প্রত্যেকটা মানুষ যেন সুন্দরভাব বাঁচতে পারে সেটাই লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকে সত্যিই আমার জন্য একটা আনন্দের দিন। কারণ এদেশে যারা সব থেকে বঞ্চিত মানুষ যাদের কোন ঠিকানা ছিল না, ঘরবাড়ি নেই, আজকে তাদেরকে অন্তত একটা ঠিকানা, মাথা গোজার ঠাঁই করে দিতে পারছি। মুজিববর্ষে অনেক কর্মসূচি করতে পারি নাই। এটা সবচেয়ে বড় উৎসব যে গৃহহীন, ভূমিহীন মানুষকে ঘর দিতে পারলাম এর থেকে বড় উৎসব বাংলাদেশে হতে পারে না। তার কারণ এদেশের মানুষের জন্যই কিন্তু আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন।

শনিবার (২৩ জানুয়ারি) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের ৪৯২টি উপজেলার ৬৯ হাজার ৯০৪ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পাকা ঘরসহ বাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে। তাদের জীবন যেন উন্নত হয়, বিশ্ব দরবারে আমরা বাঙালি হিসেবে মাথা উঁচু করে সম্মানের সঙ্গে চলতি পারি সেটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

তিনি বলেন, এদেশের মানুষের জন্যই কিন্তু আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন, তিনি কিন্তু আমাদের কথাও কখনো চিন্তা করেন নাই, চিন্তা করেছেন বাংলার মানুষের কথা। যে মানুষগুলি অন্ন জোগাতে পারত না, একবেলা খেতে পারত না। যাদের কোন থাকার ঘর ছিল না রোগের চিকিৎসা পেত না ধুকে ধুকে যাদের মরতে হতো।

জীবন উৎসর্গ করেছেন আমার বাবা। কখনো নিজের জন্য চিন্তা করেন নাই, নিজে কি পেলেন না পেলেন সেটা নিয়ে চিন্তা করেন নাই, এদেশের মানুষের কথাই চিন্তা করেছেন। সাধারণ মানুষের ঘর করে দেওয়ার চিন্তাটা তিনিই করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সরকার গঠন করেই আমাদের লক্ষ্য ছিল সব থেকে আগে যেটা আমাদের কাছে অগ্রাধিকার। সেটা হচ্ছে এদেশের খেটে খাওয়া মানুষ, গরিব মানুষ, গ্রামের একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে পরে থাকা মানুষ তাদের ভাগ্য পরিবর্তন করা এবং বাংলাদেশকে দারিদ্র মুক্ত করা। আশ্রয়ণ প্রকল্প নিলাম। প্রত্যেকরে একটা ঘরের মালিক করে দেওয়া। একেবারে নিঃস্ব যারা ভূমিহীন যারা তাদের আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ঘর দেওয়ার প্রকল্প করে দিলাম।

বস্তিবাসীদের জন্য ঘরে ফেরা কর্মসূচি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বস্তিবাসীরা নিজ গ্রামে ফিরে গেলে ৬ মাস বিনা পয়সায় খাবার পাবে, বাচ্চাদের স্কুলে দিতে পারবে, বিনা পয়সায় একটা ঘর করে দেব আর সেই সাথে টাকা দেব তারা যেন কাজ কর্ম করে ব্যবসা বাণিজ্য করে চলতে পারে। সেই ব্যবস্থা নিয়ে ঘরে ফেরা কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করলাম। আমরা গৃহায়ন তহবিল করলাম। এই গৃহায়ন তহবিল থেকে এনজিওদের হাতে টাকা দিলাম যে তারা যেন আমাদের গৃহহীন মানুষদের ঘর করে দেয়। এনজিওরা ২৮ হাজার পরিবারকে এই ঘর করে দিয়েছিল। প্রায় ২০ হাজারের মতো বস্তিবাসী নিজ গ্রামে ফিরে গিয়েছিল এবং ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে ১১ হাজার ভবন তৈরি করলাম ৪ হাজার চালু করে দিলাম। আমাদের দুর্ভাগ্য ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে পারিনি খালেদা জিয়া এসে এই কাজগুলো প্রায় বন্ধ করে দিল। সত্যি কথা বলতে ২০০১-২০০৮ আমাদের জন্য সত্যি একটা অন্ধকার যুগ। জঙ্গিবাদ সন্ত্রাস সে সময় সৃষ্টি হলো যার জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা হল। বন্দি হয়ে গেলাম আমি। তারপরেও আমি আশা ছাড়িনি যে আল্লাহ একদিন সময় দেবেন এদেশের মানুষের জন্য কাজ করতে পারব।

