বেনাপোলে রেলপথে বাণিজ্যে আগ্রহ হারাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা



আজিজুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে রেলপথে ব্যবসায়ীদের আরও বেশি পণ্য আমদানি ও রফতানির চাহিদা থাকলেও কেবল অবকাঠামাগত সমস্যায় বাণিজ্য প্রসারে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বার বার প্রতিশ্রুতি দিয়েও রেলে লাগেনি উন্নয়নের তেমন কোন ছোঁয়া। ফলে ব্যবসায়ীরা এপথে মুখ ফিরিয়ে নেওয়াতে সরকারও হারাচ্ছে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব। তবে দুর্বল অবকাঠামোর কথা স্বীকার করে উন্নয়নের আশ্বাস দিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষ।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বার্তা২৪.কম-কে জানান, দেশের একমাত্র ব্যতিক্রম বন্দর বেনাপোল। যে বন্দরটি দিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে একই সাথে রেল ও স্থলপথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য সম্পাদন এবং পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত হয়ে থাকে। তবে বাণিজ্য সম্প্রসারণে এরুটে স্থলপথে প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ধীরে ধীরে অবকাঠামো গড়ে উঠলেও রেলপথে উন্নয়নের কোন ছোঁয়া লাগেনি। ফলে বাণিজ্য প্রসারে বিঘ্ন ঘটছে। সংকীর্ণ রেলপথের পাশাপাশি কনটেইনার টার্মিনাল, ইয়ার্ড ও পর্যাপ্ত ইঞ্জিন না থাকায় পণ্যবাহী রেল কার্গো নিয়ে দিনের পর দিন ব্যবসায়ীদের অপেক্ষা করতে হয়।

এছাড়া রেলে আমদানি হওয়া সব ধরনের পণ্য বেনাপোলে খালাসের ব্যবস্থা না থাকায় ৬০ কিলোমিটার দূরে নওয়াপাড়ায় নিয়ে খালাস করতে হয়। ফলে ভোগান্তির পাশাপাশি অতিরিক্ত অর্থ গুণতে হয় ব্যবসায়ীদের। এতে এপথে আমদানি বিমুখ হয়ে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বিভিন্নভাবে যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে স্বাভাবিক বাণিজ্যের ওপর। অবকাঠামো বাড়ানো হলে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে বেনাপোল রেলপথ।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, বেনাপোল বন্দরের রেলপথে একই সাথে ভারতের সঙ্গে
আমদানি বাণিজ্য ও পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত হচ্ছে। এছাড়া এপথে ঢাকা-বেনাপোল আন্তনগর, খুলনা-বেনাপোল কমিউনিটি রেলও চলাচল করছে। কিন্তু রেল স্টেশনে পর্যাপ্ত ইয়ার্ড না থাকায় ইচ্ছে মতো রেল এখানে প্রবেশ করতে পারে না। এতে যেমন বিলম্ব ঘটছে স্বাভাবিক বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে তেমন যাত্রী
যাতায়াতে।

রফতানিকারক তৌহিদুজ্জামান জানান, কেবল অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে রেলপথে বাণিজ্য প্রসার হচ্ছে না। এখন রেলপথে শুধু আমদানি বাণিজ্য চলছে, সেবার মান বাড়ালে এপথে রফতানি বাণিজ্যেও আগ্রহী হবেন ব্যবসায়ীরা। ফলে পণ্য পরিবহন খরচ যেমন কমবে তেমনি সরকারের রফতানি খাতে অর্জনও বাড়বে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বার্তা২৪.কম-কে জানান, আগে বেনাপোল দিয়ে কেবল কার্গো রেলে পণ্য আমদানি হতো। এখন সাইড ডোর কনটেইনারে ও পার্সেল রেলের মাধ্যমে পণ্য আমদানি হচ্ছে। এটি বাণিজ্যেরে ক্ষেত্রে সরকারের মাইলফলক। তবে বন্দরে যদি কনটেইনারে টার্মিনাল ও ইয়ার্ড চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা। বছরে দশ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় কঠিন হবে না।

ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বার্তা২৪.কম-কে জানান, দেশের স্থলপথে যে পরিমাণ পণ্য আমদানি-রফতানি হয় তার ৭০ শতাংশ হয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। এসব পণ্যের মধ্যে অধিকাংশ থাকে শিল্পকারখানার কাঁচামাল। ট্রাক যোগে পণ্য বেনাপোল বন্দর থেকে ঢাকায় নিতে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা কখনো নানান প্রতিবন্ধকতায় দুই দিন পর্যন্ত লেগে যায়। এতে সময় মতো গন্তব্যে পণ্য না পৌঁছানোয় শিল্প কলকারখানার উৎপাদন কাজ ব্যাহত হয়ে থাকে। এছাড়া কয়েক বছরের মধ্যেই চালু হচ্ছে পদ্মা সেতু। তখন রেলে কম সময়ে অল্প খরচে নিরাপদভাবে পণ্য গন্তব্যে নেওয়া যাবে। তাই এখন থেকেই রেলের অবকাঠামো উন্নয়নের প্রতি গুরুত্ব আরও বাড়াতে হবে।

ভারতীয় পণ্যবাহী কার্গো রেল পরিচালক উত্তম মল্লিক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, তিনি কয়েক বছর হচ্ছে বেনাপোলে রেলে পণ্য নিয়ে আসছেন। তবে এখানকার অবকাঠামো উন্নত না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা অন্যপথে ঝুঁকছে। রেলপথ প্রশস্ত করা হলে এপথে আরও বেশি পণ্য আমদানি সম্ভব।

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আজিজুর রহমান জানান, করোনায় সড়ক পথে নানান প্রতিবন্ধকতায় থমকে গিয়েছিল ভারতের সাথে বাণিজ্যিক কার্যক্রম। সবার প্রচেষ্টায় রেলে চালু করা হয় সব ধরনের পণ্য আমদানি। আমদানি পণ্য থেকে গত তিন মাসে প্রায় ৩শ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ হয়েছে। প্রয়োজনীয় সব ধরনের অবকাঠামো স্থাপন হলে এপথে আরও আমদানি বাড়ার সুযোগ রয়েছে।

বেনাপোল স্থবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বার্তা২৪.কম-কে জানান, রেলের কিছু পণ্য বন্দরে খালাস হচ্ছে। তবে আমদানিকৃত সব পণ্য খালাসের সুবির্ধাতে যাতে বন্দরে কনটেইনার টার্মিনালসহ অন্যান্য সুবিধা স্থাপন হয় তার জন্য নৌ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশিষ্ট বিভিন্ন দফতরে অবহিত করা হয়েছে।

বেনাপোল রেল স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রেলের নাজুক অবকাঠামোর কথা স্বীকার করে বার্তা২৪.কম-কে জানান, বাণিজ্য সম্প্রসারণে ইতিমধ্যে তিন কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে বেনাপোল বন্দরের পাশে অতিরিক্ত দুটি লাইন বসানোর কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে আরও রেললাইন সম্প্রসারণ, ইঞ্জিন বাড়ানো ও ইয়ার্ডসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা রেলের রয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে বেনাপোল দিয়ে রেলপথে ভারতের সাথে আমদানি বাণিজ্য শুরু হয়। চলতি অর্থবছরের গত ৬ মাসে বেনাপোল রেলপথে ভারত থেকে ২ লাখ ৭১ হাজার ৮৭৯ মে.টন বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয়েছে। রেলের ভাড়া বাবদ সরকারের আয় হয়েছে ১২ কোটি টাকা। রেলপথে আমদানি পণ্যের মধ্যে শিল্পকারখানার কাঁচামাল, গার্মেন্টস, কেমিকেল, ট্রাক চ্যাচিজ, ফ্লাইঅ্যাস, তুলা, পাথর, জিবসাম ইত্যাদি।

   

ময়মনসিংহে মধ্যরাতে নারীকে কুপিয়ে হত্যা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের নান্দাইলে নাজমা আক্তার (৩৫) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চারি আনি পাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত নাজমা আক্তার ওই এলাকার আব্দুল মান্নানের স্ত্রী।

নান্দাইল মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সুজন মিয়া  এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, ওই নারী চার সন্তানের জননী। রাতে পরিবারের সদস্যদের সাথে খাওয়া দাওয়া করেন। খাওয়া শেষে রাত ১০ টার দিকে পান কিনতে বের হন নাজমা আক্তার। ফিরতে দেরি হওয়ায় পরিবারের লোকজন খোঁজতে শুরু করেন। খোঁজাখোঁজির একপর্যায়ে বাড়ি থেকে কিছুটা দুরে ধান ক্ষেতে ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে নাজমা আক্তারের পরিবারের লোকজন তাকে শনাক্ত করেন। এদিকে, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছেন ।

