কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে কৃষকের মৃত্যু
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় কনকনে শীতের ঠান্ডায় ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) প্রচণ্ড ঠান্ডায় ধান ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাকে বাড়িতে নিয়ে আসলে তার মৃত্যু হয়।
তার স্ত্রী কহিনুর বেগমসহ পরিবারের লোকজন ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা সদরের কেন্দ্রা গ্রামের জহুর উদ্দিনের পুত্র কৃষি শ্রমিক আজাদ (৪৪) রোববার সকালে পার্শ্ববর্তী জমিতে ধানের চারা উঠাতে যেয়ে ঠান্ডায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে বাড়িতে আনা হলে কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। মৃত ব্যক্তি ২সন্তানের জনক বলে জানা গেছে।
এদিকে উপজেলার পীরমামুদ গ্রামের কৃষি শ্রমিক সুবাস চন্দ্র রায় (৬০),খুলিয়াতারী গ্রামের মহাম্মদ আলী, পুটিকাটা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের সাথে কথা হলে তারা জানান, ঠান্ডায় হাত পা টনটন করে। জমিতে নামা যায় না। কাজ কর্ম করতে না পারায় পরিবার পরিজন নিয়ে হাত গুটে বসে আছি।
অনেকেই গবাদি পশুর শরীরে চট, কম্বল,কাথা দিয়ে ঠান্ডার তীব্রতা রক্ষারও চেষ্টা করছেন। অপরদিকে রাতে ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। দিনের বেলায় হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো। সন্ধ্যার পরেই অধিকাংশ দোকানপাট গুলো বন্ধ করছে।
উল্লেখ্য, রোববার রাজারহাট উপজেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫.৫ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের সর্বনিম্ন। টানা কয়েকদিন ব্যাপী অব্যাহত শীত ও কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দিনের বেলা অনেক দেরীতে সুর্যের দেখা মিললেও সন্ধ্যা থেকে রাত বাড়ার সাথে সাথেই বাড়তে থাকে শীত ও ঠান্ডার তীব্রতা। এ অবস্থায় জেলার হতদরিদ্র ও ছিন্নমুল মানুষের পাশাপাশি দুর্ভোগ বেড়েছে কৃষি শ্রমিকদের। এরমধ্যেও অনেক স্থানে ইরি বোরো চারা লাগানোর কাজ চলছে। বেশিরভাগ সময় বয়স্করা ঠান্ডার কারণে জমিতে নামতে পারছেন না। নিম্ন আয়ের মানুষজন খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন।
রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশু ও বৃদ্ধসহ ৬ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।