প্রবাসী কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা টিকা দেওয়ার আহ্বান
প্রবাসী কর্মীদের মধ্যে যারা বিদেশে ফেরত যাবেন তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা ভ্যাকসিন পাবেন বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদিশক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে যেসকল কর্মী প্রবাসে কাজ করতে যাবেন, তাদের ভ্যাকসিন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হয়।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব এর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এমন এক সময় কথা বলছি যখন করোনা মহামারী মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যাপক আয়োজন করেছেন।
তিনি বলেন, বিপদগ্রস্ত কর্মীদের ও তার পরিবারের সদস্যদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। লকডাউন এর সময় যারা এসেছিল তাদের সহযোগিতা করার জন্য আমরা প্রত্যেকে টাকা দিয়েছি। প্রায় তিন কোটি টাকা আমরা সরবরাহ করেছি। তাছাড়া করোনা মহামারীর শুরুর দিকে লকডাউনের সময় প্রায় ৩৫০ জন প্রবাসী শ্রমিক আটকে গিয়েছিল যাদের দেশে ফেরত আসার মতো অবস্থা ছিল না। মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নের তাদের বিদেশ থেকে ফেরত আনা হয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, অতি মারিতে যখন কেউ মারা যায় তখন এটা বৈধ-অবৈধ আমরা হিসাব করতে পারিনা। অতীতে নিয়ম আছে যারা ওখানে বৈধ কর্মী মারা যায় তাদের ফেরার সময় ৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা দিতাম। কিন্তু এই মহামারী সময়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যেই বাংলাদেশের নাগরিক বিদেশে মারা যাবে সেটা বৈধ হোক আর অবৈধ হোক আমরা একই হিসাবে ওদেরকে সাহায্য করে আসছি।
ফেরত আসা কর্মীদের বিষয়ে বলেন, ফেরত আসা কর্মীদের ব্যাপারে আমাদের ভূমিকা হলো ওদেরকে বিদেশে আবার পাঠান। পাঠানোর আগে নিশ্চিত করতে হবে ওনারা আগে যারা ছিলেন এখন ওনারা যদি দক্ষ হয়ে যান সেই দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আমরা অনেক পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান বিদেশগামী কর্মীদের করোনা টেস্ট ফি সাড়ে ৩ হাজার থেকে কমিয়ে ৩০০ টাকায় আনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে যেসকল প্রবাসীকর্মী কাজ করতে যাবেন, তাদের ভ্যাকসিন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হয়। যাতে বিদেশে যারা আছেন তারা আত্মবিশ্বাস পায়।
নতুন শ্রমবাজারের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, অনেক নতুন বাজার আমরা সৃষ্টি করেছি। রোমানিয়া, ক্রোয়েশিয়া উজবেকিস্তান এমনকি চায়নাতেও লোক পাঠানো শুরু করেছি।
পুরনো শ্রমবাজার সম্পর্কে বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার ধীরগতিতে খোলা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রতিদিন দেড় থেকে দুই হাজার মানুষ যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে। মালয়েশিয়ার ব্যাপারে আমরা অনলাইনে চেষ্টা করছি। অনলাইনে আমাদের চুক্তির যেটা আছে ওটা কে নবায়ন করে সমস্যাটা সমাধান করতে পারি, সেই পদক্ষেপ চালু আছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই একটা সমাধানে চলে আসব।