নান্দাইল মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সুজন মিয়া বলেন, ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞাত দুবৃত্তরা কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ ধান ক্ষেতে ফেলে রেখে গেছে। পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে এবং ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে । পরে আরও বিস্তারিত জানানো যাবে বলেও জানান তিনি।

;

কক্সবাজারের ইনানীতে পর্যটক ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার 
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী সৈকতে একজন পর্যটক তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত মোহাম্মদ নিজামকে (৪৪) গ্রেফতার করেছে।

ভুক্তভোগী তরুণী ঢাকা কাফরুলের ইব্রাহিমপুর এলাকার বাসিন্দা। আর অভিযুক্ত নিজাম নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ কদমতলীর শামসুল হকের ছেলে। এর আগে গত ১৫ এপ্রিল আরেক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে ওই তরুণী ঢাকা থেকে কক্সবাজার ভ্রমণে যান।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বলেন, ‘অভিযুক্ত নিজামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী তরুণীকে বুধবার বিকালে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। সন্ধ্যায় তিনি ঢাকার পথে রওয়ানা দিয়েছেন। এ ঘটনায় বুধবার উখিয়া থানায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী মো. নাজিমকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছে।’

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এক বান্ধবীকে নিয়ে মামলার বাদী গত ১৫ এপ্রিল ঢাকা থেকে কক্সবাজার যান। উঠেন উখিয়ার ইনানী সৈকতের লা বেলা রিসোর্টের ‘রোজ’ কটেজের নিচ তলার ৪০২ নম্বর কক্ষে। তাদের সঙ্গে আসেন এক মাস আগে পরিচিত ব্যক্তি মোহাম্মদ নিজাম। তিনি উঠেন পাশের ৪০১ নম্বর কক্ষে। নিজাম মামলার বাদীর সঙ্গে আসা বান্ধবীর পূর্ব পরিচিতি ছিলেন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বান্ধবী সৈকত ঘুরতে যান। মাথা ব্যথা জনিত কারণে বাদী ৪০২ নম্বর কক্ষে অবস্থান করছিলেন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নিজাম ওই কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে তাকে ধর্ষণ করে। তার আত্মচিৎকারে হোটেলের লোকজন এগিয়ে গেলে নিজাম পালিয়ে যান। পরে জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে কল দিলে উখিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাদীকে উদ্ধার করেন। পুরে পুলিশ ইনানী এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নাজিমকে গ্রেফতার করে।

লা বেলা রিসোর্টের ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘১৫ এপ্রিল দুপুরে রিসোর্টে এসে মো. নিজাম দুইটি এসি রুম ভাড়া নেন। ৪০২ নম্বর কক্ষে উঠেন ২ নারী। নিজাম উঠেন পাশের ৪০১ কক্ষে। নিজাম এ সময় দুই তরুণীকে চাচাতো বোন পরিচয় দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগে রিসোর্ট কক্ষে তরুণীকে ধর্ষণের বিষয়টি তাদের কেউ জানায়নি।’

;

গুলিবিদ্ধ ইউপি সদস্যকে মামলায় পলাতক দেখায় বিজিবি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতীয় সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে ফিরে আসার সময় লালমনিরহাটের সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম নান্নুকে (৪৮) গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলেও মামলায় তাকে পলাতক দেখিয়েছে বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে বডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের লোহাকুচি ক্যাম্পের হাবিলদার মাসুদুল হক বাদি হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ৯/১০ জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় গুলিবিদ্ধ সাইফুল ইসলাম নান্নুকে ১৩ নম্বর আসামি করা হলেও তাকে পলাতক এবং ৩জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে গুলিবিদ্ধ ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম নান্নুকে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন বডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি) লোহাকুচি ক্যাম্পের সদস্যরা।

আহত সাইফুল ইসলাম নান্নু আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের তালুক দুলালী গ্রামের মৃত গনি মিয়ার ছেলে। তিনি ভেলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য।

সীমান্তবাসী জানান, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সহায়তায় ভারতীয় গরু পাচার করতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তালুক দুলালী বড় মালদি সীমান্তে ৯২১ নং পিলার এলাকায়  কাটাতারের বেড়ার পাশে নিজের পরিচালিত চর্কা বসাতে যান গরু ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম নান্নুসহ কয়েকজন রাখাল। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী(বিএসএফ) তাদের লক্ষ করে রাবার বুলেট ছুড়লে সাইফুল ইসলাম নান্নু গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যান। বাকীরা পালিয়ে এসে স্থানীয় লোহাকুচি বিজিবি ক্যাম্পের টহল দলকে খবর দিলে তারা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে নিলে চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।

