যান চালকদের মাঝে এসব তুলে দেন 'স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থা' নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

'স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থা' সংগঠনের সভাপতি সাদিক হাসান রহিদের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের উপদেষ্টা, সাংবাদিক এসএম জামালের পরিচালনায় এ কার্যক্রমে অংশ নেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো: সোহেল রানা, খেয়া রেস্তোরাঁর জেনারেল ম্যানেজার সাইদুল বারী টুটুলসহ সংগঠনের সদস্য রুম্পা, চমক, সাব্বির, তানজিল, রাহুল ওবাইদুলসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এমন মহতি উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোঃ সোহেল রানা বলেন, প্রচণ্ড গরমে যখন জনজীবন বিপর্যস্ত তখন কুষ্টিয়ার এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থা শহরের মধ্যে রিকশা-ভ্যান চালকদের মাথার ছাতা, অসহায় ও শ্রমজীবী মানুষের জন্য পানির বোতল ও খাবার স্যালাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে এটা সত্যিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এতে করে গরমে খেটে খাওয়া মানুষকে পানি ও স্যালাইন বিতরণ করার ফলে অনেক সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। এভাবেই আরও অনেক সংগঠন এবং বিত্তশালীদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

সংগঠনটির সভাপতি সাদিক হাসান রহিদ বলেন, এবারে তীব্র তাপদাহে শহরের পথচারী, দিনমজুর, রিকশাচালকসহ সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। চিকিৎসকরা এই গরমে বেশি বেশি পানি পান করতে উপদেশ দিচ্ছেন। পথে চলাচলের সময় পানির সংকট চোখে পড়ে। তাই সংগঠন থেকে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তাদের খাবার পানির বোতল, খাবার স্যালাইনসহ চালকদের মাঝে মাথার ছাতা বিতরণ করেছি। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যহত রাখবো বলেও জানান তিনি।

সংঠনটির স্বেচ্ছাসেবীরা জানিয়েছেন, তীব্র তাপদাহের কারণে নিজেদের অর্থায়নে আজকে এই আয়োজন করা হয়েছে। গরমে এ মৌসুমে তাপদাহ যতদিন প্রবাহমান থাকবে ততদিন তারা আরও নতুন নতুন উদ্যোগ হাতে নেবেন।

;

রাঙামাটিতে বৃহস্পতিবার সড়ক-নৌপথ অবরোধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রাঙামাটি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটিতে আগামী ২৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) অর্ধ দিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) রাঙামাটি জেলা ইউনিট।

বান্দরবানে কেএনএফ-বিরোধী যৌথ অভিযানের নামে নিরীহ মানুষ হত্যা, নির্বিচার গণগ্রেফতার, আটক, হয়রানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয়ের ওপর অন্যায় বাধা-নিষেধের প্রতিবাদে এ অবরোধের ডাক দেয় সংগঠনটি । ওই দিন ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে রাঙামাটি জেলাব্যাপী এই অবরোধ চলবে বলে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রেসবার্তায় জানানো হয়েছে।

উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ইউপিডিএফ রাঙামাটি জেলা ইউনিট ও তার সহযোগী গণসংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্টদের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক জরুরী সভায় উক্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

ইউপিডিএফ সংগঠক সচল চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় বান্দরবানে চলমান কেএনএফ-বিরোধী অভিযানের নামে নিরীহ মানুষ হত্যা, নারী-শিশুসহ গণগ্রেফতার ও হয়রানির তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলা হয়, একটি প্রকৃত গণতান্ত্রিক ও সভ্য দেশে এ ধরনের জঘন্য মানবাধিকার লঙ্ঘন চলতে পারে না।

সভায় অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি, নিরীহ লোকজনকে হয়রানি বন্ধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয়ের ওপর আরোপিত অন্যায় ও বেআইনি বাধা-নিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, পানি-বিদ্যুতের সংযোগ প্রদান ও মেরামতের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি, জরুরী ঔষধ, সংবাদপত্র ও সাংবাদিক পরিবহনকারী যান অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে।

ইউপিডিএফ নেতৃবৃন্দ উক্ত অবরোধ সফল করার জন্য বাস-ট্রাক-লঞ্চসহ সকল যান ও পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতি ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধও জানানো হয়েছে।

;