তিনি বলেন, আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন শুরু করেছি ২০২০ সাল থেকে ২০২১ আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী অর্থাৎ স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি। জাতির পিতার জন্মের শতবর্ষ আর স্বাধীনতার ৫০ বছর আমরা একই সাথে পালন করে যাচ্ছি। করোনাভাইরাস সারা বিশ্ব স্থবির। আমার খুব আকাঙ্ক্ষা ছিল নিজে দাঁড়িয়ে আপনাদের হাতে জমির দলিল তুলে দেই। কিন্তু সেটা পারলাম না করোনার কারণে।  আমি জানি না পৃথিবীর কোন দেশে কখনো অথবা আমাদের দেশেও কোন সরকার এতো দ্রুত এতগুলি ঘর করে দিয়েছে। আমরা ৬৬ হাজার ১৮৯টি ঘর করে দিয়েছি। সেই সাথে ব্যারাক হাউজের মাধ্যমে ৩ লাখ ২০ হাজার ইতিমধ্যে দিয়েছি। আজকেও ব্যারাক হাউজের মাধ্যমে দিচ্ছি ৩ হাজার ৭১৫টা। এত অল্প সময়ের মধ্যে এই কাজ করা সহজ কথা নয়। সকলের সম্মিলিত প্রয়াস যার কারণে এতো বড় অসাধ্য সাধন করতে পেরেছি দায়িত্ব পালন করতে পেরেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদেশের কোন শ্রেণির মানুষ বাদ যাচ্ছে না। বেদে শ্রেণির মানুষের জন্য ঘর করে দিচ্ছি, তাদের বাসস্থনের ব্যবস্থা করেছি হিজরাদের স্বীকৃতি দিয়েছি তাদেরকেও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যারা দলিত শ্রেণি বা হরিজন শ্রেণি তাদের জন্য ভালো উচ্চ মানের ফ্ল্যাট তৈরি করে দিচ্ছি। এভাবে প্রত্যেক শ্রেণির মানুষ চা শ্রমিকদের জন্য করে দিচ্ছি। প্রত্যেক শ্রেণির মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি যেন সাবই সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে। মুজিববর্ষে আমাদের লক্ষ্য একটি মানুষও ঠিকানা বিহীন থাকবে না। গৃহহারা থাকবে না, যতটুক পারি। হয়তো সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে তাই সীমিত আকারে করে দিচ্ছি। যা হোক একটা ঠিকানা আমি সমস্ত মানুষের জন্য করে দেব। আমি বিশ্বাস করি যখন এই মানুষগুলি ঘরে থাকবে। আমার বাবা মা যারা সারাটা জীবন ত্যাগ স্বীকার করেছে দেশের জন্য তাদের আত্মা শান্তি পাবে লাখো শহীদের রক্ত দিয়ে দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে তাদের আত্মা শান্তি পাবে। এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই ছিল আমার বাবা একমাত্র লক্ষ্য। কাজেই সব থেকে খুশি যে এত অল্প সময়ে এতগুলো পরিবারকে একটা ঠিকানা দিতে পেরেছি।

তিনি বলেন, সমগ্র বাংলাদেশে এই মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে কোন লোক গৃহহারা থাকবে না। মুজিববর্ষে অনেক কর্মসূচি করতে পারি নাই। আমাদের এটা বড় উৎসব যে গৃহহীন ভূমিহীন মানুষকে ঘর দিতে পারলাম এর থেকে বড় উৎসব বাংলাদেশে হতে পারে না। এদেশটাকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে পারি। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে তাদের জীবন যেন উন্নত হয়, বিশ্ব দরবারে আমরা বাঙালি হিসেবে মাথা উঁচু করে সম্মানের সাথে চলতি পারি সেটাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

   

প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ড যাচ্ছেন আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছয় দিনের সরকারি সফরে আজ বুধবার থাইল্যান্ড যাচ্ছেন। সফরে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেওয়া ছাড়াও জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে যোগ দেবেন তিনি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫২ বছরে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের প্রথম সফর এটি। দুই বন্ধু রাষ্ট্রের মধ্যে ‘সহযোগিতার নতুন জানালা’ উন্মোচিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এ সফর উভয় দেশের জন্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টায় থাইল্যান্ডের উদ্দেশে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সফরসঙ্গীদের নিয়ে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ডাক-টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হচ্ছেন।

ব্যাংককে বাংলাদেশ সরকারপ্রধানকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাবেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন। শেখ হাসিনাকে বিমানবন্দরে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হবে। এরপর থাইল্যান্ডের গভর্নমেন্ট হাউসে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। একই দিন জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের নির্বাহী সচিব আরমিডা সালসিয়াহ আলিশাবানা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

থাইল্যান্ডের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ৫টি দলিল সই হবে। এ বিষয়ে গত সোমবার সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনার বিষয়ে লেটার অব ইনটেন্টসহ (সম্মতিপত্র) বেশ কয়েকটি সহযোগিতা চুক্তি সই হবে এই সফরে।

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড়, জ্বালানি সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। এ ছাড়া সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য পর্যটন খাতে সহযোগিতা এবং শুল্ক সম্পর্কিত পারস্পরিক সহযোগিতা সম্পর্কিত আরও দুটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।