এ সময় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে ফেরার দায়ে ৩জনকে আটক করে বিজিবি। এ ঘটনায় বুধবার আদিতমারী থানায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে ফেরার দায়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৯/১০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে লোহাকুচি বিওপি ক্যাম্পের হাবিলদার মাসুদুল হক। তবে এ মামলায় গুলিবিদ্ধ সাইফুল ইসলাম নান্নুকে ১৩ নম্বর আসামি করা হলেও তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি। একই সাথে ঘটনার বর্ণনায় গুলিবিদ্ধ কিংবা কাউকে আহত দেখানো হয়নি।

মামলায় বিজিবি'র হাবিলদার মাসুদুল হক দাবি করেন, আসামিরা ৯২১ নং পিলার এলাকায় ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে ফেরার সময় বিজিবি ৩জনকে আটক করে। আটককৃতরা পলাতকদের বিষয়ে তথ্য প্রদান করেন। তবে গুলির কোন ঘটনা বা গুলিবিদ্ধ ইউপি সদস্যকে কঠোর নিরাপত্তায় হাসপাতালে নিলেও তাকে পলাতক দেখানো হয়েছে মামলার বর্ণনায়।

এ মামলায় গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার তালুক দুলালী গ্রামের মৃত গফুরের ছেলে বেলাল হোসেন (৩০), একই গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে এমদাদুল হক (৩৫) ও ফলিমারী গ্রামের কান্তিশ্বর বর্মনের ছেলে প্রদিপ কুমার (২৪)।

পলাতকরা হলেন- তালুক দুলালী গ্রামের এমদাদুল হক (৩৫), সাদ্দাম হোসেন (২৮), এমতা (২৭), সৈয়দ আলী (৩৫), সৈকত আলী (২৫), হাশেম আলী (৩০), জাহিদুল ইসলাম (৩৫), জামাল (৩০), আলামিন মিয়া (২৭) ও সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল  ইসলাম নান্নু। 

মঙ্গলবার রাতে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডা. বিক্রম চন্দ্র বার্তা ২৪ কমকে বলেন, আহত সাইফুল ইসলাম নান্নুকে পিঠের নিচে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিয়ে আসে বিজিবি। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ উন নবী বার্তা ২৪ কমকে বলেন, বিজিবি অবৈধ অনুপ্রবেশের অপরাধে আটককৃত ৩ জনসহ ১৩ জনের নাম এবং অজ্ঞাত আরও ৯/১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ে করেছে। আটক ৩জনকে গ্রেফতার দোখানো হয়েছে। গুলির বিষয়ে এজারে কিছু উল্লেখ নেই। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোফাজ্জল হোসেন বার্তা ২৪ কমকে বলেন, সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ৩ জনকে আটক করে ১৩জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দেয়া হয়েছে। তবে গুলিবিদ্ধ সাইফুলকে চিকিৎসার জন্য রংপুরে রেফার করায় তাকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। মামলায় তাকেও আসামি করা হয়েছে। সুস্থ্য হয়ে ফিরলে পুলিশ ব্যবস্থা নিবে।

;

বরিশালে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease
বরিশাল-পটুয়াখালি মহাসড়কের বাকেরগঞ্জের রুহিতারপার নামক স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাককে পেছন থেকে চলন্ত মোটরসাইকেল ধাক্কা দিলে দুজন নিহত হন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ৯ টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
 
দুর্ঘটনার পর মুমূর্ষু অবস্থায় দুই জনকে বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
 
নিহতরা হলেন- বরিশাল সদর উপজেলার আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীনের পুত্র মনিরুজ্জামান কোম্পানি লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী মনিরুজ্জামান (৬২) এবং অপরজন হলেন বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়নের মৃত মজনু বাড়ি সিকদারের পুত্র ও আহসান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকার বদরুল আহসান সিকদার (৬০)। পেশায় দুজনই ঠিকাদার।
 
বরিশাল বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আফজাল হোসেন জানান, একটি দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে পটুয়াখালী থেকে বরিশালের উদ্দেশ্য ছেড়ে আসা মোটরসাইকেল রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনের অংশে ঢুকে যায় মোটরসাইকেলে আরোহী দুই জন গুরুতর আঘাত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস তাদেরকে উদ্ধার করে  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় সেখানের কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে মৃত্যু বলে ঘোষণা করেন।
 
 
 
;