;

ছেঁড়া ১০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব: ছুরিকাঘাতে ছেলের মৃত্যু, বাবা সংটাপন্ন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ছেঁড়া ১০ টাকার নোট না নেয়ার দ্বন্দ্বে ইকবাল হোসেন (২২) নামে এক মুদি দোকানিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় নিহতের বাবা সাদেক মুন্সির (৬২) অবস্থা সংটাপন্ন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত পৌনে ৯ টার দিকে উপজেলার বানিহালা ইউনিয়নের মাঝিয়ালি বাজারে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ছেলে ইকবাল হোসেন ও বাবা সাদেক মুন্সি একই ইউনিয়নের দিগারকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, উপজেলা বানিহালা ইউনিয়নের মাঝিয়ালি বাজারে ছেলে ইকবালকে নিয়ে মুদি দোকান করেন সাদেক মুন্সি। ঘটনার দিন রাতে সিগারেট কিনতে আসেন একই গ্রামের ফারুক মিয়া। টাকা দেওয়ার সময় একটি দশ টাকার নোট ছেঁড়া থাকায় তা বদল করে দিতে বলেন ইকবাল। কিন্তু তাতে রেগে যায় ফারুক। বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে ফারুক তার ছোট ভাই পারভেজ মিয়াকে ডেকে আনেন। পরে সেখানে তারা কিছুক্ষণ বাগবিতন্ডার একপর্যায়ে পারভেজ সঙ্গে নেওয়া ছুরি দিয়ে দোকানের ভেতরেই এলোপাথারি আঘাত শুরু করে ইকবালকে। ওই সময় বাবা সাদেক মুন্সিকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ইকবাল। গুরুত্বর আহত অবস্থায় সাদেক মুন্সিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ১১ টার দিকে তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

তারাকান্দা থানার ইনচার্জ ওসি মো. ওয়াজেদ আলী বলেন, দোকানে সিগারেট কিনতে গিয়ে ছেঁড়া টাকা দেওয়া নিয়ে বাগবিতন্ডার জেরে হত্যার ঘটনা ঘটে। সাদেক মুন্সির অবস্থাও গুরুতর। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দু’জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে ফারুক ও পারভেজকে পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

;

সাভারের যেসব এলাকায় আজ গ্যাস থাকবে না



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেডের পাইপলাইনের জরুরি মেরামতকাজের জন্য বুধবার (২৪ এপ্রিল) ১২ ঘণ্টা সাভারের বেশ কিছু এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেডের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ১২ ঘণ্টা সাভারের টংগাবাড়ী, আশুলিয়া, খেজুরবাগান, গৌরীপুর, খাগান, কুমকুমারি ও আক্রান এলাকার সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

এ ছাড়া ওই সময়ে আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ থাকতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

;

নীলফামারীতে সার্কাসে রাত হলেই শুরু হয় অশ্লীলতা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বড়ভিটা টটুয়ার ডাঙ্গায় সার্কাস ও যাদু প্রদর্শনীর নামে চলছে অশ্লীল নৃত্য। খোলামেলা পোশাকে এসব নাচ গানের আসরে পঙ্গপালের মতো হুমড়ি খেয়ে পড়ছে উঠতি বয়সের তরুণ ও যুবকরা। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাসনকে জানালেও নেয়নি কোন ব্যবস্থা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১০ টায় দি রওশন গ্রেট সার্কাসে গিয়ে দেখা যায়, সার্কাসের প্যান্ডেলের ভিতরে মেয়েদের দিয়ে খোলামেলা আপত্তিকর নাচগান প্রদর্শন করা হচ্ছে। এসব নাচগানের বেশির ভাগ দর্শক হচ্ছে উঠতি বয়সের তরুণ ও যুবকরা। বিকাল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সার্কাসের শো পরিচালনা করার থাকলেও রাত ১২ টা পর্যন্ত চলে এসব অশ্লীল নৃত্য। এতে করে রাত যতই বাড়তে থাকে সার্কাসে শুরু হতে থাকে অশ্লিল নৃত্য ।এসময় কাউকে মোবাইলে ভিডিও না করার জন্য বারবার হুশিয়ারি দেওয়া হয়।

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ভবদেশ রায় বলেন, এখানে সার্কাস চলছে ভালো কথা। আমাদের বাড়ির লোকজন আসবে দেখবে কিন্তু রাত হলে অশ্লীলতা বাড়ে এলাকার সব ছেলে পড়ালেখা বাদ দিয়ে এখানে চলে আসে। যুবসমাজ এভাবে নষ্টের দিকে যাচ্ছে।

বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বজলার রহমান বলেন, আমি দেশের বাইরে ছিলাম। এসে শুনি সার্কাসের কথা,সেখানে অশ্লীল কিছু হলে আমি প্রশাসনকে অবগত করব।

এবিষয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোসের মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

;